মুলোর পকোড়া রেসিপি

in hive-129948 •  2 years ago 

নমস্কার বন্ধুরা,


আশা করি সবাই ভালো আছেন। সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সাথে মুলোর পকোড়া রেসিপি তৈরি করে দেখালাম।আশা করি সকলের ভাল লাগবে।


শীতকাল মানেই যেন নানা ধরনের সবজির পসরা।শীতকালে নানা রকমের সবজি পাওয়া যায় সেটা আমরা সকলেই জানি। আর শীতকালের সবজির মধ্যে মুলো থাকবে এটা খুব স্বাভাবিক। তাই জন্যই আজকে আমি নিরামিষ মুলোর পকোড়া তৈরি করে আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম। এটি তৈরি করতে খুবই কম সময় লাগে। আর ভীষণ মুচমুচে খেতে হয়। এই পকোড়া গরম ভাতের সাথেও যেমন খুব ভালো লাগে ,তেমনি বিকালের স্নাক্স এর সাথেও খুব ভালো লাগবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।



WhatsApp Image 2022-12-24 at 10.49.04 PM.jpeg


চলুন তাহলে শুরু করা যাক রেসিপিটি।


মুলোর পকোড়া রেসিপি তৈরী করার পদ্ধতি:


উপকরণের নামপরিমাণ
১. মূলো২ টো
২. বাঁধাকপি১/২কাপ
৩. ধনে পাতা2 কাপ
৪. বেসন2 চামচ
৭. কাঁচা লঙ্কা২টো
৮. চালের গুঁড়ো২ চামচ
৯. পোস্ত১ চামচ
১০. হলুদ গুঁড়োপরিমান মত
১১. লবণপরিমান মত
১২. সাদা তেলপরিমান মত

রন্ধন প্রণালী :



প্রথম ধাপ


• প্রথমে দুটো মূলো নিয়ে নিলাম।

WhatsApp Image 2022-12-24 at 10.49.07 PM.jpeg

WhatsApp Image 2022-12-24 at 10.49.06 PM.jpeg


দ্বিতীয় ধাপ


• এরপর মূলোগুলোকে কুরুনী দিয়ে ঝিরিঝিরি করে নিলাম ।

WhatsApp Image 2022-12-24 at 10.49.06 PM (1).jpeg

WhatsApp Image 2022-12-24 at 10.59.57 PM (1).jpeg


তৃতীয় ধাপ


• এরপর অল্প বাঁধাকপি ঝিরিঝিরি করে কেটে নিলাম ।

WhatsApp Image 2022-12-24 at 10.36.04 PM.jpeg


চতুর্থ ধাপ


• এরপর ধনেপাতা, মুলো এবং বাঁধাকপি একসাথে মেখে নিলাম ।

WhatsApp Image 2022-12-24 at 10.36.03 PM.jpeg


পঞ্চম ধাপ


• এরপর লঙ্কা কুচি দিয়ে দিলাম।

WhatsApp Image 2022-12-24 at 10.36.03 PM (1).jpeg


ষষ্ঠ ধাপ


• এরপর পরিমান মত বেসন দিয়ে দিলাম ।

WhatsApp Image 2022-12-24 at 10.36.03 PM (2).jpeg


অষ্টম ধাপ


• তারপর হাফ চামচ পোস্ত দিয়ে দিলাম।

WhatsApp Image 2022-12-24 at 10.36.02 PM.jpeg


নবম ধাপ


• তারপর অল্প চালের গুঁড়ো, নুন, হলুদ দিয়ে দিলাম।

WhatsApp Image 2022-12-24 at 10.36.02 PM (1).jpeg

WhatsApp Image 2022-12-24 at 10.36.02 PM (2).jpeg


দশম ধাপ


• এরপর সবকিছু একসাথে ভালো করে মেখে দিলাম।

WhatsApp Image 2022-12-24 at 10.36.02 PM (3).jpeg


একাদশ ধাপ


• এরপর ভালো করে মাখা হয়ে গেলে, গোল গোল করে বড়ার মত করে কড়াইতে তেল গরম করে সেগুলো ছেড়ে দিলাম।

WhatsApp Image 2022-12-24 at 10.36.01 PM (2).jpeg

WhatsApp Image 2022-12-24 at 10.36.01 PM (1).jpeg


দ্বাদশ ধাপ


• লাল লাল করে ভেজে নিয়ে একটি পাত্রে তুলে নিলাম। ব্যাস এভাবে তৈরি হয়ে গেল মুলোর পকোড়া।

WhatsApp Image 2022-12-24 at 10.36.00 PM (1).jpeg

WhatsApp Image 2022-12-24 at 10.49.04 PM.jpeg


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png


ধন্যবাদ।সবাই ভালো থাকবেন।

BoC- linet.png
-cover copy.png

|| Community Page | Discord Group ||


image.png

png_20221124_002319_0000.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

দিদি একদম ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন।মুলার পাকোড়া খাওয়া হয়নি এখনও।মোটামুটি অনেক সবজির পাকোড়া শীতকালে বাসায় খাওয়া হয়ে থাকে।আপনার পাকোড়া দেখে মনে হচ্ছে খেতে ভালো হয়েছিল।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।

@tipu curate

হ্যাঁ ঠিক বলেছেন দিদি আসলে শীতকাল হচ্ছে শাক সবজির মিলন মেলা।তার মধ্যে মুলা হচ্ছে সবারই পরিচিত একটি অন্যতম সবজি।মুলা দিয়ে বেশ মজার একটি ইউনিক পাকোড়া রেসিপি করেছেন।এর আগে আমি মুলা দিয়ে পাকোড়া তৈরি করতে দেখিনি।দেখতে বেশ লোভনীয় দেখাচ্ছে ধন্যবাদ আপনাকে।

সত্যি দিদি শীতকাল হচ্ছে অনেক সবজির মিল মেলা। মূলো দিয়ে যে এতো সুন্দর পকোড়া তৈরি করা যায় আমার জানা ছিল না। এ ধরনের পকোড়া গুলো খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে। প্রতিটি ধাপ আপনি অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

ঠিকই বলেছেন আপু শীতকাল মানে চারিদিকে বাহারি রকমের সবজির মেলা। তবে আপনার রেসিপিটি আমার কাছে সম্পূর্ণ ইউনিক মনে হয়েছে পূর্বে কখনো এমন রেসিপি প্রস্তুত করা বা খাওয়া হয়নি।
দেখেই লোভ হচ্ছে খেতে নিশ্চয়ই খুব মজাদার হবে।

আসলে দিদি শীতকালে অনেক ধরনের সবজি পাওয়া যায় এবং এসব সবজি গুলো খেতেও কিন্তু অনেক দারুন লাগে।এসব সবজির মধ্যে মুলা একটি । মুলা রান্না করে খেয়েছি কিন্তু কখনো মুলা ভেজে পাকোড়া করে খাওয়া হয়নি। তবে আপনার ভাজটা দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। অনেক লোভনীয় একটি খাবার তৈরি করেছেন আপনি। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

মুলোর মজাদার পকোড়া রেসিপি দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আপনি খুবই সুন্দরভাবে রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন।রেসিপি পরিবেশন আমার খুবই ভালো লেগেছে ধাপে ধাপে উপস্থাপন ছিল অসাধারণ।

আসলেই দিদি শীতকালীন এ সময়ে বিভিন্ন প্রকার সবজি পাওযা যায় ৷ এর মধ্যে মুলো তো আছেই ৷ আপনি মুলোর চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ৷ মুলোর পকোড়া আসলেই অনেক মজার ৷ আপনি অনেক সুন্দর ভাবে মুলোর পকোড়া রেসিপি তৈরি করেছেন ৷ খেতে যে খুবই মজার হয়েছে তা আপনার রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে ৷ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ৷

বাহ অসাধারণ একটা খাবার বানিয়ে দেখালেন দিদি। দেখে তো এখনি খেতে ইচ্ছে করছে। বাঁধাকপি দিয়ে পাকোড়া খেয়েছি কিন্তু কখনো বাধাকপি আর মুলো একসঙ্গে খাওয়া হয়নি। এবার ট্রাই করবো, পাকড়ার কালার দেখেই তো অনেক শান্তি লাগছে তাহলে খেতে নিশ্চয়ই অনেক টেস্টি হয়েছে। ধন্যবাদ দিদি নতুন কিছু করে দেখানোর জন্য।

আসলেই শীতকালীন সবজিগুলোর মধ্যে মুলা অন্যতম। মুলা দিয়ে অনেক রকম রেসিপি তৈরি করা যায় তার মধ্যে পাকোড়া তৈরি করলে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে। বিশেষ করে মুলা দিয়ে তৈরি মুচমুচে পাকোড়া খেতে খুবই ভালো লাগে যেটা আপনি তৈরি করেছেন। এ ধরনের রেসিপি বিকেলবেলা আড্ডা দেওয়ার মুহূর্তে খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে সেইসাথে ভাতের সঙ্গে এ ধরনের রেসিপি খাওয়া যায়। মজুদার এই রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি লোভনীয় হয়েছিল। সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।

আসলে আপু ঠিক বলেছেন শীতকাল মানেই চারিদিকে বিভিন্ন রকমের সবজি। এমন কি খুবই সস্তা দামে পাওয়া যায় ।আমি মনে করি এই সময়ে যে কোন সবজি দিয়ে পুষ্টিকর খাবার বানানোর যাবে ।বিশেষ করে মুলা এবং পাতাকপি দিয়ে আপনি যে পাকোড়া তৈরি করেছেন এটি খুবই পুষ্টিগুণ সম্পন্ন মনে হচ্ছে। খেতেও যেমন মুচমুচে বিকেলের নাস্তায় এমন রেসিপি হলে আর কিছুই লাগেনা বেশ চমৎকার হয়েছে রেসিপিটি।

কিছুদিন আগে আমিও মুলোর পকোড়া রেসিপি তৈরি করেছি আপু। তবে আপনার মতো করে বাঁধাকপি দেইনি। খেতে অবশ্য অনেক ভালো লেগেছিল। আপনার মুলোর পকোড়া রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক মজা হয়েছে। পকোড়া গুলো দেখে জিভে জল চলে এলো। ধন্যবাদ আপনাকে পকোড়া তৈরীর প্রতিটি ধাপ শেয়ার করার জন্য।

নতুন একটি রেসিপি শিখতে পেলাম, এভাবে যে মুলো ও বাঁধাকপি দিয়ে পাকোড়া তৈরি করা যায় জানতাম না।তবে বাঁধাকপির পাকোড়া খেয়েছি।আপু আস্ত পোস্ত গুলো মনে হয় পাকোড়ার উপরে ভেসে উঠেছে তাই না?দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছে। শীতকাল মানেই রকমারি সবজির পাকোড়া থেকে শুরু করে নানা ধরনের রেসিপি। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ

দিদি শীত মানে সবজির মিলন মেলা। সব সবজি একসাথে পাওয়া যায় বেশ ভাল লাগে।আপনি মূলা আর বাঁধাকপি দিয়ে দারুন একটি পাকোড়া রেসিপি শেয়ার করেছেন, দেখে খুবই ভাল লাগলো। আমি কখনও এই পাকোড়া করিনি বা দেখিওনি। আপনার কাছ থেকে নতুন একটি রেসিপি শিখলাম। রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দিদি।আপনি খুব সুন্দর করে ধাপে ধাপে রেসিপিটি শেয়ার করেছেন।শীতে এমন ভাজাভুজি খেতে দারুন লাগে। রেসিপিটি দেখতে বেশ লোভনীয় হয়েছে। ধন্যবাদ দিদি।

পাতাকপি এবং ফুলকপির পাকোড়া খেয়েছি তবে কখনো মূলার পাকোড়া খাওয়া হয়নি। তবে যে পদ্ধতিতে তৈরি করে দেখালেন তাতে স্বাদের না হয়ে যাবে কোথায়। আমি এটা পেলে বেশ কিছু একাই সাবার করে দিতাম। ধন্যবাদ দিদি এই চমৎকার রেসিপি ভাগ করে নেয়ার জন্য।

শীতের সময় অনেক ধরনের সবজি পাওয়া যায় সেই সবজি গুলোর মধ্যে মুলো আমার তেমন একটা পছন্দ হয় না। সাধারণত তরকারিতে মুলো দিলে আমি তেমন একটা খেতে পারি না কিন্তু এই মুলো ভাজা করলে অথবা পকোড়া জাতীয় কোন কিছু করলে আমি বেশ ভালো খাই। তোমার আজকে শেয়ার করা রেসিপিটি অবশ্যই এই শীতে বাড়িতে ট্রাই করবো। ধন্যবাদ দিদি এত সুন্দরভাবে রেসিপিটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।