রবিবারের আড্ডা ৫৩- জীবনের গল্প - প্রথম পর্ব

in hive-129948 •  last year  (edited)

Special_Jiboner_golpo.png

ব্যানার ক্রেডিট @hafizullah

সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগের নতুন আয়োজন জীবনের গল্পের শো-তে । মূলত আমরা যেহেতু প্রথম থেকেই বলেছিলাম, রবিবারের আড্ডার কিছুটা ভিন্নতা হবে, ঠিক সেই ভিন্নতার জায়গা থেকেই, এই সংযোজন। মানুষের জীবনে কত গল্পই তো থাকে, কত সুখস্মৃতি থাকে, থাকে পাওয়া না পাওয়ার অভিজ্ঞতা কিংবা হারিয়ে ফেলার তিক্ততা , কিংবা থাকে সফলতার হাজারো গল্প, যা হয়তো অনায়াসেই, অন্য কাউকে অনুপ্রাণিত করে ফেলে মুহূর্তেই। এই গল্পগুলো হয়তো অজানাই থেকে যায়, আমরা আসলে কান পেতে থাকি, এই গল্পগুলো শোনার জন্য। এইজন্য বাংলা ব্লগ আয়োজন করেছে, জীবনের গল্প। যেখানে অতিথি তার নিজের জীবনের গল্প অন্যদের সামনে অনায়াসেই বলে ফেলবে এবং অতিথি নিজের থেকেও বেশ হালকা হবে, সেটা হয়তো মনের দিক থেকে।

আজকের অতিথিঃ @rme

প্রতিষ্ঠাতাঃ আমার বাংলা ব্লগ

98.PNG
স্ক্রিনশট ক্রেডিটঃ @rupok

বন্ধুরা চলুন তাহলে আজকের অতিথির জীবনের গল্প শোনা যাক?

জীবনের গল্প বলতে গেলে তো আসলে অনেক কিছুই বলা লাগবে, হয়তো তাহলে এক ঘন্টার শো'তে সেটা সম্ভব হবে না। তারপরেও কিছু টুকরো টুকরো ঘটনার স্মৃতিচারণ করা যেতে পারে। আমি আসলে ছোটবেলা থেকেই ভীষণ পেটুক স্বভাবের ছিলাম, প্রচুর খেতে পছন্দ করি আর সঙ্গে ঘুমোতে। তাছাড়া এ দুটোর জন্যই তো জীবন। পেট ভরে খাওয়া দাওয়া আর শান্তিতে ঘুমানো। এসবের জন্যই তো এত ছোটোছুটি। তাই এই দুটো বিষয় আমার কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।

ছোটবেলা থেকে আমি খুব প্লেফুল ছিলাম। যদিও আমরা তিন ভাই, তবে বড় ভাইকে খুব বেশি কাছে পাইনি। তাই আমরা দু ভাই প্রচুর খেলাধুলা করেছি। এখন যেমন শুয়ে বসে কাজ করছি, ছোটবেলায় আসলে তেমনটা ছিল না, আমি ভীষণ হালকা-পাতলা গড়নের ছিলাম। তাছাড়া দুরন্তপনা আমার ভিতরে সর্বদা কাজ করতো। আমাকে আসলে বাড়িতে বসিয়ে রাখা বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে যেত বাবা-মার।

বিশেষ করে আমার কাকুর বিয়েতে তখন বাড়িতে ছোটরা মিলে সবাই দৌড় প্রতিযোগিতা করেছিলাম, সেই সময় আমার এক কাজিনের শরীরের সঙ্গে ধাক্কা লেগে আমি অনেকটা দূরে ছিটকে গিয়েছিলাম এবং পড়ে গিয়ে আমার হাত ভেঙে যায়। তারপরে দীর্ঘ একমাস আমার হাতে ব্যান্ডেজ করা ছিল এবং তখন আমি মায়ের কোলেই আরাম আয়েশে থাকতাম। মূলত তারপর থেকেই আমার ছোটাছুটি কিছুটা কমেছে এবং বই পড়ার প্রতি কিছুটা দুর্বলতা তখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল। বই পড়া আমার এতটাই পরবর্তীতে নেশাতে পরিণত হয়ে গিয়েছিল যে, ক্লাস সেভেনে ওঠার পরে আমার চশমা নিতে হয়েছিল। তার কারণ ছিল মাত্র অতিরিক্ত বই পড়া। সব ধরনের বই পড়তাম, হাতের কাছে যেটা পেতাম সেটাই কিনতাম এবং পড়তাম। যদি এখন কাজের চাপে সেভাবে পড়তে পারি না, তবে এখন ডিজিটাল ভার্সন বইগুলো পিডিএফ আকারে যেগুলো আছে সেগুলো ডাউনলোড করে পড়ার চেষ্টা করি। অজস্র পিডিএফ বই আছে আমার সংগ্রহে।

আমার জীবনটা কিন্তু একদম আলু ভাতের মতো না। ছোটবেলা থেকে বড় অবধি অনেক বিপদের মুখে পড়েছি। জীবননাশের হুমকি পর্যন্ত পেয়েছিলাম। কোমরে পিস্তল আমার ঠেকিয়েছিল, যদিও সেই বিষয়ে লেখা হয়নি, তবে পরে সময় সুযোগ পেলে লিখব। তাছাড়াও ছোটবেলায় দুইবার আমি মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে গিয়েছিলাম, একবার নৌকোর নিচে পড়ে গিয়েছিলাম মাছ ধরতে গিয়ে আর একবার হিলিয়াম এবং হাইড্রোজেন গ্যাসের মাধ্যমে বেলুন ফুলাতে গিয়ে বিস্ফোরণের শিকার আমি হয়ে ছিলাম। সেবার অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছিলাম,আমার মাথার চুল ভ্রু সবকিছু পুড়ে গিয়েছিল । তাছাড়া দুবার গোখরা সাপের তাড়া খেয়ে ছিলাম। ষাঁড়ের গুতো খেয়েছিলাম, সব মিলিয়ে বলা যায় ছোটবেলাটা বেশ আমার দুরন্তপনায় কেটেছে।

যদিও ধর্মীয় ব্যাপারগুলো আমাকে খুব একটা বেশি টানতো না ছোটবেলা থেকেই, তাই হয়তো পুজো হওয়ার সময় অঞ্জলি বা অন্যান্য পর্বগুলোর সময় আমি খুব একটা বেশি থাকতাম না। আমি মূলত নতুন জামা কাপড় পড়ে খাওয়া-দাওয়া আর ঘোরাফেরা করতাম। সেই সময় কত খেলনা কিনেছি মাটির পুতুল, টিনের পিস্তল, ঢোল, বাঁশি। তাছাড়া এখন তো সব চাইনিজ খেলনা। বিষাক্ত প্লাস্টিক দিয়ে বানানো। খেলনা গুলোও পরিবেশ বান্ধব নয়। আগের খাবারের দাম গুলোও বেশ সস্তা ছিল, আর এখন তো ব্যবসায়ীরা প্রচন্ড অসৎ ও লোভী হয়ে গিয়েছে। তখনকার ছোটবেলার মেলার ভিতর যে স্যাটিস্ফেকশন পাচ্ছিলাম, এখনকার সেটা জাকজমকপূর্ণ মেলাতে আর এই স্যাটিসফেকশন নেই। তাছাড়া সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে অনেক কিছুর পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে, আগে হয়তো স্বল্প কিছুতেই যে বিনোদনটা পেতাম, সেটা হয়তো এখন আর পাইনা সেভাবে। হয়তো সেটা বয়সের কারণে।

আমাদের সেই সময়ে তো আমরা অনেক ধরনের ফ্রি হ্যান্ড খেলাধুলা করেছি, লুকোচুরি কানামাছি হাড়িভাঙ্গা তাছাড়া ক্রিকেট ফুটবল তো ছিলই। স্কুল শুরুর আগে কিংবা পরে ইচ্ছেমতো খেলে তারপরে বাড়ি ফিরতাম। তবে এখন তো খেলার মাঠই নেই বাচ্চারা কই খেলবে, বাচ্চারা সবাই মোবাইল গেমে আসক্ত হয়ে গিয়েছে। বাচ্চারা যে একটু ফ্রি হ্যান্ড খেলাধুলা করবে সেই সুযোগ এখন বর্তমানে নেই। খেলাধুলা কিন্তু শরীর গঠনে যেমন ভূমিকা রাখে, তেমন চরিত্র গঠনেও বেশ ভূমিকা পালন করে। বর্তমান ছেলেরা ইন্টারনেট গেমে যেভাবে আসক্তিতে ডুবেছে, এদের যে আসলে কি হবে তা বলা মুশকিল। তাছাড়া এবার গ্রামে গিয়ে দেখেছি, অনেকগুলো কিশোর বা তরুণ ছেলেরা একত্রিত হয়ে মোবাইলে গেম খেলছে নতুবা ভার্চুয়ালি আড্ডা দিচ্ছি। বাস্তবে কেউ কারো সঙ্গে কথা বলছে না, তবে আমাদের বেলায় আমরা যখন একত্রিত হতাম, তখন চেষ্টা করতাম সবাই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গল্প করার জন্য হোক সেটা টিভি সিরিয়াল কিংবা সিনেমা কিংবা নিজেরা খেলাধুলা করতাম। তবে বর্তমান তরুণ প্রজন্ম দেখলে একটু কষ্ট হয়। এভাবে চলতে থাকলে সামনে ভয়ংকর কিছু, অপেক্ষা করছে।

তাছাড়া বর্তমান তরুণ প্রজন্ম ডিজিটাল ডিভাইস গুলো হাতে পেয়ে যাওয়ার কারণে খুব দ্রুতই পর্ন আসক্তি তে ভুগছে। যেটা আমাদের বেলায় খুবই কম ছিল। তাছাড়া এখনকার সময়ে সবকিছু দ্রুত সবাই পেয়ে যাচ্ছে, মানে যে বয়সে যেটা দরকার না, তার আগেই সেটা পেয়ে যাচ্ছে। এরা প্রেম ভালোবাসার ব্যাপারে এতটাই অ্যাডভান্স যে, আমাদের থেকেও ওরা এখন দ্রুত বোঝে। তাছাড়া এখনকার জেনারেশন কবিতা পড়ে না বই পড়ে না কল্পনা করেনা, যার কারণে তারা সবকিছু থেকে ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। হয়তো আমরা এখন জীবনের গল্প বলতে পারছি, তবে আগামী প্রজন্ম হয়তো যান্ত্রিক মানে যন্ত্রের গল্প শোনাবে। কেননা তখন তারা যন্ত্রের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হবে।

আমাদের বেলায় আমরা রং তুলি দিয়ে ছবি এঁকেছি। ইচ্ছে করেই এঁকেছি অনেকটা শেখার জন্যই,আর এখনকার বাচ্চারা একাডেমিক ভাবে যতক্ষণ না বলবে, তার আগে তারা কিছুই করবে না। মানে রুটিন মাফিক জীবন, এতটাই নিয়মতান্ত্রিক যেন যান্ত্রিক হয়ে গিয়েছি। সৃজনশীল চিন্তাভাবনা এখন নেই বললেই চলে। এখন সবকিছু আসলে লাভ ক্ষতি চিন্তা করে কাজ হচ্ছে, যদি প্রগ্রেস রিপোর্টে দেখা যায় কবিতা লিখলে প্রগ্রেস ভালো হবে, তাহলেই কবিতা লিখছে, অন্যথায় লিখছে না। এভাবে চলতে থাকলে, কৃত্রিম যে ব্যাপারগুলো থাকে সেগুলো বেশি জাগ্রত হবে। একটা সময় দেখা যেতে পারে, সবাই কৃত্রিম পন্থা অবলম্বন করে ছবি আঁকছে কিংবা গল্প কবিতা লিখছে। তখন হয়তো মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করবে যন্ত্র। তবে আমি তো ভাবি,যন্ত্রকেই নিয়ন্ত্রণ করা উচিত মানুষের। এজন্যই, এসব থেকে উত্তরণের জন্য সব কাজ নিজে থেকে শিখে রাখা ভালো।

আগে কিছুটা হলেও মানুষ স্বাধীন ছিল, তবে এখন আর মানুষ স্বাধীন নেই বললেই চলে। যতই বলি না কেন আমরা স্বাধীন এবং আমার টাকা আমার ইনকাম, এটা আসলে ভুল কথা, সবকিছু হচ্ছে সরকারের। সরকার সবকিছু আপনার দেখাশোনা করছে, সরকার চাইলেই আপনার ধন সম্পত্তি ক্রপ করতে পারে। তাছাড়া যে টাকাগুলো আপনারা দেখেন এগুলো মূলত ব্যাংক থেকে দেওয়া একটা বিলের কাগজ মাত্র। তাছাড়া ব্যাংকের কথা যদি বলি, ব্যাংক মূলত সরকারের আর কিছু স্বার্থান্বেষী মহলের। এখানে আমার বলে সত্যিই কিছু নেই। অতীতে অবশ্য যখন স্বর্ণমুদ্রা কিংবা রূপারমুদ্রা প্রচলন ছিল তখন কিছুটা ভ্যালু ছিল, তবে এখন আসলে সত্যিই কাগজের টাকার কোন ভ্যালু নেই। এদিক থেকে আমার ক্রিপ্টোকারেন্সি কে অনেকটাই বেশি গ্রহণযোগ্য লাগে। এটার আপনিই মালিক, আপনিই সবকিছু। এখানে কোন তৃতীয় পক্ষ নেই। যখন ২০১০ সালে আমি বিটকয়েনের ব্যাপার সম্পর্কে পড়ি তখনই কিছু বিষয়ে বেশ ভালোভাবে জানতে পেরেছিলাম, যদি আমি অর্থনীতির ছাত্র না, তারপরেও ব্যাপারটা আন্দাজ করতে পেরেছিলাম। তবে সত্য কথা বলতে গেলে কি, ব্যাংক বলুন কিংবা পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থা বলুন, এরা কখনোই চায় না, ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ হোক।

Screenshot_20240115_002526_Chrome.jpg

kkkffd.PNG

hjjjlkkfhfjfhf.PNG

পুরস্কার বিতরণের সম্পূর্ণ অবদান @rme দাদার

অতিথির জীবনের গল্প শুনে, যারা শ্রোতা ছিল তারা দীর্ঘ সময় ধরে একাধিক প্রশ্ন করেছে। আজকে মূলত ৬০ টার মত প্রশ্ন এসেছিল। অতিথি চেষ্টা করেছে, সব প্রশ্নের উত্তর তার জায়গা থেকে ঠিকঠাকমতো দেওয়ার জন্য। এক্ষেত্রে রূপক ভাই বেশ সহযোগিতা করেছে অতিথিকে। বিশেষ করে, সেরা প্রশ্নকারী নির্বাচনের ক্ষেত্রে।

তবে দুঃখের বিষয়, এত পরিমান প্রশ্ন এসেছিল যে, সেখান থেকে আসলে তিনজনকে বাছাই করা ভীষণ কষ্টদায়ক। তাই পরবর্তীতে, প্রতিষ্ঠাতা নিজের পক্ষ থেকে একাধিক টিপস দিয়েছিল এবং সেরা প্রশ্নকারীর উপহারটাও টিপসের মাধ্যমেই দেওয়া হয়েছিল। তাছাড়াও অতিথি, বলেছে সকল প্রশ্নকারীকে তিনি নিজের থেকে আবারো উপহার পাঠিয়ে দিবেন।

kkkssfsf.PNG

অতঃপর আমরা পুনরায় গান শুনে শো'টাকে আরও প্রাণবন্ত করার চেষ্টা করেছিলাম এবং শ্রোতারাও বেশ উপভোগ করেছিল সময়টা। যেহেতু জীবনের গল্পের প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হলো, তাই আমরা চেষ্টা করেছিলাম আমাদের সকল এডমিন মডারেটরদের কে স্টেজে রাখার জন্য এবং তাদের মতামত শোনার জন্য, সত্যি তারাও চেষ্টা করেছিল তাদের জায়গা থেকে বেশ আন্তরিকভাবে, কথা বলার জন্য।

সব মিলিয়ে জীবনের গল্প চলছে, একদম দুর্বার গতিতে । পরবর্তীতে আমরা আসছি কিন্তু আপনার দরজায়, আপনি প্রস্তুত তো।

ধন্যবাদ সবাইকে

Banner-16.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আসলে রবিবারের এই নতুন শো দুর্দান্ত ছিলো ৷ খুবই ভালো লেগেছে আমার ৷ জীবনের গল্প থেকে অনেক কিছু জানা যায় , শেখা যায় ৷ অনেক আগ্রহ থাকে অন্যের জীবন নিয়ে জানার ৷ এবারের এই নতুন শো দিয়ে হয়তো সেই জানার আগ্রহ পুরন হবে ৷ যাই হোক , প্রথম পর্বে দাদা ছিলো এটা খুবই চমৎকার একটি বিষয় ৷ যদিও শুরুতেই জয়েন হতে পারিনি ৷ তবে আপনার এই রিপোর্ট থেকে সব জেনে গেলাম ৷ ভীষণ ভালো লাগলো দাদা ব্যাপারে এতো কিছু জেনে ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ভাবে রিপোর্ট টি প্রকাশের জন্য ৷

Posted using SteemPro Mobile

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

রবিবারের আড্ডা জীবনের গল্পে দাদাকে অতিথি হিসেবে পেয়ে অনেক ভালো লেগেছে। দাদার সাথে আমরা সবাই অনেকটা সুন্দর সময় কাটিয়েছি। দাদার সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছি। ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর করে এই পোস্ট তুলে ধরেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

ধন্যবাদ আপু পুরো সময়টাতে আমাদের সঙ্গেই থাকার জন্য।

আসলে কালকের অনুষ্ঠানে বেশ ভালই লেগেছিল। দাদার সাথে বেশ ভালো হাসি আড্ডা হয়েছে। বিশেষ করে ইউজারদের প্রশ্নগুলোর উত্তর গুলোতে বেশি ভালো লেগেছে। কোন দিন আমার দরজায় এসে পড়েন তা ভাবছি😅।

হয়তো খুব শীঘ্রই আপনার দরজায় চলে যাব। প্রস্তুত থাকিয়েন।

জীবনের গল্প - প্রথম পর্ব দাদা ছিলো আমরা সবাই মিলে ভীষণ ইনজয় করেছি। ভাইয়া আপনার উপস্থাপনা আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আশাকরি পরের পর্বে ও আমরা সবাই মিলে জমিয়ে আডডা দিবো। আমার বাংলা ব্লগ মানেই হচ্ছে নতুন আয়োজন। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির জন্য শুভ কামনা রইল ❣️

Posted using SteemPro Mobile

এটা সত্য, বাংলা ব্লগ মানেই নতুন আয়োজন আর নতুনত্ব নিয়ে প্রতিনিয়ত এগিয়ে চলা।

জীবনের গল্পের প্রথমে দাদাকে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো। সত্যি এমন একটা আড্ডা না হলে হয়তো আমাদের কারো কিছু জানা হতো না। যাইহোক এবার হয়তো অনেকের জীবনের গল্প সম্পর্কে জানতে পারব।ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

একদম ঠিক বলেছেন আপু, এই শো-র মাধ্যমে অনেকের জীবনের গল্প জানা যাবে।

নতুন আঙ্গিকে উপস্থাপন করা ,এবারের রবিবারের আড্ডায় দাদাকে অতিথি হিসাবে পেয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছি।দাদার অনেক জানা আজানা বিষয় জানা সম্ভব হয়েছে। সেই সাথে বেশ মজার মজার গল্প শুনেছি। ভাইয়া
আপনার সঞ্চালনাও বেশ সুন্দর ছিল।ধন্যবাদ সুন্দর একটি অনুষ্টান উপহার দেয়ার জন্য।

আমি বেশ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আপু।

এবারে রবিবারের আড্ডার নতুন আয়োজন জীবনের গল্প বেশ ভালো লেগেছে ভাই। সত্যি বলতে দাদার সাথে এত সুন্দর সময় অতিবাহিত করতে পেরে কালকে মনটা বেশ খুশি ছিল। আসলে দাদার মতো জ্ঞানী লোকের কথা শুনতেও বেশ ভালো লাগে। আশা করছি আমাদের শ্রদ্ধেয় দাদা আবার রবিবারের আড্ডায় আমাদের সাথে পরবর্তীতে অতিথি যুক্ত হবেন। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই রবিবারের আড্ডা সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

অবশ্যই আমাদেরও ইচ্ছা আছে, পরবর্তীতে আরও একবার দাদাকে ডাকার 🙏

"জীবনের গল্প" সত্যিই তাই, দাদার জীবনের গল্প শুনে আমাদের ভালোলাগাটা ছিল অন্যরকম। দাদা হচ্ছে আমাদের অনুপ্রেরণা, আর তাই তো দাদার জীবনের গল্প শুনে শুনে আমরা অনেক কিছুই জানতে পেরেছি, অনেক কিছুই শিখতে পেরেছি। দাদার মন-মানসিকতা ও চিন্তাভাবনা সত্যিই প্রশংসনীয়। আর এই প্রশংসা হয়তো বলে শেষ করা যাবে না। যাইহোক এবারের রবিবারের আড্ডায় দাদাকে পেয়ে ভীষণ ভালো লেগেছিল। আর হ্যাঁ ভাইয়া, আপনার উপস্থাপনায় রবিবারের আড্ডা আরও বেশি প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছিল। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, রবিবারের আড্ডায় জীবনের গল্প প্রথম পর্বটি শেয়ার করার জন্য।

আপনাদের ভালবাসায় আমি অনেক সিক্ত, শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।

আমাদের জীবনের হাজারো গল্প রয়েছে। খুবি সুন্দর একটি আয়োজন করেছেন।এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা সবার জীবনের গল্প জানতে পারবো।দাদার সাথে এই আড্ডাটা অসাধারণ লেগেছে। সত্যি মুহূর্তটা অনেক আনন্দের সাথে উপভোগ করেছি।

আড্ডাটা মিস করে ফেললাম! তবে আপনার পোস্ট পড়ে ভালোই আইডিয়া পেলাম। আসলে দাদার জীবনের বেশ কিছু অভিজ্ঞতা, খারাপ সময় সম্পর্কে জানতে পারলাম। তবে আমার ইচ্ছে হচ্ছে দাদার পিছনে পিস্তল ঠেকানোর গল্পটা শোনার, যদিও দাদা বলেছে শেয়ার করবে। আমাদের সমাজব্যবস্থা এমন হয়েছে, এখন সৃজনশীল চিন্তাভাবনা খুবই কম মানুষের। আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স এর উপর নির্ভর হয়ে যাচ্ছে। যাক, সবমিলিয়ে জীবনের গল্পের পর্বটা বেশ উপভোগ্য ছিল 🌼

যদিও মিস করে ফেলেছেন, আশা রাখছি পরবর্তী সময়ে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হবেন, এমনটাই প্রত্যাশা করছি।

জ্বি ভাইয়া, পরের বার থেকে নতুন জীবনের কোনো গল্প শুনতে জয়েন করবো 🌼

আমাদের কমিউনিটি সবসময়ই সেরা। তাইতো সবসময় একেবারে ভিন্নধর্মী আয়োজন করা হয়ে থাকে আমাদের কমিউনিটিতে। জীবনের গল্পের প্রথম পর্বে দাদাকে অতিথি হিসেবে পেয়ে সবাই বেশ খুশি হয়েছে। দাদার কথাগুলো সবাই বেশ উপভোগ করেছে। প্রতি পর্বে নতুন নতুন অতিথির জীবনের গল্প শুনতে পারবো এই শো এর মাধ্যমে। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই।

Posted using SteemPro Mobile

আমাদের সঙ্গেই থাকুন ভাই, একসময় আপনিও অতিথি হিসেবে চলে আসবেন, তখন আপনার কথাগুলো আমরা শুনব। শুভেচ্ছা রইল 🙏

অবশ্যই সঙ্গে থাকবো এবং আমার জীবনের গল্প সবার সাথে শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ।

রবিবারের আড্ডা কে নতুনভাবে সাজানোর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ । আর প্রথম অতিথি হিসেবে দাদাকে পেয়ে আমরা সত্যি আনন্দিত হয়েছি । আর প্রথম অতিথি দাদাকেই আশা করেছিলামন। খুবই ভালো লেগেছে এবারকার রবিবারের আড্ডায় দাদার সাথে কথা বলে ।আসলে অনেক কিছু জানা গেল । এরকম খোলা মেলা আলোচনা না থাকলে এরকম ভাবে জানা হত না । খুবই ভালো লাগলো ।

গতকালকের রবিবারের আড্ডা সম্পর্কে কি আর বলবো। দারুন একটি মুহূর্ত ছিল অসাধারণ ভালো লেগেছে। আশা করি এবার থেকে প্রত্যকের জীবনের গল্প গুলো শুনতে পাবো। এমন সুন্দর রোমান্টিক রোমান্টিক গল্প গুলো শুনতে বেশ ভাল লাগছিল দাদার কাছ থেকে। আপনি বিষয়টি আবারও আমাদের সাথে লিখিত ভাবে শেয়ার করলেন ভালো লাগলো।

দাদার সব গুলো কথাই খুবই ভালো লেগেছে। তবে শেষের কথা গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আসলে আমার বলতে কিছু নেই। আমরা সত্যিই পরাধীন। সরকারের কাছে পরাধীন,পরিবারের কাছে,কাছের মানুষের কাছে পরাধীন। ধন্যবাদ দাদা।