মানসিক চিকিৎসা ও ওষুধ গ্রহণে সাবধানতা (সত্য গল্প)

in hive-129948 •  5 months ago 
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।

IMG_0378.jpeg

made by canva

আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

আজকে আমি আপনাদের সাথে এমন একটি পোস্ট শেয়ার করতে এসেছি। যে পোস্টটিতে আমি আমার নিজস্ব কিছু বক্তব্য। অর্থাৎ আজকের ব্যাপারে নিজস্ব কিছু বক্তব্য সেই সাথে বক্তব্যটির ব্যাপারে ছোট একটি গল্প শেয়ার করবো। আশা করছি আপনাদের আসলে ব্যাপারটা জেনে ভালো লাগবে এবং হয়তো কিছুটা মন খারাপ হলেও হতে পারে।

আমি বেশ কয়েকদিন আগে একটি পোস্টে উল্লেখ করেছিলাম যে, আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে অবশ্যই সচেতনতা বৃদ্ধি করা উচিত এবং সে সাথে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আমাদের ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কিন্তু তাতে অবশ্যই নিজের সাবধানতা আগে অবলম্বন করতে হবে।

আমি একটি ঘটনা বললে আপনারা বিষয়টা আরো ক্লিয়ারলি বুঝতে পারবেন। বেশ কয়েক বছর আগে আমি পত্রিকাতে একটি নিউজ দেখেছিলাম। লেখাটি ছিলো একজন বাবার পক্ষ হতে। তিনি লিখেছিলেন, তার ছোট মেয়ে অর্থাৎ ক্লাস এইটে পড়ুয়া মেয়ে হঠাৎ করেই সে বলতে লাগলো যে তার কোনো পড়াই মনে থাকছে না। এবং সে কারণেই সে একটি মানসিক ডাক্তার দেখাতে চায়। তাই বাবাও তাতে আর মানা করেনি এবং যথারীতি একজন মানসিক ডাক্তার দেখানো হলো। তিনি কিন্তু একটা ব্যাপার খুব পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করেছেন যে, তার মেয়ের আর কোনো প্রকারের কোনো সমস্যাই ছিল না।

ডাক্তার যথারীতি প্রেসক্রিপশন লিখলো এবং তার বাবা সে অনুযায়ী তাকে ওষুধ খাওয়ানো শুরু করলো। কিন্তু হঠাৎ করে এই মেয়েটা ওষুধ খাওয়ার পর থেকেই খুব চুপচাপ হয়ে গিয়েছিলো।এরপরে বাবা তার মেয়েকে আবার ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে, ডাক্তার আরো ওষুধের ডোজ বাড়িয়ে দিয়েছিলো এবং পরবর্তীতে এভাবে করতে করতে মেয়েটা এক সময় হুট করে কোনো কারণ ছাড়াই একদিন সুইসাইড করে বসে।

এরপরে বাবা যখন তার প্রেসক্রিপশন গুলো ভালো করে দেখতে লাগলো এবং google করে বিস্তারিত সবকিছু জানতে লাগলো। তখন দেখলো যে তার মেয়েকে প্রেসক্রাইব করা ওষুধের মধ্যে কয়েকটা ওষুধ ছিলো, যেগুলো সুইসাইড এর টেন্ডেন্সি অনেক বেশি বাড়িয়ে দেয়। এবং সে কারণে মেয়েটা সুইসাইড করেছিলো। অর্থাৎ শুধুমাত্র ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার জন্য একটি তরতাজা প্রাণ হারিয়ে গেলো।

তাহলে আপনারাই ভাবুন যে মানসিক রোগের ওষুধগুলো আসলে একটা মানুষকে কোন পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে। তাই মানসিক সমস্যার জন্য ডাক্তার দেখানোর পরে। ডাক্তার যে ওষুধগুলো দেবে সেগুলো অবশ্যই খুব সাবধানতা অবলম্বন করে খেতে হবে। এবং অবশ্যই খাওয়ার আগে সবকিছু জেনে নিতে হবে।
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ডাক্তারের ভুল চিকিৎসার জন্য একটি তাজা প্রাণ হারিয়ে গেল। মেয়েটি ক্লাস এইটে পড়ে, যাস্ট মাত্র তার পড়া স্মরণ থাকে না, এতোটুকুই তার সমস্যা ছিল। কিন্তু তার বাবার অসাবধানতা এবং ডাক্তারের ভুল চিকিৎসা মেয়েটি সুইসাইড করে। গল্পটি পড়ে খুবই খারাপ লাগলো। তবে প্রতিটা অভিভাবকেরই উচিত সব সময় ছেলেমেয়েদের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।