আজ ভিন্ন একটি টপিক নিয়ে আলোচনা করতে এসেছি। হ্যাঁ সত্যি বলছি বর্তমানের মানুষ যেনো তার বিবেক বুদ্ধি হারিয়ে ফেলেছে। তারা নিজেরাও জানে না তারা কি করছে। কিন্তু যখন তাদের সেই সক্রিয় বুদ্ধি কাজ করে ততক্ষণে যেন সবকিছু শেষ হয়ে যায়। বিশেষ করে পরকীয়া ছেলে কিংবা মেয়ে বলেন তাদের জীবনটাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। পরকীয়া এমন ভাবে বেড়ে চলেছে সেখানে মানুষের বিবেক বুদ্ধি কাজ করে না। তারা কোন পথে যাচ্ছে সেটা তারা নিজেরাও জানেনা। এই একটি সম্পর্ক সুন্দর একটি পরিবারকে ভেঙ্গেচূড়ে তছনছ করে দেয়। মানুষ এসব কিছু দেখেও কেন যে এই পথে পা বাড়ায় সেটাই বুঝি না। পরকীয়া যেনো ভাইরাসের মতো চারদিকে ছড়িয়ে যাচ্ছে আমার কাছে এমন মনে হচ্ছে। কারণ ফেসবুক বলেন কিংবা অন্য কোনো যোগাযোগ মাধ্যম বলেন সব জায়গায় এই ধরনের অনেক ঘটনা দেখা যায়।
আমি সবসময় মানুষের কাছ থেকে এসব ঘটনা শুনেছি আর ফেসবুকে দেখেছি কিন্তু নিজের চোখে কখনও কিছু দেখিনি। গতকাল নিজের চোখে এমন একটি কুৎসিত ঘটনা দেখে অবাক হয়ে গেলাম। মেয়ে হলো মা জাতি তাছাড়া আমি নিজেও একজন মেয়ে তাই ধিক্কার জানাতে পারছি না। তাহলে যে সকল মেয়েরা খারাপ হয়ে যায়। সবাই তো আর এক নয়। আমার সম্পূর্ণ পোস্ট পড়লে জানতে পারবেন কেন এই কথাগুলো বলছি। গতকাল সন্ধ্যার পর আমরা একটু ছাদ বাগান রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম। আমার ছেলেকে একটি লেজার লাইট কিনে দিয়েছিলাম। খোলামেলা রেস্টুরেন্ট ছিল বলে ছেলে সেখানে লাইট নিয়ে খেলা শুরু করে। আমরা খাবার অর্ডার করে বসে আছি।
হঠাৎ করে দেখতে পেলাম হাজবেন্ড ওয়াইফ ও একটি ছোট বাচ্চা এসেছে আর আমাদের সামনের টেবিলে বসেছে। আমার ছেলের খেলা দেখে সেই বাচ্চাও খেলতে চলে আসে। আমরা দু'জনের খেলা চুপচাপ বসে দেখছি। এদিকে বাচ্চাটার বাবা মায়ের বাচ্চার প্রতি কোনো খেয়াল নেই। তারা দু'জন দু'জনের মতো ব্যস্ত রয়েছে। আমাদের খাবার আসতে অনেক সময় লেগেছিল। এভাবে প্রায় অনেকটা সময় কেটে গেলো। তারা শুধু কফি আর ফ্রেঞ্চ ফ্রাই অর্ডার করেছিল আর সেজন্য তাদের খাবার তাড়াতাড়ি চলে এসেছিল।
এরপর থেকে তাদের ব্যবহার আমি ভালো ভাবে লক্ষ্য করলাম। তারা একবারও তাদের বাচ্চাকে খাবার খাওয়ার জন্য ডাক দেয়নি। আমাদের কাছে ছেড়ে দিয়ে তাদের মতো করে খাচ্ছে আর সময় কাটাচ্ছে। অথচ দেখেন আমরা কিন্তু তাদের চিনিও না। এরপর আমাদের খাবার চলে আসে। কিন্তু ও তো বাচ্চা মানুষ তাকে তো আর বলতে পারি না তুমি চলে যাও। এরপর আমি আমার ছেলেকে ও ঐ বাচ্চাকে খাইয়ে দিলাম। এটা দেখে মহিলা বাচ্চাকে ডাক দেয়। এরপর বাচ্চা গিয়ে অল্প ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খেয়ে আবার চলে আসে।
এতক্ষণ পর্যন্ত বাচ্চাকে নিয়ে ভালোই ছিল কিন্তু অবশেষে বাচ্চাটি আমাদের টেবিলের উপর উঠে বসে এবং আমার যে প্লেট তাতে পা দিয়ে ধাক্কা দিতে থাকে। আমরা যে ঠিক মতো খেতে পারছি কিংবা বসতে পারছি না সেদিকে ঐ মহিলা ও লোকটির কোনো খেয়াল নেই। আমরাও বাচ্চা বলে কিছু বলতে পারছি না। সবকিছু নিরবে সহ্য করে যাচ্ছি। এরপর হঠাৎ করে তাদের কথাবার্তা শুনে আমরা ক্লিয়ার হলাম তারা হাজবেন্ড ওয়াইফ নয়। কিন্তু তারা এমন ভাব দেখিয়েছে মনে হয়েছিল সত্যি সত্যিই হাজবেন্ড ওয়াইফ। সেজন্যই বাচ্চা রেখে লোকটি একা একা খেতেই পেরেছে।
তারা এখানে একান্ত সময় কাটাতে এসেছে আর সেজন্য মহিলা তার মেয়েকে এভাবে ছেড়ে দিয়েছে। মা কিভাবে এমন হতে পারে? তাদের আচরণ ও কথাবার্তায় একদম স্পষ্ট ভাবে ফুটে ওঠেছে তারা পরকীয়া প্রেমে আসক্ত। লোকটি মহিলার সাথে ছবি তুলতে চেয়েছিলো কিন্তু তাতে বারবার বাঁধা দিচ্ছিলো। এরপর মহিলাটি হাত দিয়ে মুখ ঢেকে একটি ছবি তুলে। তাদের দু'জনের এমন কান্ড কাহিনী দেখে খুব ঘৃণা হচ্ছিল আর বাচ্চা মেয়েটার জন্য খুব কষ্ট হচ্ছিল। আমরা হাজবেন্ড ওয়াইফ কত যত্ন করে আমাদের ছেলেকে খাইয়ে দিচ্ছি। কিন্তু মেয়েটি যেনো অসহায়ের মতো আমাদের কাছে এসে বসে ছিল।
আমার এখনও সেই বাচ্চা মেয়েটির চেহারা চোখে ভেসে উঠে। এই পৃথিবীটা এমন কিছু মানুষের জন্য যেন বিষাক্ত হয়ে যাচ্ছে। এই ছোট্ট মেয়ে বড় হলে তার মায়ের কাছ থেকে কি শিখবে? যতদিন যাচ্ছে মানুষ যেন তার বিবেক বুদ্ধি হারিয়ে ফেলছে। যাই হোক অনেক কথা বলেছি আজ আর নয় আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্টের মাধ্যমে। ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
https://x.com/TanjimaAkter16/status/1856650706473927050?t=Hrgft9Rkwf8Gv-OpEyPJZg&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দেখেন কি অবস্থা আপু আপনার পুরো ঘটনাটি পড়লাম। আসলে একজন মা যদি বাচ্চাকে অবহেলা করে কিন্তু বাবা তো চুপ থাকতে পারে না। সেখানে যখন বাবা-মা দুইজনে চুপ থাকছিল তাহলে অবশেষে বুঝতে পারছেন সেই বাবা ছিল না। আমার ভাবতেই কেমন জানি লাগে একজন বিবাহিত মেয়ে অন্য পুরুষের সাথে আড্ডা দেবে সেটা কিছুতে মানা যায় না। কারণ পুরুষ মানুষের সব সময় সুযোগ নিতে চাই তাকে সুযোগ না দেওয়াই উচিত।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু কিছু কিছু মানুষ থাকে যাদের স্বভাব কখনো পরিবর্তন হওয়ার নয়, তাদের অবস্থা ঠিক সেরকমই হয়েছে। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ওইখানেই গণপিটুনি দেওয়ার দরকার ছিল আপনাদের। যারা বাচ্চার দায়িত্ব নিতে জানে না বা বাচ্চার যত্ন করতে জানেনা তারা বাইরে যাই করুক বাচ্চাকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া তাদের কখনোই উচিত নয়। একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ বা মহিলা কি করবে সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যপার কিন্তু তাদের এই ব্যক্তিগত শখ আহ্লাদ সুখযাপন সবকিছুর জন্য অন্য একজন মানুষ সাফার করবেন আবার যদি সে বাচ্চা হয় তা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। মহিলাটির মা হওয়ার কোন যোগ্যতা নেই সেটুকু বুঝি। ওদের সাময়িক ফূর্তির প্রয়োজন। কিছু বলার নেই জাস্ট।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু পরিস্থিতি এমন ছিল যে আমরা কি বলবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না। কারণ আমরা তো তাদের মত এতটা অসভ্য নই। যাই হোক সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
যত দিন যাচ্ছে মানুষের বিবেক যেন হারিয়ে যাচ্ছে মানুষ যেন পশুর থেকে অধম হয়ে যাচ্ছে। আর এই সমস্ত প্রভাব গুলো পড়ছে সমাজের উপর। প্রতিনিয়ত আমার এক লক্ষ্য করে দেখছি এমন নিত্য নৈমিত ঘটনা ঘটতে রয়েছে। না জানি কবে আমাদের সমাজ ঠিক হবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু যারা খারাপ তারা সব সময় খারাপই থাকে। তাদের জন্য এই সমাজটা নষ্ট হয়ে যায়। সেটা আর কখনো ঠিক হওয়ার নয়। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু আজ আপনি খুব সুন্দর একটি টপিক নিয়ে আমাদের সাথে আলোচনা করেছেন। দিন যাচ্ছে মানুষের জ্ঞান বিবেক বুদ্ধি যেন পশুর মতো হয়ে যাচ্ছে। এমন কিছু মানুষের জন্য আমাদের সমাজটা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।ইদানীং এমন সব ঘটনা অহরহ দেখা যাচ্ছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই ধরনের মেয়েরা মা হওয়ার যোগ্য না। বর্তমানে চারিদিকে শুধু পরকীয়া আর পরকীয়ার ঘটনা শুনছি। আর পরকীয়া প্রেম শুরু হওয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক। বাচ্চা মেয়েটির জন্য আসলেই খুব খারাপ লাগছে। যাইহোক সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক সেই কামনা করছি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit