হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে ভালো আছি। আজ আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে। আশা করছি আমার পোস্ট টি আপনাদের ভালো লাগবে। এবং আপনারা আপনাদের মূল্যবান মতামত শেয়ার করে আমাকে উৎসাহিত করবেন।
ঢাকেশ্বরী মন্দির বাংলাদেশের জাতীয় মন্দির। এখানে প্রতিবছরই মহাধুমধাম করে দূর্গা পূজো করা হয় এবং দূর-দূরান্ত থেকে এখানে বহু দর্শনার্থীরা আসেন মায়ের দর্শনের জন্য। কিছুদিন আগে দিদিভাই, জামাইবাবু সহ আমরা গিয়েছিলাম ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে। আমরা আসলে বিকেলের দিকে বের হয়েছিলাম। সোজা একটা সিএনজি নিয়ে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে চলে যাই। শুরুতেই মূল মন্দিরের আগে, মহানগর কেন্দ্রীয় পুজা মন্ডপ নামে পরিচিত একটি দূর্গা মন্দির পরে। যেটার প্রতিমা আসলে ধাতুর তৈরী। এখানে প্রতিবছরই দূর্গা পুজো হয়। আমরা গিয়ে দেখি মায়ের আরতি চলছে। পুরোহিত ঠাকুর একের পর এক বেশ কিছু উপাচার দিয়ে মায়ের আরতি করছিলেন। আমরা দাঁড়িয়ে থেকে কিছুক্ষণ মা দূর্গার আরতি দেখলাম।
সেখান থেকে বের হয়ে, মায়ের জন্য কিছু নিবেদন কিনে আমরা চলে গেলাম মূল মন্দিরে। মূল মন্দির প্রাঙ্গণে গেটের পাশেই সুন্দর জুতো রাখার জায়গা রয়েছে। সেখানে জুতো জমা দিয়ে এগিয়ে গেলাম মূল মন্দিরে। মূল মন্দিরে বেশ অনেক দেবরার মূর্তি রয়েছে৷ তার মধ্যে মা ঢাকেশ্বরী, শিব, মা সন্তোসী, নারায়ণ শীলা অন্যতম। আমরা মাকে প্রণাম করে মায়ের পুজো দিয়ে মায়ের উদ্দেশ্যে প্রসাদ নিবেদন করি। তারপর মোমবাতি এবং আগরবাতি দেয়ার স্থানে মোমবাতি আর আগরবাতি জ্বালিয়ে দেই।
এরপর মন্দিরের অন্য পাশে যাই। সেখানে পরপর চারটি শিবমন্দির রয়েছে। সেখানেও প্রতিবছর বেশ বড় করে শিবরাত্রিতে পূজোর আয়োজন হয়।
এরপর মন্দির সংলগ্ন কিছু দোকান থেকে কিছু কেনাকাটা করি আমরা। সেখানে গীতা বই থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধর্মীয় বই, শাঁখা-পলা, সিঁদুর, বিভিন্ন ঠাকুরের মূর্তি, ধূপকাঠি, লকেট সহ আরো অনেক কিছু পাওয়া যায়।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে
এরপর আমরা বের হই। বাইরে বের হবো আর খাওয়া দাওয়া হবে না, সে কী আর হয়! বাইরে আমরা ফুচকা -চটপটি খেয়ে বাসায় ফিরলাম।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
কিছুদিন আগে ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বেড়াতে গিয়েছিলেন জেনে বেশ ভালো লাগলো দিদি। আমিও এবারের পূজাতে মহা সপ্তমী পূজার দিনে ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গিয়েছিলাম। অবশ্য সেখানে আমি একা একাই গিয়েছিলাম এবং অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। আমি মন্দির থেকে শ্রীমৎভাগবত গীতা ও আরো একটি ধর্মীয় বই কিনে এনেছিলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিত ভাবে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মন্দির মানেই তো শান্তির জায়গা। মন্দিরে গিয়ে মন বেশ হালকা হয়। আমরাও ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছি সবাই মিলে৷ তোমার কমেন্ট পড়ে বেশ ভালো লাগলো ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit