একটি মজার প্রতিযোগিতা : "ভুল গল্পের ভুল খুঁজে বের করুন" ০১steemCreated with Sketch.

in hive-129948 •  2 years ago 


Copyright free image source : PixaBay


নিচে একটা ছোট্ট গল্পের প্রথমাংশ দেওয়া হলো যার মধ্যে অনেকগুলি ভুল আছে (বানান বা ব্যাকরণগত ছোটোখাটো ভুল নয় কিন্তু ) । অসঙ্গতিপূর্ণ এই সকল ভুল গুলো খুঁজে বের করতে হবে । আসুন দেখি পারেন কি না ?


পোস্টের নিচের কমেন্ট বক্সে ভুল গুলো খুঁজে লিখে ফেলুন । পোস্টটির ষষ্ঠ দিবসে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে ।


সব চাইতে বেশি ভুল যিনি সবার আগে খুঁজে বের করতে পারবেন তার জন্য রয়েছে $২০ ডলার সমমূল্যের আপভোট ।


শ্রাবণ মাসের এক অমাবস্যার রাত । বীরভূমের এক অনামা পাড়াগেঁয়ে স্টেশনে ঠিক সন্ধ্যের মুখে অজিত ট্রেন থেকে নেমে পড়লো । এখনো কিছুটা বেলা অবশিষ্ট রয়েছে । কিন্তু, সজল শ্যামল মেঘের ছায়ায় ছায়ায় পশ্চিম দিগন্ত পুরো ছেয়ে আছে । অস্তগামী সূর্য তারই আবডালে মুখ লুকিয়ে রেখেছে । থেকে থেকে দমকা জোলো হাওয়া দিচ্ছে । আর তারই সাথে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি নামছে মাঝে মধ্যে ।

তাই চারিদিকে ঝুপ করে যেন সন্ধ্যে নেমে গেছে । অজিত স্টেশনে নেমেই অবাক হয়ে গেল । স্টেশন বলতে গেলে জনশূণ্য । জনপ্রাণী কেউ নেই প্লাটফর্মের কোত্থাও । শুধু একটি কোণে স্টেশন মাস্টারের একটা ক্ষুদ্র ঘরে বাতি টিম টিম করে জ্বলছে । সেই লো ভোল্টেজের হলদে আলোয় ঘরটা আরো বেশি আলো-আঁধারি একটা কিম্ভুতকিমাকার অবয়ব সৃষ্টি করেছে ।

ভূতের ভয় অজিতের কোনো কালেই নেই । কিন্তু, বাদল দিনের এই সন্ধ্যায় প্রায়ান্ধকার নির্জন স্টেশনে হঠাৎ তার গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠলো । অনেকটা পথ এই সন্ধ্যেবেলায় নির্জন পথ দিয়ে যেতে হবে ভাবতেই শরীরে একটা বিদ্যুৎ শিহরণ বয়ে গেলো । কিন্তু, উপায় নেই । যেতেই হবে । স্টেশনে রাতটি কাটিয়ে যাওয়ার মতো কোনো বন্দোবস্ত নেই একদমই ।

কি আর করা ! অগত্যা অজিত পা বাড়ালো মেঠো পথে । দু'টি গাঁ পরেই অজিতের শ্বশুর বাড়ি । বিয়ের পর মাত্র একবার এসেছিলো । এখন সন্তান সম্ভবা বধূকে দেখতে আবার চলেছে সে শ্বশুর বাড়ি । লাল কাঁকরের ধুলো ওড়া রাস্তা । প্রতি পদক্ষেপে জুতো তার লাল ধুলোয় ছেয়ে যাচ্ছে । পথের দু'ধারে ঝোপে ঝাড়ে জোনাকি পোকা জটলা পাকিয়ে আছে । থেকে থেকে ঝিঁঝি পোকাদের একটানা ডাক শোনা যাচ্ছে । আর ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর করে অজস্র ব্যাঙের ডাকাডাকি চলছে সমানে । বর্ষার নতুন জল পেয়ে তাদের ভারী ফুর্তি ।

বেশ কিছুটা পথ পেরিয়ে এলো অজিত নির্বিঘ্নে । এরই মধ্যে পুব আকাশে বড় গোলগাল একটা চাঁদ উঠেছে । তারই আলোয় কিছুটা হলেও আঁধার ধূসর হয়ে এসেছে । অজিতের হাতে একটা বড় থলেতে কমলালেবু ভর্তি । সিজনের প্রথম দার্জিলিঙের লেবু । তাই পুরো থলে ভর্তি করেই এনেছে । বাড়িতে তার ছোটো ভাইটি কমলালেবু খেতে ভালোবাসে । তাই তার জন্য একটু বেশি করেই এনেছে ।

দেখতে দেখতে আমতলী গাঁ পার হয়ে গেলো অজিত । এরপরে দেবীতলা গ্রাম । আর দেবীতলার পরের গ্রামই অজিতের গন্তব্য । ঘটনাটা ঘটলো আমতলী গাঁ পার হয়েই যে কাঠের পুলটি পড়ে সেটার কাছে এসে । জৈষ্ঠ্য মাস । তাই আমতলীর ছোট্ট নদীতে জল নেই বললেই চলে । সেই জলে অজিত পরিষ্কার দেখতে পেলো একটা লোক মাছ ধরছে । কিন্তু লোকটি বসে আছে পুলের অপর প্রান্তে আর হাত বাড়িয়ে দিয়েছে নদীর মাঝখান বরাবর ।

সেই দীর্ঘ পঞ্চাশ ফিট হাত দিয়ে সে প্রকান্ড প্রকান্ড মাছ ধরে একটার পর একটা গিলে চলেছে । সেই দৃশ্য দেখে অজিতের গেলো মাথা ঘুরে । মাথার চুল, গায়ের লোম সব খাড়া আলপিনের মতো হয়ে উঠলো ।

[ক্রমশঃ ...]


Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

(১)অনামা পাড়াগেঁয়ে স্টেশন আবার হয় নাকি ?
(২) অমাবস্যার রাত হলে ঠিক সন্ধ্যের মুখে নামবে কি করে ?
(৩)কিছুটা বেলা অবশিষ্ট হবে কেমন করে রাত হলে ?
(৪)অস্তগামী সূর্য আর অমাবস্যার রাত মিল নেই
(৫)শ্রাবণ মাসে ধুলো ওড়া রাস্তা হয় না।
(৬)বৃষ্টি হলে জুতো তার লাল ধুলোয় ছেয়ে যাবে কেন
(৭)অমাবস্যার রাতে আকাশে বড় গোলগাল চাঁদ উঠে নাকি
(৮)প্রথমে ছিল শ্রাবন মাস হলে জৈষ্ঠ্য মাস হয় কেমনে
(৯)ছোট্ট নদীতে জল নেই,তাহলে জলে পরিষ্কার কেমনে দেখবে
(১০)দীর্ঘ পঞ্চাশ ফিট হয় যদি হাত মাঝবরাবর তাহলে নদী ছোট হয় কেমন করে।
(১১)আর বড় নদী হলে কাঠের পুল হয় কেমন করে।
(১২)বর্ষায় নদীর জল শোকায় না।
(১৩)ছোট নদী হলে প্রকান্ড প্রকান্ড মাছ আসে কেমন করে।
(১৪)অমাবস্যার রাত হলে হলে সে দেখবে কেমন করে লোকটির দীর্ঘ পঞ্চাশ ফিট হাত।
(১৫)সিজনের প্রথম দার্জিলিঙের লেবু হয় নাকি।
(১৬)তাই পুরো থলে ভর্তি করেই এনেছে । বাড়িতে তার ছোটো ভাইটি কমলালেবু খেতে ভালোবাসে যাচ্ছে তো শুশুর বাড়ি।
(১৭)শ্যামল মেঘের ছায়ায় ছায়ায় হবে কেমন করে।
(১৮)মাথার চুল কি আলপিনের মতো খাড়া হয়।

Hi, I am new here. Please visit my profile and give me a good vote

Loading...

Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

১.আমাবস্যায় চাঁদ ওঠে না।
২.বর্ষাকালে এত ধুলো সম্ভব না।
৩.অজিত নিজের বাড়ি যাচ্ছে না।যাচ্ছে শ্বশুর বাড়ি।তাই ভাইয়ের জন্য কমলা নেওয়া টা ভুল।
৪.বর্ষাকাল কমলা লেবুর প্রথম সিজন নয়।
৬.বর্ষায় নদী শুকায় না।
৭.প্রথমেই বলা হয়েছে শ্রাবণ, মাস জৈষ্ঠ্য নয়।
৮.যেহেতু চাদের আলো ছিল না অমাবস্যায় তাই অজিতের ব্রিজের অপর পাশে ও লোকটির ৫০ফিট হাতের মাছ ধরা পরিষ্কার ভাবে দেখা সম্ভব না।

০১.গল্পের শুরুতে এক অমাবস্যার রাতের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ঘটনা শুরু হয়েছে সন্ধ্যার মুখে যখন বেলা কিছুটা অবশিষ্ট আছে।
০২. গল্পে বলা হয়েছে প্রতি পদক্ষেপে অজিতের জুতো লাল ধুলোয় ছেয়ে যাচ্ছিলো কিন্তু শ্রাবণ মাসের এই সন্ধ্যায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিলো তাই ধুলো ওড়ার কথা না।
০৩. অজিতের হাতে কমলালেবু ভর্তি যেটা সিজিনাল ফল বলা হয়েছে কিন্তু বর্ষা কালে কমলালেবু তো পাওয়া যায় না। সেটা শীতের সিজনাল ফল।
০৪. বাড়িতে তার ছোটো ভাই কমলালেবু খেতে ভালোবাসে কিন্তু অজিত তো শশুর বাড়ি যাচ্ছিলো।
০৫. গল্পের শুরুতেই দেখলাম শ্রাবণ মাসের গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি কিন্তু আমতলী গাঁ পার হলে জৈষ্ঠ্য মাস শুরু হওয়া সম্ভব না। আর ছোট্ট নদীতে জল না থাকাও বৃষ্টির দিনে সম্ভব না।
০৬.

শ্রাবণ মাসের এক অমাবস্যার রাত । বীরভূমের এক অনামা পাড়াগেঁয়ে স্টেশনে ঠিক সন্ধ্যের মুখে অজিত ট্রেন থেকে নেমে পড়লো

সজল শ্যামল মেঘের ছায়ায় ছায়ায় পশ্চিম দিগন্ত পুরো ছেয়ে আছে

আর তারই সাথে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি নামছে মাঝে মধ্যে ।

প্রতি পদক্ষেপে জুতো তার লাল ধুলোয় ছেয়ে যাচ্ছে

এরই মধ্যে পুব আকাশে বড় গোলগাল একটা চাঁদ উঠেছে

সিজনের প্রথম দার্জিলিঙের লেবু

জৈষ্ঠ্য মাস । তাই আমতলীর ছোট্ট নদীতে জল নেই বললেই চলে

আমতলীর ছোট্ট নদীতে জল নেই বললেই চলে
সেই দীর্ঘ পঞ্চাশ ফিট হাত দিয়ে সে প্রকান্ড প্রকান্ড মাছ ধরে একটার পর একটা গিলে চলেছে ।

এই ভুল গুলো পেলাম দাদা।

১. অমাবস্যার রাত অথচ বেলা।
২. অমাবস্যার রাত তাই বেলা অবশিষ্ট থাকতে পারে না।
৩. অমাবস্যার রাত ঘুটঘুটে অন্ধকার হয় তাই সজল শ্যামল মেঘ দেখতে পাওয়ার প্রশ্নই নেই।
৪. অমাবস্যার রাত যেখানে অস্তগামী সূর্য দেখতে পাওয়া অসম্ভব।
৫. যেহেতু রাত হয়ে গেছে তাই সন্ধ্যেও অনেক ক্ষন আগেই পেরিয়েছে।
৬. বর্ষার মধ্যে লাল কাঁকরের ধুলো সম্ভব না।
৭. গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে প্রতি পদক্ষেপে জুতো তার লাল ধুলোয় ছেয়ে যাওয়া অসম্ভব।
৮. আমাবস্যার রাতে চাঁদ ওঠে না।
৯. বর্ষাকালে কমলালেবু ওঠে না।
১০. অজিত শ্বশুর বাড়ি যাচ্ছে তাই ভাইয়ের জন্য কমলা নেওয়া টা ভুল।
১১. শ্রাবণ মাস আর জৈষ্ঠ্য মাস এক সাথে হতে পারে না।
১২. বর্ষায় নদীর জল শোকায় না।
১৩. যেহেতু অমাবস্যার রাত তাই জলে পরিষ্কার দেখতে পাওয়ার কথা না।

১. সন্ধ্যাবেলায় অমাবস্যা দেখা যায় না।
২.টিম টিম,
৩.কিন্তুর পর (,) হয় না
৪.খাড়া আলপিন একসাথে হয় না,
৫.দার্জিলিঙের লেবু ভাইয়ের জন্য কেনা হয়নি, ৬.সিজনের প্রথম দার্জিলিঙের লেবু কেনা হয়েছে। কিন্তু শীতের সময় প্রথম সিজন।
৭.অমাবস্যা চাঁদ দেখা যায় না,
৮.জৈষ্ঠ্য মাস নদী ভরপুর থাকে,
৯.আর চাঁদের আলোয় লোকটিকে দেখা সম্ভব নয় কারণ তখন চাঁদ অন্ধকারে ডুবে থাকে, ১০.বর্ষার মধ্যে লাল কাঁকরের ধুলো থাকে না।
১১.ছায়ায় ছায়ায়,

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

HI, I am new here. please give me a good vote

শ্রাবণ মাসের এক অমাবস্যার রাত । বীরভূমের এক অনামা পাড়াগেঁয়ে স্টেশনে ঠিক সন্ধ্যের মুখে অজিত ট্রেন থেকে নেমে পড়লো । এখনো কিছুটা বেলা অবশিষ্ট রয়েছে ।

সজল শ্যামল মেঘের ছায়ায় ছায়ায় পশ্চিম দিগন্ত পুরো ছেয়ে আছে । অস্তগামী সূর্য তারই আবডালে মুখ লুকিয়ে রেখেছে । থেকে থেকে দমকা জোলো হাওয়া দিচ্ছে । আর তারই সাথে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি নামছে মাঝে মধ্যে ।

দু'টি গাঁ পরেই অজিতের শ্বশুর বাড়ি । বিয়ের পর মাত্র একবার এসেছিলো । এখন সন্তান সম্ভবা বধূকে দেখতে আবার চলেছে সে শ্বশুর বাড়ি ।

লাল কাঁকরের ধুলো ওড়া রাস্তা । প্রতি পদক্ষেপে জুতো তার লাল ধুলোয় ছেয়ে যাচ্ছে ।

সিজনের প্রথম দার্জিলিঙের লেবু । তাই পুরো থলে ভর্তি করেই এনেছে । বাড়িতে তার ছোটো ভাইটি কমলালেবু খেতে ভালোবাসে । তাই তার জন্য একটু বেশি করেই এনেছে ।

জৈষ্ঠ্য মাস । তাই আমতলীর ছোট্ট নদীতে জল নেই বললেই চলে । সেই জলে অজিত পরিষ্কার দেখতে পেলো একটা লোক মাছ ধরছে । কিন্তু লোকটি বসে আছে পুলের অপর প্রান্তে আর হাত বাড়িয়ে দিয়েছে নদীর মাঝখান বরাবর ।

দীর্ঘ পঞ্চাশ ফিট হাত দিয়ে সে প্রকান্ড প্রকান্ড মাছ ধরে একটার পর একটা গিলে চলেছে । সেই দৃশ্য দেখে অজিতের গেলো মাথা ঘুরে।

উপরের লেখার মধ্যে ভূল পেয়েছি দাদা।

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



১.গল্পের শুরুতে বলা হয়েছে শ্রাবণ মাস,কিন্তু শেষে বলা হয়েছে জৈষ্ঠ্য মাস।
২.পশিম দিগন্ত মেঘের ছায়ায় ঢেকে থাকবে না,কারণ সূর্য পশ্চিম দিকেই অস্ত যাচ্ছে।
৩.একবার বলা হয়েছে অজিত স্টেশনে নামার পরও আলো ছিল।পরেই আবার বলা হয়েছে অজিত নামতেই দেখলো অন্ধকার হয়ে আছে - পরস্পরবিরোধী কথা।
৪.যেহেতু বৃষ্টি হচ্ছে তাই ধুলো ওড়া সম্ভব না।
৫.তাই জুতোতে লাল ধুলো লাগতে পারে না।
৬.জোনাকি পোকা জটলা বেঁধে থাকে না।ছড়িয়ে ছিটিয়ে উড়তে থাকে।
৭. অমাবশ্যার রাত,তাই বড় চাঁদ উঠা সম্ভব না।
৮. বসন্ত মাসে দার্জিলিং লেবু উৎপাদন হয়,তাই এই শ্রাবণ মাসে সিজনের প্রথম লেবু হতে পারেনা।(source:

)
৯. অজিত শশুরবাড়ি যাচ্ছে,শশুরবাড়ি তে তার শালা থাকাটা স্বাভাবিক,কিন্তু ভাই থাকাটা অস্বাভাবিক।
১০.প্রথমেই বলা হয়েছে এটা শ্রাবন মাস,তাই নদীতে জল নেই ব্যাপারটা ভুল।
১১.অন্ধকার রাত,তার উপর অমবস্যা তাই স্পস্ট দেখা সম্ভব না।
১২.নদীতে জল যদি না থাকে,তার পরও পঞ্চাশ ফুটের হাত শুধু নদীর মাঝ খানেই পৌঁছাচ্ছে।তার মানে নদীর প্রস্থ ১০০ ফুট।তাহলে নদীটিকে ছোট নদী কখনোই বলা যাবে না।
১৩.নদীতে জল নেই তারপরও এত বড় মাছ থাকা একটু অস্বাভাবিক।

আপাতত এই কয়েকটি অযৌক্তিক মনে হল।

Loading...

এই প্রতিযোগিতাটি দৈনিক সক্রিয় প্রতিযোগিতার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে

Contest Alerts: Active Contest List on 12th Jan 2023 - Win 1900+ STEEM

আরও আপডেটের জন্য অনুসরণ করুন এবং রিস্টিম করুন।
#ContestAlerts #winwithsteem

great

পুব আকাশে চাঁদ উঠেনা আর আমাবস্যার রাতে প্রশ্নই আসেনা।
প্রথমে শ্রাবন মাস বলে পরে জৈষ্ঠ্য মাস বলা হয়েছে।
শ্বশুর বাড়িতে গেলে ভাইয়ের জন্য কমলালেবু কেন
আমাবস্যার রাতে এসব ভুত দেখার কথা না।
কমলালেবুর সিজন শুরু হয় হেমন্তকালে
মেঘ শ্যামল (সবুজ) হয় কি করে

good bro

১.অমাবস্যার রাত, কিন্তু ট্রেন থেকে নামলো সন্ধ্যার পূর্বে? এটা ভুল
২.অমাবস্যার রাত যেহেতু, তো সবুজ শ্যামল পশ্চিম আকাশ মেঘের ছায়ায় চেয়ে থাকবে না!
৩.অনামা পাড়াগায়ে কখনো স্টেশন হওয়ার কথা না!
৪.বর্ষাকালে রাস্তায় ধুলো থাকে না!
৫.জোনাকি পোকা, ঝিজিপোকাও বর্ষাকালে দেখা যায় না
৬.গুড়িগুড়ি বৃষ্টির রাতে চাদঁ উঠার কথা না!
৭.আলো পেলে কখনো আধার ধূসর হয়না!
৮.শ্বশুর বাড়িতে যাচ্ছে, ভাইকে দেখার জন্য এটা ভুল!
৯.কমলালেবু থলেতে, কিন্তু এখানে দার্জিলিং এর লেবুর কথা বলা হয়েছে!
১০.শ্রাবণ মাসের কথা বলা হয়েছিল শুরুতে, সেখানে জৈষ্ঠ মাস হয় কি ভাবে!
১১.যেহেতু অন্ধকার তাই লোকটির মাছ ধরার দৃশ্য দেখতে পারবে না

১.শ্রাবণ মাসের এক অমাবস্যার রাত । বীরভূমের এক অনামা পাড়াগেঁয়ে স্টেশনে ঠিক সন্ধ্যের মুখে অজিত ট্রেন থেকে নেমে পড়লো ।

২.থেকে থেকে দমকা জোলো হাওয়া দিচ্ছে ।

৩.তাই চারিদিকে ঝুপ করে যেন সন্ধ্যে নেমে গেছে ।

৪. আর তারই সাথে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি নামছে মাঝে মধ্যে ।

৫.লাল কাঁকরের ধুলো ওড়া রাস্তা

৬.প্রতি পদক্ষেপে জুতো তার লাল ধুলোয় ছেয়ে যাচ্ছে ।

৭.এরই মধ্যে পুব আকাশে বড় গোলগাল একটা চাঁদ উঠেছে ।

৮.অজিতের হাতে একটা বড় থলেতে কমলালেবু ভর্তি । সিজনের প্রথম দার্জিলিঙের লেবু ।

৯.জৈষ্ঠ্য মাস । তাই আমতলীর ছোট্ট নদীতে জল নেই বললেই চলে

১০.কিন্তু লোকটি বসে আছে পুলের অপর প্রান্তে আর হাত বাড়িয়ে দিয়েছে নদীর মাঝখান বরাবর ।

১১.সেই দীর্ঘ পঞ্চাশ ফিট হাত দিয়ে সে প্রকান্ড প্রকান্ড মাছ ধরে একটার পর একটা গিলে চলেছে।

১২.সেই লো ভোল্টেজের হলদে আলোয় ঘরটা আরো বেশি আলো-আঁধারি একটা কিম্ভুতকিমাকার অবয়ব সৃষ্টি করেছে ।

১৩.পথের দু'ধারে ঝোপে ঝাড়ে জোনাকি পোকা জটলা পাকিয়ে আছে ।

Loading...

01/ অনামা পাড়াগেঁয়ে ট্রেন স্টেশন থাকে না।
02/ অমাবস্যার রাত আবার বেলাও আছে..কিভাবে?
03/সজল শ্যামল নয় সবুজ শ্যামল হবে।
04/ বাদল দিনে লাল কাঁকরের ধুলো ওড়া রাস্তা হয় না। আর প্রতি পদক্ষেপে জুতো তার লাল ধুলোয় ছেয়ে যায় না।
05/ বাদল দিনে জোনাকি পোকাও থাকে না।
06/ পুব আকাশ নয় পূর্ব আকাশ।
07/ শশুর বাড়িতে ভাই থাকে না শালাবাবু থাকে।
08/ প্রথম বলছেন শ্রাবণ মাসে পরে আবার জৈষ্ঠ্য মাস কিভাবে।
09/বর্ষার মাসে আবার নদীতে জল নেই কিভাবে।
10/ দীর্ঘ পঞ্চাশ ফিট হাত দিয়ে যদি নদীর মাঝ খান থেকে মাছ ধরে তাহলে সেটা ছোট নদী নয়।
11/ অমাবস্যার রাতে আকাশে বড় গোলগাল চাঁদ উঠে না।
12/ বর্ষাকালে কমলালেবু ওঠে না।