"মহা অষ্টমীতে সকাল সকাল অঞ্জলী দেওয়া ও নিজের পাড়ায় ঠাকুর দেখা "

in hive-129948 •  2 years ago 

বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। একে একে দুর্গা পূজা ও লক্ষী পূজা শেষ হয়ে গেল।সামনে আসছে দীপাবলী বা কালী পূজা। এর আনন্দ দুর্গা পূজার মতো অতটা আনন্দের না হলে ও কিন্তু কোন অংশে কম না। দুর্গা পূজা যেমন ৫ দিন ধরে হয় কালী পূজা একদিন হয়। কিন্তু ঠাকুর দেখতে যাওয়ার আনন্দ উৎসাহ কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে চলে। এখন থেকেই আমাদের এখানে কালী পূজা বা দীপাবলির আয়োজন শুরু হয়ে গেছে।
প্রতি বছর আমি অষ্টমীর দিন অঞ্জলী দিতে যাই মন্দিরে। আগে ছেলে বেলায় দুর্গা পূজায় তিন দিন অঞ্জলী দিতে যেতাম। কিন্তু আর সেটা হয়ে হয়ে ওঠে না। তাই অষ্টমীর দিন অঞ্জলী দিতে যাই। অষ্টমীর দিন সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে ঘরের কাজ গুলো তাড়াতাড়ি করে স্নান করে পূজোর সরঞ্জাম গুছিয়ে নিয়ে অঞ্জলী দেওয়ার ঘণ্টা খানেক আগে মন্দিরে যাই পূজা দেওয়ার জন্য।

IMG_20221003_183138.jpg
পূজা দিয়ে বাড়ীতে এসে টিনটিন বাবু ও তার বাবাকে নিয়ে এবার যাই অঞ্জলী দেওয়ার জন্য। মন্দিরে পৌঁছে দেখি অঞ্জলী শুরু হয়ে গেছে তাই ভাবলাম পরেরবার অঞ্জলী দেবো। যথারীতি অঞ্জলী শেষ করে দেখি টিনটিন বাবু ছবি তুলছে সাথে তার বাবাও। আমি কাছে যেতেই বলে হয়ে গেলে চলো। আমার তাড়াতাড়ি বাড়ীতে গিয়ে কাজে বসতে হবে। কথাটা শুনে কিছু বলতে গিয়ে ও বললাম না। কারণ আমি জানি কিছু বললেও কাজ হবে না কারণ তার দায়িত্ব থেকে এক পা ও নড়বে না। কারণ তার জীবনে কাজটাই সব। শুধু বললাম আশে পাশের কিছু প্রতিমা দেখতে যেতে চেয়েছিলাম কিন্তু তোমার তো আবার তাড়াতাড়ি বাড়ি যেতে হবে। তখন দেখলাম কিছুক্ষন পর বললো চলো দুই তিনটি দেখে চলে আসবো। আমি বললাম আগে তো যাওয়া যাক।তার কাজ দেখে মাঝে মাঝে খুব খারাপ লাগে, আর মনে হয় হয়তো আমার থেকে তার জগৎ টাই বড়। আবার পরক্ষনেই ভাবি ও তো এ রকমই , কিন্তু এর ভিতরে থেকে ও সে আমাকে সময় দেওয়ার চেষ্টা করে। আমি ছাড়া তাকে কে বুঝবে।

IMG-20221003-WA0002.jpg
টিনটিন বাবু কে খুব সকালে উঠানোর জন্য মুড অফ।

IMG_20221003_103935.jpg
দাঁড়িয়ে অঞ্জলী দেওয়ার মুহূর্ত।

IMG_20221004_190037.jpg

IMG_20221004_190134.jpg

IMG_20221004_190218.jpg

IMG_20221004_190158.jpg

অনেকটা ছোট খাটো প্যান্ডেল ও মন্দির বানানো হয়েছে। তবে দেখতে কিন্তু খুব একটা খারাপ লাগছে না।
আজ এই পর্যন্তই আগামী দিন নতুন কোন বিষয় আবার আসবো। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

বাহ তাহলে তো এবার আপনারাও কালীপুজো বা দীপাবলীর আয়োজন শুরু করে দিন বৌদি। অষ্টমীর দিন আপনার অঞ্জলি দেওয়ার গল্পটা পড়ে খুব ভালো লাগলো। এটা সত্যি কথা সব হাজবেন্ডরাই এমন। তাদের কাছে সবকিছুর আগে তাদের কাজের দুনিয়াটাই সবচেয়ে বড়। কিন্তু পরক্ষণে আমিও আপনার মত ভাবি যে আমাকেই বুঝে নিতে হবে এবং পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতে হবে। দাদার প্রতি আপনার এই ভালোবাসা দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো বৌদি। আসলে দাদা আপনাকে খুব খুব ভালোবাসে কিন্তু হয়তো সময়ের অভাবে সবসময় দেখিয়ে উঠতে পারেনা। এভাবে হাসি খুশি থাকুন এবং প্রতি বছর পূজো এভাবেই সুন্দরভাবে কাটিয়ে দিন। সকাল সকাল উঠাতে টিনটিন বাবুর মুড অফ। তবে ছবিতে তাকে বেশ লাগছে ❤️।

বৌদি ঠিক বলেছেন দেখতে দেখতে পুজো শেষ লক্ষি পুজো ও শেষ ৷সামনে আসছে কালি পুজো শুনেছি আপনাদের ওই দিকে কালি পুজোও বেশ জাঁকজমক ভাবে হয় ৷ আমাদের এই দিকে পুজো হয় ৷তবে তেমন কোনো আনন্দ হয় না ৷

আর অষ্টমীর দিনে আমিও পুজো দিতে গিয়েছিলাম ৷
দাদা মনে হয় আপনাকে সময় খুব কম দেয় তাই না৷ কি করবেন দাদা আসলে বড় মনের মানুষ ৷ যা হোক পরে দুই একটি ঠাকুর দেখচ্ছেন সেটাই বড় ৷ টিনটিন বাবু মন খারাপ তাকে ঘুম থেকে উঠার জন্য৷
সর্বোপরি আপনার পরিবার নিয়ে খুব সুখে শান্তিতে থাকুন এমনটাই কামনা করি ঈশ্বরের কাছে ৷

হতে পারে আমাদের দাদা কাজে নিয়ে মেতে থাকে। হতে পারে কাজ ছাড়া কিছুই বোঝে না তাই বলে আপনার ইচ্ছা রাখবে না এটা কেমন করে হয় বলুন। ঠিকই আপনার সঙ্গে ঠাকুর দেখতে চলে গেল। বেশ দারুণ সুন্দর সময় কাটিয়েছিলেন অষ্ঠমীর সকালে।।

এটা কিন্তু ঠিক বলেছেন বৌদি,এইযে কাজের মাঝেও আপনাকে যতটুকু পারে ততটুকু সময় দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করে এটাতেই ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা প্রকাশ পায়।

দিদিভাই আপনাদের ওখানে একের পর এক পুজোর এই ধূম লেগেই থাকে। এই ব্যাপারটা অসাধারণ লাগে আমার কাছে। একটু ঠিকঠাক ভাবে দাঁড়িয়ে নিলে ইচ্ছা আছে প্রতিটা পার্বণে আপনাদের ওদিক থেকে ঘুরে আসার। আর দাদা! হ্যাঁ এটা ঠিক একটু ব্যস্ত থাকে সবসময় বেশি। কিন্তু তারপরেও সব সময় পরিবারের প্রতি অন্যরকম একটা ভালোবাসা কাজ করে সেটা নিজেই দেখেছি। একটু-আধটু মানিয়ে নিয়েই তো দুজনের এই ভালোবাসা। মা দুর্গা সবসময় আপনাদের অনেক ভালো রাখুক এবং সুস্থ রাখুক এই প্রার্থনাই করি।

বৌদি খুব সুন্দর করে আপনার পুরো পোস্টটি পড়ে অনুভব করলাম আপনার খুব সুন্দর একটি সেক্রিফাইস মনোভাব আছে।ঠিকই তো প্রিয় মানুষটিকে আপনি নিজেই যদি না বোঝেন। তাহলে অন্যরা কি বুঝবে।কালীপুজোর ও দীপাবলীর আগাম শুভেচ্ছা।তাছাড়া প্রতিটি ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। টিনটিন বাবুকে দারুন লাগছে। ধন্যবাদ দিদি।♥♥

Good!

পুজোর মূহুর্তগুলো এত তাড়াতাড়ি কেটে যায় যে মনে হয় চোখের পলক ফেলতে না ফেলতেই শেষ হয়ে গেলো। অষ্টমীর অঞ্জলী বাঙালি জীবনে এক আলাদা মাত্রা এনে দেয়। কিন্তু এই কটা দিন ঘড়ি যেন ভিষণ দ্রুতবেগে ছোটে।অথচ এখন আর সময় কাটতেই চাইছে না।

আমাদের টিনটিন বাবুর মুড সত্যিই অনেকটা অফ লাগছে ফটোতে দেখে। সকাল সকাল কারোই ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছা করে না, বৌদি। এই বছর তো সকালে ঘুম থেকে উঠতে না পারার কারণে অঞ্জলি দিতেও পারিনি আমি ।