শারদীয়া দুর্গোৎসব ১৪২৯ : পূজা পরিক্রমা পর্ব ০২

in hive-129948 •  2 years ago 


এবছরে ঠাকুর দেখা একটু আগে আগে স্টার্ট করেছি । সেই তৃতীয়া থেকে । সারাদিন খুবই বিজি থাকি । তাই তনুজার সাথে আমার চুক্তি হয়েছে ডেইলি বিকেল ৫ টা থেকে রাত ৮ টা অব্দি মোট তিনটি ঘন্টা পুজো প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘুরে বেড়াতে হবে । সেই মতো তৃতীয়া থেকে স্টার্ট করেছি ঘোরা ।

এখনো অব্দি নবমী পর্যন্ত সব কিছু একদম ঠিকঠাকই আছে । এমনকি অষ্টমীর অঞ্জলি প্রদান, শাড়ি ও গয়না প্রদান থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করাও একদম ঠিকঠাক হয়েছে । পুজোর ভোগ প্রসাদ খাওয়াও হচ্ছে । বাড়িতে যদিও পুজোর দিন কয়টায় নিরামিষ চলে বাট এবছরে আমি আমিষই চালাচ্ছি রেগুলার ।

ডেইলি সকালে নানান রকমের মাছের হরেক রকম পদ থাকছে ভাতের পাতে । ইলিশ, চিংড়ি, ভেটকি, পার্শে, রুই, কাতলা, ট্যাংরা, পমফ্রেট, বেলে, ভোলা, কৈ, কাঁকড়া খাচ্ছি । মাংসটা শুধু খাচ্ছি না । মাংস খাবো একদম বিজয়া দশমীর রাতে । রেস্টুরেন্টে । রিজার্ভেশন আছে আমাদের ।

পুজোর এই ক'টা দিনে আমরা কিন্তু অনেকগুলো ছোটখাটো মেলাতেও গিয়েছি । যদিও শহুরে মেলার চাইতে গ্রাম্য মেলা শতগুণে আকর্ষণীয় হয় তবুও আমাদের টিনটিনবাবু জীবনে জ্ঞান হওয়ার পর এই প্রথম শারদীয়া মেলায় আবদার করে হরেক খেলনা কিনলো । ডেইলি ডেইলি আইসক্রিম খেলো । ভালই উপভোগ করছে সে ।

পাকা তেঁতুলের স্বাদের গোল্লা বরফ খেয়ে ভীষণ খুশি সে । এর সাথে এগ রোল, ঘুগনী, চিকেন পকোড়া আর আইসক্রিম তো আছেই । তবে মেলায় সে যত খেলনা কিনেছে সব গুলিই হলো নানান ধরণের বাচ্চাদের শিক্ষামূলক খেলনা । যেমন ম্যাজিক শ্লেট, আঁকার সরঞ্জাম, ব্লকস, লার্নিং instruments এসব । নিখাদ খেলনা বলতে বেলুন কিনেছে শুধু ।

টিনটিন এক আশ্চর্য ছেলে । বাড়িতে কখনই খেলাধুলা করে না । তার একমাত্র খেলাধুলা হলো বই পড়া । আমার লাইফে এমন ছেলে দেখিনি যে কিনা মাত্র ৩-৪ বছর বয়সে যতক্ষণ জেগে থাকে শুধু বইই পড়ে । তার খেলাধুলা হাসি কান্না সবই বই এবং শিক্ষা কেন্দ্রিক । মোবাইলেও ভিডিও দেখে অনলি ছড়া আর নানান ধরণের লার্নিং ভিডিও । তাই পুজোর মেলাতে সে শুধুই লার্নিং instruments ই কিনলো । আর কোনো কিছুই তাকে টানে না । এই ব্যাপারে আমি ভীষণ উদ্বিগ্ন এখন তাই । কারণ, এই বয়সের ছেলের এত কিসের পড়া ? জীবনে খেলাধুলার গুরুত্ব পড়াশোনার মতোই সেম ।

যাই হোক, নেক্সট এপিসোড থেকে পুজো প্যান্ডেলে ঘোরার গল্পগুলো শেয়ার করবো । আজকে আসুন দেখে নেওয়া যাক শারদীয়া দুর্গোৎসব ১৪২৯ : পূজা পরিক্রমা পর্ব ০২


এই পুজো প্যান্ডেলটি সাবেক কলকাতার জমিদারবাড়ির চন্ডী মন্ডপের ধাঁচে তৈরী করা হয়েছে । ভিতরে রয়েছে সেই সাবেকি ধরণের ঝাড়বাতি । গ্যাসে লণ্ঠন আর মোমবাতিদান । বড় বড় থামের গায়ে রয়েছে দৃষ্টিকাড়া অপূর্ব সব ডিজাইন ।

তারিখ : ০২ অক্টোবর ২০২২
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ১০ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


মণ্ডপের ভিতরে ঢাকীরা ঢাকের বাদ্যি বাজাচ্ছে । দূর্গা প্রতিমার সামনে চলছে আরতি ।

তারিখ : ০২ অক্টোবর ২০২২
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ১৫ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


দুগ্গা ঠাকুরের একদম সামনে থেকে নেওয়া এই শটগুলি । আরতির ধোঁয়ার কারণে কিছুটা ধোঁয়াটে ভাব আর অস্পষ্টতা এসেছে । তবে সেটি তেমন খুব বেশি নয় । মোটামুটি ক্লিয়ারই হয়েছে টেকগুলি ।

তারিখ : ০২ অক্টোবর ২০২২
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ২০ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ



✡ ধন্যবাদ ✡


পরিশিষ্ট


প্রতিদিন ৩৭৫ ট্রন করে জমানো এক সপ্তাহ ধরে - ৩য় দিন (375 TRX daily for 7 consecutive days :: DAY 03)


trx logo.png



সময়সীমা : ০২ অক্টোবর ২০২২ ২০২২ থেকে ০৮ অক্টোবর ২০২২ পর্যন্ত


তারিখ : ০৪ অক্টোবর ২০২২


টাস্ক ৮০ : ৩৭৫ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron


আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx

৩৭৫ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :

TX ID : 8b21111a2e8272b2806c88f20a7b1d9e63178b40068756e72fac4fadc79e5e6f

টাস্ক ৮০ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি


এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তো যে কোনো এমাউন্ট এর টিপস আনন্দের সহিত গ্রহণীয়

Account QR Code

TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx (1).png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

শারদীয়া দুর্গোৎসব এর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো। ৫-৮ পছন্দ পুজা দেখা বাহ্ দারুন। দাদা আপনার তো অনেক সুন্দর সময় কাটতেছে। আপনার পুরো পরিবারের জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সবসময় এই কামনাই করি।

Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

Thank you for sharing an interesting story.

At an early age it is difficult to find a child as a bookworm.

Children will have broad insight and naturally have a high interest in learning without having to be forced from people.

In fact, many parents want their children to be diligent in reading.

But maybe we should also manage that, making time for sports, play, study and reading. Because exercise is also important.

You can give reading books about the importance of exercise, so you can understand about it.

Yes, every time there is a festival, visiting the exhibition is quite a fun thing. I usually also hunt for various culinary delights to eat.

Including collecting some new clothes. Because at the exhibition, I was able to find some products with lower prices 😂.

Do each of these festivals people cook fancy dishes in their homes?

বৌদি খুবই বুদ্ধিমানের কাজ করেছে আপনাকে আগে থেকে টাইম ঠিক করে দিয়েছে। তা না হলে আপনি যে ব্যস্ত মানুষ। বৌদির পূজাই দেখা হত না। টিনটিন দেখি আপনার মত বই পাগল হয়েছে ছোটবেলা থেকেই। এত ছোট বাচ্চার এত বই পড়ার নেশা। আপনার মতোই হবে বোঝা যাচ্ছে। আবার মেলা থেকে সব শিক্ষণীয় খেলনা কিনেছে। খুবই ভালো।

Tintin seems like a smart kid, only spending time every day reading. When he grows up, he will become an intellectual. Exercise is necessary for Tintin, so that he can grow and develop properly. Healthy always for Tintin.

ভালোই করেছেন দাদা এবার ঠাকুর দেখছেন প্রায় অনেক আগে থেকেই।বৌদির কথা মত প্রায় প্রতিদিন তিন ঘন্টাকরে পূজামণ্ডপগুলোতে ঘুরতে যাওয়া।এটা বেশ ভালো হয়েছে।তবে টিনটিনের কথা শুনে অবাক হয়ে গেলাম।ওর খেলাধুলার সব পড়াশোনা কেন্দ্রিক।এত কম বয়সে পড়াশোনার ফাঁকে খেলাধুলাও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ শরীরচর্চার জন্য।যাইহোক দাদা প্রতিটা ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে আমি জাস্ট মুগ্ধ হয়ে দেখছি। ♥♥

পাকা তেঁতুলের স্বাদের গোল্লা বরফ,দাদা এই প্রথম শুনলাম। যাক বৌদি পূজোর জন্য আগে ভাগে টাইম প্লান করে রেখে ভালো করছেন। বৌদি যদি আবদার করে তা তো অবশ্যই রাখতে হবে। কারণ দুগা পূজা বছর একবার আসে, এই পূজা আনন্দ টা একটু বেশি। টিনটিন বাবু এই বয়সে শিখনীয় খেলনা ও বই এর প্রতি আগ্রহ দেখে ভালো লাগল । বেশ অনেক পুজা দেখলেন দাদা। আপনাদের ইন্ডিয়াতে অনেক বড়সড় করে পূজা করে পুজা প্যান্ডেল গুলো দেখে বুঝা যাচ্ছে। এত সুন্দর সাজানো মনে হয় খালি মন্ডপ গুলো থাকিয়ে থাকি।

পাকা তেঁতুলের স্বাদের গোল্লা বরফ খেয়ে ভীষণ খুশি সে।

এই স্বাদের যে গোল্লা হয় তা তো জানাই ছিলো না!আমাদের এখানে কখনোই দেখিনি।তাই ভেবেই খেতে ইচ্ছে করছে আমার।
আর দাদা টিনটিন এর এ অভ্যাসের জন্যে কিন্তু খুশি হওয়া উচিত,কারণ সব বাবা মা রা এটাই চায়।আর আপনার মতোই তো বুঝা যাচ্ছে,একেবারে বই পাগল।
যাও,এবার মনে হচ্ছে ঘোরাঘুরিটা ঠিকঠাক হচ্ছে বেশ।
ছবিগুলো বেশ একেবারে আলোকিত,বোঝা যাচ্ছে এলাই ব্যাপার।

বাহ বেশ ঘোরাঘুরি হচ্ছে বোঝা যাচ্ছে । তিন ঘন্টা ঘোরাঘুরি তো অনেক সময় । টিনটিন এত ছোট বয়সেই বই পাগল হয়েছে একদম আপনার মত হবে বোঝা যাচ্ছে । মেলা থেকেও শিক্ষণীয় জিনিসগুলোই কিনেছে । আর পূজো প্যান্ডেল গুলো এতটা জাকজমক হয়ে থাকে মনে হয় যেন এক একটা রাজবাড়ির মত ।ভালো ছিলো।সব সময় ভালো থাকেন ।

দাদা এটা জেনে সত্যিই খুব ভালো লাগলো টিনটিন বাবু প্রথমবার মেলায় ঘুরতে গিয়ে শুধুমাত্র বাচ্চাদের শিক্ষামূলক খেলনা গুলোই কিনেছে। এতটুকু বাচ্চা তার খেলার বিষয়বস্তু বই এবং শিক্ষামূলক কিছু এটা ভাবতেই অবাক লাগে। দাদা এটা নিয়ে আপনি কিছুটা উদ্বিগ্ন হলেও আমি খুব একটা চিন্তার কিছু দেখছি না। মাঝে মাঝে আপনারা ওকে আরো একটু বেশি সময় দিলেই আশা করি সব ঠিক হয়ে যাবে। যাইহোক ফটোগ্রাফি প্রথমটা দেখে ভেবেছিলাম আসলেই জমিদার বাড়ি। অত্যন্ত নিখুঁতভাবে ফটোগ্রাফি গুলো করা হয়েছে এ কারণে আরো বেশি ভালো লাগছে।
এই পুজো মন্ডপটা অনেক জমজমাট মনে হচ্ছে।

প্রথমেই শারদীয় শুভেচ্ছা দাদা। আমি আপনার শারদীয়া দুর্গোৎসব ১৪২৯ : পূজা পরিক্রমা পর্ব ০১ দেখেছি। আজকে আবার আপনার মাধ্যমে **শারদীয়া দুর্গোৎসব ১৪২৯ : পূজা পরিক্রমা পর্ব ০২ দেখছি। অসাধারণ লাগছে মায়ের প্রতিমা গুলো। আপনার মাধ্যমে শারদীয়া মায়ের প্রতিমা দর্শন করতে পেয়ে অনেক আনন্দ উপভোগ করছি। সেই সাথে টিনটিন বাবুর বই পড়ার আগ্রহটাকে আমি সাধুবাদ জানাচ্ছি। আপনি অবশ্যই এতে নিজেকে উদ্বিগ্ন মনে করছেন। এখানে উদ্বিগ্ন হবার কিছুই নেই তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এটা খুবই ভালো লক্ষণ। ও যত বই পড়তে চায় ততই ওর সামনে বই দিয়ে দিবেন। আপনার পরিবারের সকলের জন্য শুভকামনা রইল।

পুজোর প্যান্ডেলটা দেখতে একদম রাজ বাড়ীর মতো লাগছে ভাই , যে সুন্দর কারুকাজ আর আলোকসজ্জা একদম চোখ ফেরানো যাচ্ছে না । টিনটিনের কথা কিছুই বলার নেই। শুধু বলব, বাপ ক্যা বেটা ।

শুভেচ্ছা রইল ভাই ।

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



Good!

খুব সকাল সকাল উঠে পোস্টটি পড়লাম। মাছগুলোর নাম দেখে আর কথাগুলো শুনে কখন রান্না হয় এখন সেই অপেক্ষায় বসে আছি। হাহাহাহা।

টিনটিন খুব ছোটবেলা থেকেই আপনার গুণ পেয়ে গেছে। কিন্তু এই বয়সে হই হুল্লোর খেলাধুলা ছুটাছুটি এসব করে বেড়ানোটা খুব জরুরী।

Hello friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

শ্রদ্ধেয় দাদা, আশা করি ভালো আছেন? প্রথমেই শারদীয় শুভেচ্ছা দাদা। পূজাতে খুব সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। পূজার ফটোগ্রাফি গুলো সত্যি খুব ভালো লাগলো। পূজার প্যান্ডেল বেশ জাকজমক আলোকসজ্জা পূর্ণ দেখে খুব ভালো লাগলো এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অন্তরে অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

দাদা টিনটিন তাহলে আপনার মতই বই পাগল হয়েছে। এই বয়সেই বই পড়ার প্রতি এত মনযোগ আমার কাছে অনেক ভাল লাগছে। আপনার আমিষ তথা মাছ খাওয়ার লিষ্ট আর টিনটিন বাবু শিক্ষনীয় খেলনার লিষ্ট দেখে ভালই লাগলো। ধন্যবাদ দাদা।

ফটোগ্রাফি নিয়ে কিছু বলবো না, কারন আপনার ফটোগ্রাফি বরাবরই একটু ভিন্ন রকম থাকে, তবে কথাগুলো মানে আজকের লেখাগুলোর মাঝে কিছুটা মজা পেয়েছি চুক্তির কথা শুনে, বিবাহিত জীবনে কত কিছু নিয়ে যে আমাদের চুক্তি করতে হয়, হা হা হা হা।

আর খাওয়া দাওয়া ভালো হচ্ছে এটা দারুণ খবর, কারন আমরা বাঙালিরা উৎসব প্রিয় জাতি এবং সেই উৎসবের সাথে সাথে ভোজন রসিকও বটে। তবে টিনটিন এর বিষয়টি সত্যি দাদা কিছুটা ভিন্ন, কারন এই বয়সে অধিকাংশ শিশুরা গেম কিংবা লেখাধুলা নিয়ে বেশী মত্ত থাকে। জ্ঞানী হয়ে উঠুক টিনটিন এই প্রত্যাশা করছি। ধন্যবাদ

এত ব্যস্ততার মাঝেও যে দিদিভাই বুদ্ধি করে সময় আদায় করে নিয়েছে এটা কিন্তু দারুন হয়েছে দাদা 😅👌। এই সুযোগে আপনারও বেশ ঘোরাফেরা হচ্ছে। পুজোর প্যান্ডেল টা অপূর্ব লাগলো দাদা। আর টিনটিন আপনার মত বই প্রেমী হবে বোঝাই যাচ্ছে। ছোট বেলা থেকেই এমন অভ্যেস ,, বড় হলেও যেন এই ধারাটা বজায় থাকে।

অনেক পুজো প্যান্ডেল ঘরে বসেই দেখে নেব দাদা তোমার পুজো পরিক্রমার পর্ব গুলোর মাধ্যমে। এই যুগে যখন মানুষ মোবাইল ফোন, কম্পিউটার নিয়ে ব্যস্ত থাকে আমাদের টিনটিন বাবু ছোটবেলা থেকেই বই নিয়ে থাকতে ভালোবাসে এটা তো আমাদের জন্য আনন্দের বিষয় কারণ আমাদের টিনটিন বাবু বড় হয়ে খুব ভালো কিছু করবে যা তার বইয়ের প্রতি আগ্রহ দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আমাদের টিনটিন বাবুর জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

টিনটিন বাবুর বেশিরভাগ সময় বই নিয়ে কাটে ও আগ্রহের বিষয় বই জেনে ভাল লাগল খুব।

৫টা থেকে ৮ টা ৩ ঘন্টার ভালই চুক্তি করেছেন। আসলেই ব্যস্ততা যতই থাকুক এভাবে টাইম বের করে পরিবারকে দেয়া উচিত।

প্রথমে জানাচ্ছি দূর্গা পূজার অনেক অনেক শুভেচ্ছা দাদা। অনেক পরিকল্পনা করে রেখেছেন দাদা, আশাকরি সব পরিকল্পনায় পূরণ হবে। তবে টিনটিনের বিষয়টা আমিও অবাক হচ্ছি। এই বয়সে ছেলেরা তো খেলাধুলার প্রতি আকর্ষণ থাকে বেশি, খেলানার প্রতি আকর্ষণ থাকে বেশি তবে এটা অনেক ভালো গুণ। সে এখন থেকেই বিভিন্ন ধরনের বই পড়ছে, শেখার চেষ্টা করছে। আপনার মতই টিনটিন অনেক মেধাবি হবে দাদা।

বাহ,দাদা তনুজার বৌদির সাথে আপনার চুক্তিটি দারুণ হয়েছে।দাদা,পুজোর ভোগ ও প্রসাদ খেতে আমার বেশ ভালো লাগে।আমিও খেয়েছিলাম নবমীর দিন খিচুড়ি প্রসাদ।আমার মনে হয় পুজোর দিনে অধিকাংশ মানুষের ঘরে আমিষই বেশি চলে।পাকা তেঁতুলের স্বাদের গোল্লা বরফ এটি প্রথম শুনলাম।এটা ঠিক গ্রামের মেলা বেশি আকর্ষণীয় হয়,ভালো লাগলো টিনটিনের বিষয়ে জেনে।সুন্দর প্রতিমা দর্শন করে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ দাদা।