হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
Image Created by OpenAI
আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ক একটি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। গতকাল আরো একটা ইন্টারেষ্টিং খেলা হলো ভারত আর ইংল্যান্ড এর মধ্যে। আসলে শুরুতে খেলাটা যদিও দেখতে পারেনি জিম গেছিলাম বলে, তবে পরে হাইলাইটস এ একটু দেখে নিয়েছিলাম। ইংল্যান্ড টসে জিতে ইন্ডিয়াকে ব্যাটিং তো করতে পাঠিয়েছিল, কিন্তু শুরুটা দেখছিলাম মোটেও ভালো হয়নি। কারণ অলরেডি ৩ জন জিরো রানে আউট হয়ে গিয়েছে আর সেই সাথে অভিষেক শর্মাও খেলতে থাকলেও বেশিক্ষন আর পারেনি, ক্যাচ এর শিকার হয়ে যায়। এর পরে রান তো বলতে গেলে একদমই বাজে অবস্থায় ছিল।
স্কোর দেখে মনে হচ্ছিলো যে, ১২০-৩০ এর বেশি হবেই না। কারণ মেইন ব্যাটসম্যান সবাই প্রায় আউট হয়ে গিয়েছে প্রথমের দিকে। রিঙ্কু শিং আর শিবম দুবে ছিল যদিও, কিন্তু সত্যি বলতে আমার এই শিবমের উপরে একদমই ভরসা থাকে না। কারণ প্রায় বল টানে, লাগলে বাউন্ডারি ইটা শিউর, কিন্তু আউট হয়ে যাওয়ার বেশি চান্স থাকে। বেশিরভাগ ম্যাচেই তার এই অবস্থা দেখেছি। কিন্তু সেই ভালো টেনে দিয়েছিলো দেখলাম। রিঙ্কুও মোটামুটি ভালো সাপোর্ট দিয়ে গিয়েছিলো ওই মুহূর্তে। মোট কথা বলতে গেলে এই ম্যাচে ইন্ডিয়া শুরুতেই যে খেলায় প্রাণ হারিয়ে ফেলেছিলো, সেটাতেই আবার রিঙ্কু, শিবম আর হার্দিক মিলে প্রাণ ফিরিয়ে এনেছিল।
তাছাড়া এই ম্যাচে রান পাওয়া অসম্ভব ছিল। মাত্র ৪ জনের অসীম প্রয়াসে দারুন একটা চেজ করার মতো রান বানায়। ১৮০ পার করবে এটাই অসম্ভব ছিল শুরুর খেলা দেখে। কিন্তু সেই অসম্ভবকে সম্ভব করে দিয়েছে অবশেষে। তবে প্রথমে যা হয়েছে তো হয়েছে, খেলায় ইন্টারেস্টিং ব্যাপারটা ঘটেছে দ্বিতীয় অর্ধে। ইংল্যান্ড কিন্তু এদিক থেকে আবার শুরুটা বেশ ভালোই করেছিল। ডুকেট মারছিলো বেশ, তবে পরে বাটলার এরা এসে খেলতে পারেনি, রান প্রায় অনেকটাই চেপে গিয়েছিলো। খেলার মোড় আবার ১৩ ওভারের থেকে ১৬ ওভারের মধ্যে ঘুরে যায় অর্থাৎ একদিক থেকে বললে দুই দলেই এখানে খেলায় প্রাণ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছিল।
ইংল্যান্ড এর ব্ৰুক কিন্তু একাই মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলো বাউন্ডারি মেরে মেরে। ১৩ ওভারে যে রান ছিল, তার থেকে প্রায় পর পর দুই ওভারে ১০-১৫% বৃদ্ধি পেয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু বরুন এর কাছে এসে ধরা খেয়ে যায়। ইন্ডিয়া আবার এখানে ব্ৰুককে আউট করে ম্যাচে প্রাণ ফিরিয়ে আনে। কারণ ব্ৰুক যদি টিকে যেত, তাহলে রান খুব সহজেই চেজ হয়ে যেতো। একদিক থেকে একটা বুদ্ধিমানের কাজ করেছিল। যদিও এখানে অধিনায়কের অবদান আছে, সঠিক জায়গায় সঠিক বোলারকে খাটাতে পেরেছিলো। এরপরে হরষিত লাগাতার কয়েকটা উইকেট নিয়ে ম্যাচে পুরোপুরি প্রাণ ফিরিয়ে আনে। তবে এখানে ব্ৰুককে আউট করলেও ওভারটন নামের একজন খেলছিল ভালোই, একেও আউট না করলে একটা বিপদ হতো ওই মুহূর্তে, তারপর আবার ক্যাচ মিস করেছিল। তবে যাইহোক, শেষ মুহূর্তটা বেশ আকর্ষণীয় ছিল।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার জানা মতে রিংকু সিং এবং হার্দিক পান্ডিয়া এরা তো মোটামুটি ভালোই খেলে দাদা।যদিও বা শিবম দুবে চায়না প্রোডাক্ট এর মতো হা হা হা। মানে ব্যাটের সঠিক জায়গায় লাগলে বাউন্ডারি আর ব্যাটের বেকায়দা জায়গায় লাগলে ক্যাচ। যাইহোক এদের কৃতিত্বেই ইন্ডিয়া মোটামুটি ১৮০ রানের ফিগার তৈরি করেছিলো। যদিও বা ইংল্যান্ডের ব্ৰুক চমৎকার ব্যাটিং করছিলো। যাইহোক সেও ইন্ডিয়ার বোলারদের হাতে ধরা পড়ে যায়। সব মিলিয়ে দেখতেছি চমৎকার একটি ম্যাচ ছিলো। খুবই ভালো লাগলো আপনার রিভিউটি পড়ে দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit