চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোয় পর্ব -২

in hive-129948 •  2 years ago 

নমস্কার বন্ধুরা,


আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আমি কিছুদিন আগে চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর কিছু প্যান্ডেল আপনাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছিলাম। আজকে আরো কিছু প্যান্ডেল এবং জগদ্ধাত্রী পুজোর ছবি আপনাদের সাথে ভাগ করে নিচ্ছি। আশা করি সকলের ভালো লাগবে।


চন্দনগরের জগদ্ধাত্রী পূজা এতটাই বিখ্যাত যে দূর দূরান্ত থেকে মানুষ জগদ্ধাত্রী পুজোর প্যান্ডেল, তার সাথে চন্দননগরের আলোকসজ্জা দেখার জন্য ছুটে আসে। এখানে যত রাত বাড়তে থাকে মানুষের ভিড়ও তত বাড়তে থাকে আর আমরা চন্দননগরে পৌঁছেছিলাম পাঁচটা থেকে সাড়ে পাঁচটার মধ্যে ।আর যেহেতু পুরোটাই হেঁটে ঠাকুর দেখার ব্যাপার ছিল তার জন্য অল্প কিছু প্যান্ডেলই আমরা দেখতে পেয়েছিলাম ।আর প্রত্যেকটি পুজো প্যান্ডেলই এখানে খুব সুন্দর হয়েছিল । আমরা মানকুন্ডু সার্বজনীন থেকে বেরিয়ে মানকুন্ড বালক সংঘের ঠাকুর দেখতে গিয়েছিলাম। ওখানকার পুজোর থিম ছিল নারী শক্তি।


WhatsApp Image 2022-12-07 at 11.19.27 PM.jpeg



আমরা যখন এই বালক সংঘে ঠাকুর দেখতে ঢুকি তখন প্রায় সাড়ে সাতটা বেজে গিয়েছিল আর আমাদের বাড়ি ফেরার ও সময় হয়ে এসেছিল। আর আমি আগেই বললাম যে যত রাত যত বাড়ছে ভিড় ও ততই ভিড় বাড়ছিল, তার জন্য এত লাইন পড়ে গেছিল যে ওই লাইনে দাঁড়াতে গেলে মোটামুটি এক ঘন্টা সময় লাগতো। ওই লাইন পেরিয়ে ঠাকুর দেখার কথা যখন ভাবছি ঠিক এরকম সময় হঠাৎ করে দেখতে পেলাম হ্যাঁ লাইনের পাশেই কিছু লোক কুড়ি টাকা করে লাইনে ঢোকার পাস বিক্রি করছিল আর সেটা কিনলে মোটামুটি সঙ্গে সঙ্গে ঢুকে ঠাকুর দেখাও হয়ে যাবে,তার সাথে সময়ও অনেকটা বেঁচে যাবে। তার জন্য আমরা পাঁচজনে কুড়ি টাকার পাস নিয়ে ঠাকুর দেখতে ঢুকে গেলাম ।আর দশ মিনিটের মধ্যে ঠাকুর দেখাও হয়ে গেছিল। এই মণ্ডপের প্রত্যেকটি কাজ এত সুন্দর যে চোখ ধাঁধিয়ে যাওয়ার মত ,আর যেহেতু অষ্টমী পূজা চলছিল সেহেতু ঢাক বাজছিল ঢাকের আওয়াজের সাথে পুজো মন্ডপ দেখার একটা আলাদাই আনন্দ। সব মিলিয়ে পূজো মন্ডপটা আমাদের কাছে খুবই ভালো লেগেছিল ।

WhatsApp Image 2022-12-07 at 11.19.28 PM.jpeg

WhatsApp Image 2022-12-07 at 11.19.32 PM (2).jpeg

WhatsApp Image 2022-12-07 at 11.19.32 PM (1).jpeg

WhatsApp Image 2022-12-07 at 11.19.32 PM.jpeg

WhatsApp Image 2022-12-07 at 11.19.31 PM (2).jpeg

WhatsApp Image 2022-12-07 at 11.19.31 PM (1).jpeg

WhatsApp Image 2022-12-07 at 11.19.31 PM.jpeg

WhatsApp Image 2022-12-07 at 11.19.30 PM (3).jpeg

WhatsApp Image 2022-12-07 at 11.19.30 PM (2).jpeg

WhatsApp Image 2022-12-07 at 11.19.30 PM (1).jpeg



মানকুন্ডু বালক সংঘের ঠাকুর দেখার আগে আমরা মানকুন্ডুর সার্কাস মাঠের ঠাকুর দেখতে গিয়েছিলাম ।এখানে আমরা মোটামুটি আধ ঘন্টা মত লাইনে দাঁড়ানোর পর পূজা মন্ডপে ঢুকতে পেরেছিলাম। কিন্তু পূজার মন্ডপে ঢোকার একটা ব্যাপার হচ্ছে সেটা হল যতক্ষণ আমরা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকি তার থেকে পাঁচ মিনিটের বেশি আমরা মন্ডপ দেখার মত সময় পাইনা । তবুও লাইন দিয়ে ঠাকুর দেখারও একটা আলাদা আনন্দ আছে ।যাই হোক এই সার্কাস মাঠে জগদ্ধাত্রী ঠাকুর প্রত্যেক বছরই অনেক বড় করে হয় এবং এই বছরের পুজোর থিম ছিল রাজমহল । মন্ডপের ভিতর থেকে এবং বাইরে থেকে দেখার মত কাজ ছিল ।দেখে সত্যিকারে মনে হচ্ছিল একটা রাজমহলেই ঢুকলাম ।এতটাই নিখুঁত কারুকার্য এখানে ।


WhatsApp Image 2022-12-07 at 11.42.57 PM.jpeg

WhatsApp Image 2022-12-07 at 11.42.57 PM (1).jpeg

WhatsApp Image 2022-12-07 at 11.42.59 PM.jpeg

WhatsApp Image 2022-12-07 at 11.42.56 PM (1).jpeg

WhatsApp Image 2022-12-07 at 11.42.56 PM.jpeg

WhatsApp Image 2022-12-07 at 11.42.55 PM (1).jpeg

WhatsApp Image 2022-12-07 at 11.42.59 PM (2).jpeg

WhatsApp Image 2022-12-07 at 11.42.59 PM (1).jpeg



এরপর এই মণ্ডপ থেকে বেরিয়ে আরো দুটো চোখ ধাঁধানো পূজো মণ্ডপ দেখেছি যা আমি পরের পর্বে ভাগ করে নেব।


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png


ধন্যবাদ।সবাই ভালো থাকবেন।

BoC- linet.png
-cover copy.png

|| Community Page | Discord Group ||


image.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

চন্দননগরের পূজা মন্ডপের আলোকশয্যা এবং ডেকোরেশন সবই দারুন ছিল দিদি। দারুন দারুন সব প্রতিমা গুলো এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন। আর এসব জায়গাগুলোতে রাত যত বাড়ে ততই ভিড় বেড়ে যায় এবং লাইটিং গুলো আরো বেশি সুন্দর লাগে। খুবই ভালো লাগলো দিদি আপনার শেয়ার করা এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখে।

বিশ টাকা দিয়ে জলদি দেখে নেওয়া গিয়েছে কিন্তু।এটা বেশ ভালো হয়েছে।ডেকোরেশন গুলোতে যে কত কত টাকা খরচ করে তাই ভাবি আমি।

আমাদের এলাকায় একটা কথা প্রচলিত আছে খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি। যেমনটা আপনার দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়ানো এবং স্বল্প সময়ে ঠাকুর দেখার ক্ষেএে হয়েছে। তবে এগুলোর মধ্যে আলাদা একটা আনন্দ থাকে। ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার ছিল আপু। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।

চন্দননগরের পূজা, আমিও দেখতে গেছিলাম। কিন্তু সত্যি বলতে রাতের আলো এত সুন্দর করে সব তুলতে পারিনি।কারণ সব সময় বাড়িতে ফেরার একটা তারা থাকে। বাড়িতে নাইট আউট সহজে এলাও না থাকায় অনেক কিছুই মিস করে যাই। কিন্তু তার মধ্যে যেটুকু পাই সেটুকুই অনেক। জীবন নিয়ে কোন অভিযোগ আর করি না। আর এখন আমার বাংলা ব্লগ হয়ে যাওয়াতে, তোমার মত অনেক ব্লগারের থেকেই না পাওয়াতেও ঠিক প্রাপ্তি হয়ে যায়।