চিংড়ি ও শুঁটকি মাছ দিয়ে মজাদার কচু শাকের রেসিপি

in hive-129948 •  2 years ago 

আসসালামুআলাইকুম,

বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি চিংড়ি ও শুঁটকি মাছ দিয়ে মজাদার কচু শাকের রেসিপি নিয়ে। কচু শাক আমার অনেক পছন্দের। দীর্ঘদিন ধরে খাওয়া হয়না, কবে লাস্ট খেয়েছি তাও জানিনা।হঠাৎ করে খুব খেতে মন চাচ্ছিল। কিন্তু আমরা যেখানে থাকি সেখানে পাওয়া যায়না। আমার হাজব্যান্ড যখন বাংলাদেশে ছিল তখন হঠাৎ করে এই আইডিয়া মাথায় আসে, আসার সময় তাকে কচুশাক নিয়ে আসতে বলেছিলাম। অবশেষে কচুশাক বাংলাদেশ থেকে চলে এলো। আমি বাংলাদেশে যখন ছিলাম তখন ইলিশ মাছের কাটা ও মাথা দিয়ে এগুলো খেয়ে ছিলাম। সেই স্বাধ আমার মুখে এখনো লেগে আছে। কিন্তু আমি আজকে ইলিশ মাছ না দিয়ে চিংড়ি আর শুটকি মাছ দিয়ে রান্না করেছি। এভাবে সিলেট অঞ্চলের লোকেরা খেয়ে থাকে, এতে নাকি খুব স্বাদ। তাই আমিও ট্রাই করে দেখলাম।এই প্রথম রান্না করেছি সত্যিই খুবই মজার ছিল। আমি এখানে শীদল শুঁটকি ব্যবহার করেছি, সাথে নাগা মরিচ দিয়েছি। নাগা মরিচ আর এই শুঁটকি মাছের দারুন একটা ফ্লেভার থাকে যা এই রেসিপি কে আরও সুস্বাদু করে তুলে। আশা করি আমার এই রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে।চলুন চলে যাওয়া যাক তাহলে মূল পর্বে।

AF374029-C297-4EBF-A261-4362536F2923.jpeg

চলুন দেখে নেয়া যাক রেসিপিটি তৈরি করতে আমাদের কি কি উপকরণ এবং কতটুকু পরিমান লাগবেঃ

উপকরণপরিমাণ
কচু শাকপ্রায় ৫০০ গ্রাম
চিংড়ি মাছ৩০০ গ্রাম
শুঁটকি৪/৫ পিচ
পিঁয়াজএক কাপ
কাঁচা মরিচ৪/৫ টি
রসুন কুচি২ টেবিল চামচ
নাগা মরিচ৩/৪ টি
সয়াবিন তেলভাঁজার জন্য
ধনেপাতা কুচিহাফ কাপ
কার্যপদ্ধতিঃ
20A4714D-567E-47F9-BE36-FEC27FF86609.jpeg54A79F3C-6082-488B-8341-73C2DB931B2C.jpeg

প্রথমেই কচুশাক গুলো ভালোভাবে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রেখে দিয়েছি। এরপর পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, রসুন কুচি কুচি করে কেটে নিয়েছি।

0FD674D7-03B0-493F-9D7C-579C5AA28316.jpegB530E8CC-B7FF-4B0E-87AE-4109DD1B4A17.jpeg

এরপর শাকগুলো কুচি কুচি করে কেটে নিয়েছি এবং চিংড়ি মাছ গুলো ভালোভাবে বেছে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি।

27EB02E5-98F6-494E-87ED-C9313DEC731A.jpegA8AED490-86FE-427A-9DDF-462452E6E2B9.jpeg

এরপর শুটকি মাছ গুলো ভালোভাবে ধুয়ে বেছে পরিষ্কার করে নিয়েছি।এরপর একটি কড়াইতে তেল গরম করে নিয়েছি।

FE2427A2-EE32-4FED-8AAE-3C64A76295E6.jpeg46B97F77-E459-455C-88AA-3F7EE584BE22.jpeg

এরপর রসুন গুলো দিয়ে দিয়েছি। রসুন গুলো হাল্কা ব্রাউন কালারের হলে পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচ দিয়ে কয়েক মিনিট অল্প আঁচে রেখে গলিয়ে নিয়েছি।

A1A8CB82-7C1E-4427-8F22-49B73DBDFC4E.jpeg25DBC840-E99F-4441-A014-302EB40B25F7.jpeg

এরপর চিংড়ি মাছ গুলো দিয়ে সব মশলা গুলো দিয়ে মাখিয়ে শুটকি মাছ দিয়ে দিয়েছি।

4E961514-615D-4BC9-A964-08E16B7B222F.jpegDB529D88-1757-457D-B108-A0482E75348A.jpeg

এরপর শাকগুলো দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে মিডিয়াম আঁচে ৭/৮ মিনিট রেখে দিয়েছি।

A6E70F5F-2B86-4DDE-B525-6A10C2850789.jpeg226C2BF5-1A48-4871-965C-1763AB3BDC4C.jpeg

এরপর নাগা মরিচ (বোম্বাই মরিচ) দিয়ে আরো ৫/৬ মিনিট মিডিয়াম আঁচে রেখে দিয়েছি।

10D286E1-2243-47A2-BEF6-841C2F5F94AD.jpeg

এরপর ধনেপাতা যোগ করে আমার রান্না শেষ করেছি। হয়ে গেল আমার চিংড়ি ও শুটকি মাছ দিয়ে মজাদার কচু শাকের রেসিপি।

C53E8FE7-DCC1-492E-9FBB-2D5A942C269C.jpeg

পরিবেশনের জন্য এনেছি।

Photographer@tangera
DeviceI phone 13 Pro Max

বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।

পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।

ধন্যবাদ,

@tangera

1927F0BC-A81B-459C-A2F6-B603E4B2106C.png


👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :

👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :

VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
ইচ্ছে বলে কথা।যার কারনে বাংলাদেশ থেকে কচু শাক নিয়ে খেয়েছেন।আসলে সোজা ভাবে বলতে গেলে আমরা যা কিছু করি সবকিছু পেটের জন্যই করি।তাছাড়া কচু শাক খুব উপকারি। যেমন-কচুশাক ভিটামিন এ-এর খুব ভালো উৎস। রাতকানা রোগসহ ভিটামিন এ-এর অভাবে হওয়া সব ধরনের রোগ প্রতিরোধে কচুশাক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কচুশাকে ভিটামিন-এ থাকে, যা আমাদের রাতকানা, ছানি পড়াসহ চোখের বিভিন্ন রোগপ্রতিরোধসহ দৃষ্টিশক্তি বাড়িয়ে দেয়। কচুশাক আয়রনসমৃদ্ধ বলে এর সমাদর অনেক বেশি।যাইহোক, চিংড়ি ও শুঁটকি মাছ দিয়ে মজাদার কচু শাকের রেসিপিটি কিন্তু দেখতে দারুণ লাগছে এবং খেতে নিশ্চয়ই খুব সুস্বাদু ও হয়েছিল।রেসিপির কালারটাও চমৎকার হয়েছে।অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, এত সুন্দর ও সুস্বাদু করে চিংড়ি ও শুঁটকি মাছ দিয়ে মজাদার কচু শাকের রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।

বাংলাদেশের কচু শাক সুদূর লন্ডনের নিয়ে রেসিপি তৈরি করেছেন চিংড়ি এবং শুটকি মাছ দিয়ে। পরম যত্ন সহকারে রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে সেটাই মনে হচ্ছে। চিংড়ি মাছ দিয়ে কচু শাক খেয়েছি কিন্তু চিংড়ি এবং শুটকি একসাথে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে বেশ উৎসাহ পেলাম, বাসায় একদিন করে খাওয়া যাবে। অসংখ্য ধন্যবাদ রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।

আশা করি আপু ভালো আছেন? আজকে আপনি অত্যন্ত দুর্দান্ত রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। আসলে আমার আম্মা প্রায় সময় কচু শাক রান্না করা থাকে। কচু শাক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। বিশেষ করে চোখের সমস্যা সমাধান কচুশাক বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া অত্যন্ত অসাধারণ হয়েছে আপু। আপনি খুব চমৎকারভাবে ধাপে ধাপে চিংড়ি ও শুঁটকি মাছ দিয়ে মজাদার কচু শাকের রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। শুটকি দেওয়াতে মনে হচ্ছে নিশ্চয়ই অনেক মজাদার হয়েছে। এত দুর্দান্ত রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।

মাঝে মাঝে কচুশাক খেতে মজা লাগে।আপনি বাংলাদেশ থেকে কচু শাক নিয়ে গেছেন।কচু শাক গুলো নষ্ট হয়নি।দেখতে তাজাই লাগছে।কচুশাক অনেকভাবে রান্না করে খেয়েছি।কিন্তু চিংড়ি ও শুটকি দিয়ে কখনোই খাওয়া হয় নি।আপনার রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে খেতে দারুন হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

কতটা কচুর শাক প্রিয় মানুষ হলে এটা করা সম্ভব বাংলাদেশ থেকে লন্ডনে কচুর শাক!ইলিশ মাছ দিয়ে কচুর শাক রান্না খেয়েছি।কিন্তু চিংড়ি শুটকি মাছ দিয়ে কখনো খাওয়া হয়নি।যদিও চিংড়ি মাছে আমার এলার্জি।আপনার রান্না দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে।আপনার রান্নার প্রক্রিয়াটাও ছিল অনেক সুন্দর। সব মিলিয়ে অনেক সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।

মানুষ বাংলাদেশ থেকে কত কি নিয়ে যায় আর আপনি নিয়ে গিয়েছেন কচু শাক। খেতে ইচ্ছা করেছে বলে কথা । কচু শাক সব সময় ইলিশ মাছের মাথা এবং কাটা দিয়ে রান্না খেয়েছি। চিংড়ি দিয়ে কখনো রান্না খাইনি। আপনি চিংড়ির সঙ্গে আবার শুটকিও দিয়েছেন । আবার কচু শাকগুলোকে একবারে কুচি কুচি করে কেটে নিয়েছেন। সব মিলিয়ে রান্নার পুরো পদ্ধতি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। খেতেও নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।

আসলে বাংলাদেশ থেকে কচু শাক নিয়ে গিয়ে রান্না করেছেন ব্যপারটা সত্যিই দারুণ ৷ কচু শাক এর প্রতি আপনার এমন টান দেখে বেশ অবাক লাগলো ৷ সাধারণত মানুষ অন্য সব জিনিস এক দেশ থেকে অন্য দেশে নিয়ে যায় ৷ আর আপনি কচু শাক , বেশ ভালো লাগলো ৷ আসলে কচু শাক আমারও বেশ পছন্দের একটি খাবার ৷ তবে চিংড়ি ও শুঁটকি মাছ দিয়ে কচু শাক রান্না করলে এর স্বাদ আরো বেড়ে যায় ৷ ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ৷

আপনার কচু শাকের রেসিপি দেখে আমারও খেতে ইচ্ছে করছে। তবে চাংড়ি দিয়ে খেয়েছি। কিন্তু শুটকি এবং মাছের সমন্বয়ে কখনো খাওয়া হয়নি। তবে আপনার রেসিপিটি দেখে দারুন মনে হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে কচু শাক নিয়ে শুধুর লন্ডনে খেয়েছেন এটাই তো অনেক বড় সাধ। আমাদের সাথে এত সুন্দর চেংড়ি ও শুটকি দিয়ে কচু শাকের রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য শুভেচ্ছা রইল।

এইতো গত সপ্তাহে আমি কচু শাক খেয়েছিলাম। তবে সেটাতে চিংড়ির পরিমান অনেক কম ছিলো। বলতে গেলে আমার ভাগ্যে একটা চিংড়িও জোটেনি। আপনাদের ওখানেও কচু শাক পাওয়া যায়। অভাবনীয় ব্যাপার। এগুলো কি ওখানেই চাষ করে? নাকি ইম্পোর্ট করে আপু? রেসিপিটি মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে কারণ অনেক অনেক চিংড়ি সেখানে।

চিংড়ি মাছ ও শুটকি দিয়ে কচু শাকের মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আপনি খুবই সুন্দরভাবে ধাপে ধাপে আমাদের মধ্যে শেয়ার করলেন। দেখে খুবই ভালো লাগলো।

আপু হঠাৎ হঠাৎ কচু শাক খেতে কিন্তু আমারও ভালো লাগে। কিন্তু আমাদের বাংলাদেশ কচু এভেলেভেল, যাইহোক আপনাদের ওখানে নাই দেখে আপনি বাংলাদেশ থেকে নিয়েছেন। আপনি খুব সুন্দর করে চিংড়ি মাছ ও শুটকি মাছ দিয়ে রান্না করেছেন। আমিও মাঝে মাঝে এভাবে চিংড়ি ও শুটকি দিয়ে কচু রান্না করে খেতে বেশ ভালো লাগে।

কচু শাক আমার খুব প্রিয় একটি খাবার। আমাদের বাসায় কচু শাক সিমের বিচি দিয়ে এবং সাথে চিংড়ি দিয়ে রান্না করা হয়। এভাবে খেতে আমার খুব ভাল লাগে। আপনি ভাইয়াকে দিয়ে বাংলাদেশ থেকে কচু শাক নিয়েছেন তার মানে আপনার কচু শাক অনেক পছন্দের। আজ আপনার রেসিপি দেখে সম্পূর্ণ নতুন কিছু জানতে পেরেছি। কচু শাক কখনো শুটকি মাছ দিয়ে খাওয়া হয়নি। তার উপর আপনি আবার সুন্দর গন্ধ যুক্ত নাগা মরিচ ব্যবহার করেছেন। কচু শাক, চিংড়ি মাছ, শুটকি মাছ, নাগা মরিচ এতগুলো মজার খাবারের মেটেরিয়ালের কম্বিনেশনে যখন রান্না করা হয় নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপু আপনার রান্নার পরিবেশন খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপু।

আপু কোন এক পোস্টে দেখেছিলাম, ভাইয়া বাংলাদেশ থেকে কচু নিয়ে গিয়েছে। আমাদের বাসায় ও ইলিশ মাছের মাথা দিয়ে কচু শাক রান্না করা হয়।তবে সিদল শুটকি ও চিংড়ি দিয়ে কখনো কচু শাক খাওয়া হয়নি।তবে দেখেই মনে হচ্ছে খেতে ভালোই হবে।ধন্যবাদ আপু

চিংড়ি ও শুঁটকি মাছ দিয়ে মজাদার কচু শাক রান্না করেছেন। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। তবে আমি এভাবে কখনো খাইনি। অবশ্যই বাসায় তৈরী করতে হবে কেমন হয় খেতে। আমি কচু শাক খেতে ভীষণ পছন্দ করি। খুবই পুষ্টিকর খাবার। ধন্যবাদ আপনাকে আপু চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন।

চিংড়ি ও শুঁটকি মাছ একসঙ্গে দিয়ে কচু শাকের রেসিপি তৈরি করেছেন আপু।যেটি খুবই পুষ্টিকর খাবার।কচুশাক ও ইলিশ মাছের রেসিপি খুবই স্বাদের।তবে আপনি বাংলাদেশ থেকে নিয়ে যাওয়া কচুশাক খেয়েছেন বেশ মজার ব্যাপার তো।আমি অবশ্য শুঁটকি মাছের গন্ধ নিতে পারি না বলে খেতে পারিনা।রেসিপিটা সুন্দর ও লোভনীয় হয়েছে।কচুশাক আমার ও খুবই পছন্দের, ধন্যবাদ আপু।

তাই তো বলি ঐ দেশে কচুশাক আবার কোথায় পেলেন। যদিও পোস্ট টা পড়ে ক্লিয়ার হলাম ওটা বাংলাদেশের। চিংড়ি দিয়ে কচুশাক খেয়েছি। ওর থেকে সুস্বাদু জিনিস পৃথিবীতে কম আছে। তবে শুটকি এবং চিংড়ি একএে কচু শাকের রেসিপি খাওয়া হয়নি। বেশ চমৎকার তৈরি করেছেন রেসিপি টা আপু। বেশ লোভনীয় ছিল। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে রেসিপি টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।

আমিও যে লাস্ট কবে কচু শাকের রেসিপি খেয়েছি মনেই নাই।তবে কালের বিবর্তনে অনেক কিছু হারিয়ে যাচ্ছে।আগে যে কচু শাক পাওয়াই যেত না সেটা এখন কিনে খেতে হয়।আর শুঁটকির সাথে রেসিপিটা বেশ মজাদার মনে হলো।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

শুটকি মাছ ও চিংড়ি মাছ একসাথে কখনো রান্না করে খাওয়া হয়নি। তবে কচু শাক আমার ভীষণ প্রিয়। আপনার তৈরি করা কচু শাকের রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে আপু। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে কচু শাক আপনার কাছে চলে গেল জেনে ভালো লাগলো। আসলে আমাদের ভাইয়া বাংলাদেশে এসেছিল বলেই হয়তো সেটা সম্ভব হয়েছে। ইলিশ মাছের মাথা দিয়ে কচু শাক রান্না করলে খেতে বেশ ভালো লাগে। চিংড়ি মাছ দিয়েও খেতে বেশ ভালো লাগে। আমি মাঝে মাঝে চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করে খাই। আবার মাঝে মাঝে শুটকি মাছ দিয়ে রান্না করে খাওয়া হয়। তবে চিংড়ি মাছ ও শুটকি মাছ যে একসাথে রান্না করে খাওয়া যায় তা আজকে প্রথম দেখলাম। যাইহোক সিলেটের মজার একটি রেসিপি শিখে নিলাম আপু।

এটা ঠিক আপু গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ শুঁটকি দিয়ে কচু তরকারি রান্না করে ৷ তবে আপনার করা রেসিপি তে চিংড়ি মাছ ও দিয়েছেন ৷ নিশ্চয়ই অনেক টেস্ট হয়েছে ৷ আর কচু তো অনেক প্রোটিন আর ভিটামিন জাতীয় খাবার ৷
খুব সুন্দর করে রেসেপি তৈরি করেছেন ৷
দেখে অনেক ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ আপু এতো রেসেপি শেয়ার করার জন্য ৷

  ·  2 years ago (edited)

ওয়াও! চিংড়ি এবং শুটকি দুই প্রকার মাছ ব্যবহার করেছেন যা দেখছি এই কচু শাক রান্না করতে। আমরা বাড়িতে যখন এই কচু শাক রান্না করি শুধুমাত্র চিংড়ি মাছ দিয়েই করে থাকি, শুটকি মাছের ব্যবহার কখনো করিনি। আপনি যেমন করে রেসিপিটি উপস্থাপন করেছেন সেই ভাবে একদিন বাড়িতে রান্না করে দেখতে হবে কেমন খেতে হয়।