জেনারেল রাইটিং:- "অহংকার মুক্ত বিনয়ী মানুষ, স্রষ্টা এবং সৃষ্টি সবার কাছেই প্রিয়"

in hive-129948 •  last month 

Pink Green Organic Don't Waste Your Energy Quote Instagram Post_20241009_120051_0000.jpg

হ্যালো বন্ধুরা,

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমি সব সময় চেষ্টা আমি কিছু বিষয়ে আপনাদের মাঝে তুলে ধরার। তেমনি আজকেও আপনাদের সামনে অনেক সুন্দর একটি বিষয়ের উপস্থাপন করার চেষ্টা করব। আসলে এসব বিষয়গুলো থেকে আমরা অনেক কিছু জানতে পারি এবং শিখতে পারি। যেগুলা হয়তোবা বাস্তব জীবনে আমাদের কাজে লাগবে। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে পোস্টটা পড়ে।

অহংকার এমন একটা জিনিস, যেটা যার মধ্যে আছে সে কখনোই কারো প্রিয় হতে পারে না। অহংকার মানুষকে একেবারে ধ্বংস করে দেয়। মানুষের মধ্যে অহংকার থাকা একেবারেই উচিত না। মানুষ নিজের অহংকারের কারণে এক সময় সবকিছুই হারিয়ে ফেলে। আর এর জন্য পরবর্তীতে তাকে পস্তানো লাগে অনেক বেশি। এমন অনেক মানুষের রয়েছে, যারা কিনা অনেক বেশি অহংকার করে থাকে তাদের সবকিছু নিয়ে। কিন্তু এটা করা একেবারেই উচিত হয় না। কারণ তাদের এই অহংকার ফলে তারা একদিন পস্তায়। অহংকার মানুষকে ভালো থাকতে দেয় না।

আমরা সবাই জানি, অহংকার পতনের মূল। যে মানুষ অহংকার করে, তার একদিন না একদিন অবশ্যই পতন হবে। যারা অহংকার করে না, তাদেরকে সবাই অনেক বেশি পছন্দ করে। জীবনে কখনো কারো কোনো কিছু নিয়ে অহংকার করা উচিত নয়। কারন আমরা বর্তমানে যে জিনিসটা নিয়ে সবথেকে বেশি অহংকার করছি, কিছুক্ষণ পর এটা আমাদের থেকে চলেও যেতে পারে। আমাদেরকে সব সময় এটা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। আমাদের সবার উচিত সবসময় ভালো কোনো কিছু নিয়ে অহংকার করা। মানুষের অহংকার অনেক বেশি হলে, মানুষ অন্যকে মানুষ হিসেবে দেখে না এরকমই মনে হয়।

এই কথার অবলম্বনে আপনাদেরকে একটা সত্য কথা বলা যাক। আমাদের এলাকার একজন মহিলা ছিলেন, যিনি কিনা প্রতিনিয়ত অহংকার করতেন নিজের সন্তানকে নিয়ে। সব সময় সবার কাছেই এটাই বলে বেড়াতেন, ওনার ছেলেরা নাকি অনেক ভালো। উনাকে নাকি রানীর মত করে সব সময় আগলে রাখে। এমনকি ওরা নাকি বলেছে ভবিষ্যতেও ওনাকে এভাবে আগলে রাখবে। আর এটা নিয়ে তিনি সব সময় অনেক অহংকার করতেন। কিন্তু এই অহংকারের পতন বেশিদিন লাগেনি হতে। কয়েকদিন পরেই দেখা গেলো উনার সন্তানরা উনাকে আর খাওয়ায় না। আসলে তারা সম্পত্তির জন্য কয়েকদিন উনাকে আদর যত্ন করেছিল।

পরে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন ওনার অহংকারের পতন কিভাবে হয়েছে। আর উনি নিজের অহংকারের কারণে অন্য মানুষদেরকে যা নয় তা বলে থাকতেন। আরো এরকম অনেক মানুষ ছিল যাদেরকে সন্তানরা খাওয়াতেন না। সেই মানুষগুলোকে তিনি বিভিন্ন কথা বলতেন। এটাও বলতেন এরকম সন্তান কিভাবেই বা জন্ম দিলে তুমি। তিনি শুধু বলতেন আমি মনে করি আমার সন্তানই অনেক ভালো। আসলে মানুষ নিজের অহংকারের জন্য কোথায় নেমে যায় এটাই বুঝতে পারে না তারা। কিন্তু এই অহংকার করে কি লাভ হয়। তাই অহংকার না করাই ভালো।

আমরা চারপাশে তাকালে দেখব, যারা অহংকার করে তাদের পতন একসময় না একসময় অবশ্যই হয়। এরকম মানুষদেরকে দেখে আমাদের শিক্ষা নেওয়াটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যারা অহংকার মুক্ত বিনয়ী মানুষ, তারা স্রষ্টা এবং সৃষ্টি সবার কাছে অনেক বেশি প্রিয়। এটা আমরা ভালোভাবেই বুঝতে পারি। আর এটাকে বুঝেই আমাদেরকে সব সময় অহংকার থেকে দূরে থাকা লাগবে। তবে আমরা ভবিষ্যতে আরো ভালো কিছু করতে পারবো। আর সবার পছন্দের মানুষ হিসেবে থাকতে পারবো। এগুলোর থেকে নিজেকে যত দূরে রাখা যায় ততই ভালো। তাই আমার একটি কথা, কখনো কোনো বিষয় নিয়ে অহংকার করবেন না। আজ এই পর্যন্তই লিখলাম। পরবর্তীতে হাজির হবো ভিন্ন কিছু নিয়ে।

আমার পরিচয়

DSC00912.jpg

আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।

🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀

আসুন সবাই মন খুলে বাংলায় ব্লগিং করি

IMG-20220501-WA0005.jpg

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

আজকে আপনি খুব সুন্দর একটি টপিকের উপরে পোস্ট করেছেন বিশেষ করে এই কথাটা শুনে ভালো লাগলো যে অহংকার পতনের মূল কখনোই মানুষ কে অহংকার করতে নেই। আজকে একটি বাস্তবিক পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।

তবুও তো মানুষ অহংকার করে থাকে। তবে এটার পতন খুব তাড়াতাড়ি হয়।

দারুন লিখেছেন। আমিও আপনার সাথে একমত যে অহংকার মুক্ত বিনয়ী মানুষ গুলো আল্লাহর অনেক রহমতের ছায়াতলে থাকে। আপনি বেশ সু্ন্দর করে নিজের মনের কথা গুলো আজকের পোস্টে তুলে ধরেছেন। দারুন ছিল আপনার আজকের পোস্ট। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।

হ্যাঁ, এই মানুষগুলো আল্লাহর তায়ালার কাছে এবং সবার কাছে অনেক বেশি প্রিয়।

এজন্য মানুষের অহংকার করতে নেই। অহংকার করলে এর ফল একদিন ভোগ করতে হয়।মহিলাটি তার সন্তানকে নিয়ে খুব অহংকার করতেন এর জন্য তার ফল ভোগ করতে হয়েছিল। আর অহংকার কারী কে কেউ পছন্দ করে না। আমাদের সকলেরই উচিত অহংকার থেকে বিরত থাকা। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

হ্যাঁ দিনশেষ ওনাকে ফল ভোগ করা লেগেছে।

অহংকারী মানুষকে কেউ কখনো পছন্দ করে না। যার ভিতরে অহংকার বেশি সে তত মানুষের নিকট ঘৃণার পাত্র এমনকি মহান সৃষ্টিকর্তাও তাকে অপছন্দ করে থাকেন। তাই আমাদের সব সময় বিনয়ী ভালো নম্র ভদ্র হতে হবে এবং অহংকার মুক্ত হতে হবে।

এই জন্যই কখনো কোনো কিছু নিয়ে অহংকার করতে নেই।

তোমার এই কথাগুলোর সাথে আমি সম্পূর্ণভাবেই একমত। আসলে যারা অহংকার করে না তাদেরকে সবাই অনেক বেশি পছন্দ করে। কিন্তু যারা অহংকার করে তাদেরকে কেউ পছন্দ করেনা। মানুষ অহংকার করে কি পায় আমি এটা বুঝিনা। বরং অহংকার করার ফলে হারিয়ে ফেলে অনেক কিছু। কারণ অহংকার হচ্ছে পতনের মূল। অহংকার করলে তার পতন অবশ্যই হয়।

আমার কথার সাথে তুমি একমত শুনে খুব ভালো লেগেছে। ঠিক বলেছ অহংকার করলে তার পতন হবে।

অহংকারী ব্যক্তি সবার নিকটে ঘৃণার পাত্র। হয়তো সম্মুখে সবাই তার সাথে কথা বলে কিন্তু অন্তর থেকে তাকে ঘৃণার দৃষ্টিতে দেখে থাকেন। তাই আমাদের মধ্যে বিন্দুমাত্র অহংকার রাখা যাবে না। সবসময় চেষ্টা করতে হবে নিজের মধ্যে বিনয়ী মনোভাব তৈরি করে চলা।

হ্যাঁ নিজের মধ্যে এই জন্য একটুও অহংকার রাখা যাবেনা।

অহংকার মানুষকে ধ্বংস করে। আর অহংকার সব সময় পতনের মূল কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই আমার মনে হয় এই বিষয়গুলোতে সবার খেয়াল রাখা উচিত। আপু আপনার লেখাগুলোর মাধ্যমে আশা করছি সবাই সচেতন হবে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলো তুলে ধরেছেন আপু।

অহংকার একটা মানুষকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।