চলুন যাওয়া যাক মূল পর্ব।
ঈদুল আযহা উপলক্ষে গরুর হাট পরিদর্শনের আনন্দ।
আমি একজন মুসলিম পরিবারের ছেলে, আর মুসলমানের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে দুটি, ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা। আর সেই ঈদুল আযহা কে কেন্দ্র করে গরুর হাটের উপস্থিতি। যেখানে থাকে আমাদের গরু দেখার আনন্দের মিছিল। সেখানে হাজার রকমের গরু থাকে বড় ছোট রং বেরঙের এবং কি যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী গরু কিনতে হাটে যায়। তবে গরু কিনা এবং কি দেখার মধ্যে দুটো পার্থক্য রয়েছে। দেখার আনন্দ সবচেয়ে বড় আনন্দ এবং কি যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী কোরবানি করে। এবং কি ইসলামের বিধি অনুসারে সৃষ্টিকর্তার আদেশ পালন করার চেষ্টা করে প্রত্যেক মুসলমান।
আমার মনে হয় গরু দেখার আনন্দ যেমন কোন অংশে কম নয়। তেমনি গরুর দাম জানাটাও একটা বিশাল বড় আনন্দ। আমার ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকে হঠাৎ করে এত জড় র্যাপ্টা বয়ে যাবে যা আমি কখনো কল্পনাও করিনি। এবং কি দীর্ঘদিন যাবত কাজের অনুপস্থিতি যা আমাকে সত্যি ই খুব যন্ত্রণা দিয়েছে, যা আমি বলে বা লিখে বোঝাতে পারবো না। দীর্ঘদিন পর আবার আপনাদের মাঝে আসতে পেরে আমি আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। এবং সবার দোয়ায় আমার বাংলা ব্লক পরিবারের সাথে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।
চলুন একবার ঘুরে আসি কোরবানির পশু গরুর ছাগলের হাট থেকে।
এই গরুটা যখন বিক্রি হচ্ছিল তখন একজন শিল্পপতি আসলো, আনুমানিক তিন চারটা গরু কেনার উদ্দেশ্য তখন দেখলাম তার পিএস কথা বলছে গরু বেপারীর সাথে। কিছুক্ষণ দাঁড়ালাম শেষ পর্যন্ত গরুটা বিক্রি হলো 2 লক্ষ টাকা। দেখতে বেশ নাদুসনুদুস ছিল এবং আকর্ষণীয় একটা গরু। তবে আমাদের গ্রাম অঞ্চলে এই গরুটার দাম ছিল প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা বাড়িতে যাওয়ার পর অনুমান করতে পারলাম।
এবছর গরুর বাজারে প্রত্যেকটা গরু ছিল খুবই আকর্ষণীয় এবং কি খুব সুন্দর। আর বেশির ভাগই ছিল ষাঁড় গরু। তবে সত্যি কথা বলতে এই বছর আমি ছাগলের হাটে একেবারেই যাওয়া হয়নি, আর মূলতো কারণ ছিল আমার দুঃসময়।
গরু গুলো দেখতে এতটাই সুন্দর লাগছে যা সত্যিই নিজের মন প্রাণ জুড়িয়ে গিয়েছে।
কোরবানির হাটে পশু দেখার আনন্দের সেই মিছিল এখন আর হয় না। চাচাতো ভাই, ফুফাতো ভাই, খালাতো ভাই, কাকা, বড় ভাইদের সাথে যাওয়ার আনন্দটা এখন অনেকটা মাটি হয়ে গেছে।
তবুও শৈশবের সেই আনন্দঘন মুহূর্তগুলো উপভোগ করার জন্য ছুটে চলা সেই কোরবানির পশুর হাটে।
কিন্তু হাজার চেষ্টা করলেও সেই সময়টা ফিরে পাওয়া খুব কষ্টসাধ্যের ব্যাপার।
অবশেষে বাড়িতে গিয়ে দেখতে পেলাম আমাদের কোরবানির পশু আমি যাওয়ার আগেই ক্রয় করা হয়ে গিয়েছে। তবে সাধ্য অনুযায়ী কিনেছিলাম মাজারি সাইজের একটা কোরবানির পশু দেখে খুবই ভালো লাগলো। কালারটা খুব পছন্দের ছিল, দাম ছিল ৮৩ হাজার টাকা, তবে আর দুই এক দিন পরে কিনলে হয়তো এই গরুটাই ১ লাখ টাকার উপরে কিনতে হতো। সব মিলিয়ে কোরবানির আনন্দটা ভালই উপভোগ করেছি। আর সেই উপভোগের আনন্দটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি।
Cuddles 🐈 and chuckles. 😂
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ছোট বেলার ঈদের আনন্দ বড় হওয়ার পর এখন অনেকটায় ফিকে হয়ে গেছে। তারপরেও কিছু কাজ করার মাঝে সেই আনন্দ যেন ফিরে ফিরে আসে।
কোরবানি ঈদের প্রায় মাস হতে চলল স্মৃতি গুলো জমিয়ে রেখে আমাদের সাথে শেয়ার করলেন খুব ভাল লাগলো। ধন্যবাদ প্রিয় ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে ভাইয়া দীর্ঘ কয়েক দিন যাবত কাজ না করতে পেরে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পারেনি। এ কারণেই লেট হয়ে গিয়েছে, তবুও স্মৃতিগুলো জমিয়ে রেখেছি ঠিকই বলেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit