হ্যালো..........
আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি @shahid540 বাংলাদেশ থেকে।বন্ধুরা আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।চলুন আজকের ব্লগ টি শুরু করা যাক।
সময়ের গতি বোঝা বড়ই দুষ্কর। মনে হচ্ছে এইতো কিছুদিন আগেই শীতকাল পেরিয়ে আসলাম। দেখতে না দেখতেই পুনরায় নতুন আরো একটি শীতকাল চলে আসলো আমাদের মাঝে। এভাবেই চলে যাচ্ছে দিনের পর দিন, রাতের পর রাত ,মাসের পর মাস, বছরের পর বছর। ঢলে যাচ্ছি আমরা সেই চিরসত্য মৃত্যুর কোলে। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আমাদের জীবনে অনেক স্মৃতি থেকে যায় যেগুলো ক্ভুও ভুলবার নয়। সেই স্মৃতি থেকেই শৈশবের কিছু সোনালী স্মৃতির কথা বলে নেব আজকে।
আমি বলছি বাংলা সনের সেই পৌষ এবং মাঘ মাসের রূপ কথা। এই দুই মাসকে ঘিরেই যেন অসংখ্য স্মৃতি জড়িয়ে আছে আমাদের প্রত্যেকের জীবনে। যা আমাদের জীবনে স্মৃতির পাতায় অবিস্মরণীয় সোনালী শৈশব।
খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠে তারপর মিটিমিটি পায়ে বন্ধুদের ডেকে নিয়ে মক্তবে যাওয়া। ঠান্ডায় কাপু কাপু অবস্থা। তারপরেও যেন বাসায় আব্বু-আম্মুর উত্তম মাধ্যমে পা মক্তবের দিকে বাড়ানোর জন্য অথৈ ব্যস্ত থাকে। অবশেষে বন্ধুদের নিয়ে মক্তবের পড়া শেষ করে বাসায় এসে কেউবা যেত জমিতে ধান কুড়াতে আবার কেউবা বসতো স্কুলের পড়া পড়তে আবার কেউবা খেলায় মেতে উঠত রেকেট, গোল্লাছুট, মার্বেল এবং লাঠিম খেলা। আহাঃ কি এক নিদারুন শৈশব।
কখনো কখনো খুব ভরে উঠেই ঘুম থেকে দেখা যায় আম্মু এবং দাদিমা সহ উনুনের পাশে বসেছে নানা রকম পিঠা তৈরি করার জন্য। অন্যতম ছিল ভাপা পিঠা। সকালবেলা ভাপা পিঠা আর খেজুরের রস সংমিশ্রণে কি এক লোভনীয় পিঠাপুলির সমাহার থাকতো পুরো উনুনের উঠোন জুড়ে। যা কতই না মজা করে খেতাম আমরা। আহঃ পুনরায় যদি ঐ শৈশবে ফিরতে পারতাম। সেই পিঠা পুলি খেয়েই জমিতে কাজ করার উদ্দেশ্যে রওনা দিত বাড়ির সব কর্তারা।
আমরা চলে যেতাম কাপু কাপু অবস্থায় স্কুল বা মাদ্রাসার দিকে। সেই প্রতিষ্ঠানে যেও শান্ত ছিলাম না আমরা, রাস্তা দিয়ে ইক্ষু বোঝাই গাড়ি যেত আর সেই গাড়ির পিছনে দৌড়ে দৌড়ে ইক্ষু ফেলতাম কজন, আর কজন পিছনে ইক্ষুগুলো কুড়িয়ে কুড়িয়ে জমা করতো। আর মজা করে খেতাম পরে। বাসায় এসেই দুমুঠো খাওয়া করে দৌড় দিতাম খেলার মাঠে। খেলতাম হয়তো ক্রিকেট না হয় ফুটবল। সন্ধ্যে হলে আবার নাস্তা করেই হয়তোবা রেকেট না হয় ভলিবল খেলা হত আঁধারে লাইট জ্বালিয়ে।
তারপরে বাসায় এসে আর শরীর চলতো না কিছুক্ষণ লেখাপড়া করেই গভীর ঘুমে আচ্ছাদিত হয়ে পড়তাম বিছানায়। পুনরায় সকালে উঠে একইভাবে চলতো পুরো শীতকাল। কিন্তু এগুলো এখন আর দেখা যায় না শুধুই স্মৃতির পাতায় থেকে যাবে চিরকাল।এখনকার সময়ের ছেলে-পুলেরা মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকে।সেগুলো এরা বুঝবেই না যেন। যাই হোক সেই কথা মনে পড়ে গেলো তাই একটু পুরনো স্মৃতিতে নাড়া দেওয়ার চেষ্টা করলাম । কেমন হলো আজকের লেখা? জানাতে কিন্তু ভুলবেন না....
আমার লিখে যাওয়া এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল, সেই সাথে আমার পোস্টের নিচে করা আপনাদের মন্তব্য গুলিও থেকে যাবে অনন্তকাল।তাই গভীর আশা ব্যক্ত করছি কমেন্ট বক্সে আপনাদের দুর্দান্ত মন্তব্য গুলো দেখতে পাবো।
Device | Redmi 9A |
---|---|
Camera | 13 MP |
Country | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
vote@bangla.witness as a witness
শীতকালের শৈশব অনেক সুন্দর ছিল। শীতের শৈশবের স্মৃতিগুলো এখনো অনেক মনে পড়ে। আপনার এই পোস্ট পড়ে আমার নিজের শৈশবের স্মৃতি মনে পড়ে গেল ভাই। অনেক ভালো লাগলো আপনার এই পোস্ট দেখে। ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলেই শৈশবের স্মৃতি অনেক মধুর।আর এই সময়ে অনেক খেলাধুলা এবং খাওয়ার মজা উপভোগ করা হতো।কিন্তু আপনাদের ইক্ষু নেওয়ার ঘটনাটি পড়ে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মধুর শৈশব আপনার। আমাদের সকলেরই শৈশব নির্মল হয় বিশেষ করে যারা গ্রামে বড় হয়েছে তাদের জীবনে তো আনন্দ স্মৃতির কোন অভাব নেই। আপনার ভাপা পিঠা খাওয়ার গল্প এবং খেলাধুলার গল্প মনোরম লাগল পড়ে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit