হ্যাল্লো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি @shahid540 বাংলাদেশ থেকে। বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের মাঝে তাজহাট জমিদার বাড়ি ঘোরার কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করব। চলুন শুরু করা যাক:-
তাজহাট জমিদার বাড়ি ঘুরার অভিজ্ঞতা:
বন্ধুরা পুনরায় চলে আসলাম আজকে রংপুর তাজহাট জমিদার বাড়ি ঘোরার অভিজ্ঞতার তৃতীয়তম পর্ব নিয়ে। আসলে এরকম দার্শনিয় জায়গাগুলোতে ঘুরলে নতুন রকমের কিছু অভিজ্ঞতা মিলে এটা কিন্তু স্বাভাবিক। আজকে এই পর্বে বর্ণনা করবো জমিদার বাড়ির সামনে পিছনে এবং আশেপাশের কিছু কথা আর এই রাজবাড়ীর কিছু পুরনো ইতিকথা।
ধারণা করা হয় বিংশ শতকের শুরুর দিকে মহারাজা গোপাল লাল রায় এই প্রসাদের নির্মাণ করেন। ১৯৯১ সালের দিক এটি হাইকোর্টের বেঞ্চ হিসাবে ব্যবহার করা হতো। ১৯৯৫ সালের দিক এটি রংপুরের প্রত্নতত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। আর ২০০২ সালে এটিকে রংপুর জাদুঘর নামে উল্লেখ করা হয়। তারপর থেকে আমাদের রংপুরের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন এবং দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে হতে একটি রংপুর রাজবাড়ী বা রংপুর জাদুঘর নামে পরিচিত লাভ করে।
সে সময়কার তথ্যমতে এই প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনকে উদ্ভাবন করে তৎকালীন সময়ের রাষ্ট্রপতি লেফটেন্যান্ট জেনারেল হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ। শ্রদ্ধেয় এরশাদ স্যারের ইতিকথা এবং নীতিকথা সবকিছুই আমরা ইতিহাস থেকে জেনে নিয়েছি। আমাদের রংপুরের মানুষদের জন্য তিনি একজন মহান নেতা ছিলেন। যিনি আমাদের রংপুরের কৃতি সন্তান। উদ্বোধনের সালটা ছিল ১৮ই মার্চ ১৯৮৪।
এখন আসা যাক প্রাসাদটির কোথায়। এই প্রাসাদটি মূলত বিদেশ থেকে মার্বেল পাথর নিয়ে এসে নির্মাণ করেছেন। প্রত্যেকটা কারু কাজ একটা রোল মডেল হিসেবে তৈরি করেছিলেন। প্রাসাদটির দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে একটি কক্ষে বড় বড় দেব-দেবীর মূর্তি ছিল দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য এটাই যে ,সেগুলো অনেক আগেই হারিয়ে গেছে। মাঝখানের গম্বুজ টিকে প্রসারটির কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে ধরা হয়। পুরো প্রাসাদটির মধ্যে ছোট বড় মিলে মোট ২২ টি কামরা রয়েছে।
প্রাসাদে ঢোকার পূর্বেই সামনের দিকে বেশ কিছু কারুকার্য দেখতে পারবেন যেগুলো কেবলমাত্র বৃক্ষ কেটেই তৈরি করা হয়েছে কোনোগুলো তো শুধুমাত্র ঘাস কেটে সুন্দর করে ডিজাইন করা হয়েছে। আমাদের দেশের মানচিত্র আবার এটাও লেখা রয়েছে রংপুর রাজবাড়ী এক পাশে আবার অন্য পাশে লেখা আছে তাজহাট জমিদার বাড়ি।
পিছনের এবং সাইট গুলোর দিকে ভিন্ন রকম কালার দিয়ে সুন্দর করে ডিজাইন করা হয়েছে। মূল প্রাসাদটি হতে দক্ষিণ দিকে পাবেন সুন্দর এবং মনোরম একটি পরিবেশ। শুধুমাত্র বড় বড় গাছ গাছালি দ্বারা ভরপুর এবং কয়েকটি কুকুর ও রয়েছে। যেগুলোতে বসার জন্য খুব সুন্দর এবং উপযোগী জায়গা করে দিয়েছে।
প্রাসাদের ভেতরে ঢুকেই বামদিকে দেখতে পারবেন প্রাসাদ সম্পর্কে সব ডিটেলস এবং আরো অনেক তথ্য। তাছাড়াও রাজবাড়ীর উপর তথা ছাদ এর মধ্যেও চমৎকার রকমের কারুকার্য করা রয়েছে। যাতে রয়েছে সুন্দর রকমের ডিজাইন। সব মিলিয়ে প্রাসাদের ভেতরের অংশে ঢুকলে আপনার মনে হবে কোন এসি রুমে ঢুকেছি। যেখান থেকে বের হওয়ার ইচ্ছা শেষ হয়ে যাবে।অসম্ভব সৌন্দর্যতায় পরিপূর্ণ। যার আরো চমৎকার বর্ণনা এবং পিকচার দিব পরবর্তী পর্বে আজকের মত এ পর্যন্তই............
আশা করছি আমার আজকের এই লেখাটি বেশ ভালো লেগেছে আপনাদের। আমার লিখে যাওয়া এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল, সেই সাথে আমার পোস্টের নিচে করা আপনাদের দুর্দান্ত মন্তব্য গুলিও থেকে যাবে অনন্তকাল।তাই গভীর আশা ব্যক্ত করছি আপনাদের দুর্দান্ত মন্তব্য গুলো দেখতে পাবো কমেন্ট বক্সে।
Device | Redmi 9A |
---|---|
Camera | 13 MP |
Country | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
vote@bangla.witness as a witness
এই স্থানের নাম যেমন অপরিচিত ঠিক তেমনি অচেনা একটি জায়গা। আর সেই জায়গা সম্পর্কে অনেক ধারণা দিয়েছেন। তাই বেশ কিছু জানার পর দেখার সুযোগ হয়েছে। অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন জমিদার বাড়ি সম্পর্কে। এত সুন্দর একটি ব্লগ শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অচেনা হলেও একটি চমৎকার জায়গা ভাই। হাতে সময় করে এসে দেখে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। যাই হোক গুছিয়ে সুন্দর করে মন্তব্যটি করার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit