কালী পূজায় ঘোরাঘুরি-পর্ব ১০ ( শেষ পর্ব )

in hive-129948 •  2 years ago 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

আজকে আপনাদের সাথে কালী পূজার কিছু ছবি শেয়ার করবো। আজকেই পর্ব শেষ হয়ে যাবে। লাস্ট শতদল ক্লাব এর কিছু ছবি শেয়ার করেছিলাম আপনাদের সাথে। আর এর পরে দেখেছিলাম "আগুয়ান সংঘ ক্লাব" এর পূজা। আগুয়ান সংঘটা শতদল ক্লাব এর পাশেই অবস্থিত, বেশি একটা দূর না। আগুয়ান সংঘ ক্লাব এইবার পুরো বারাসাতকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে প্রতিমা তৈরি করে। আগুয়ান সংঘ ক্লাব এইবার ৫০ ফুটের প্রতিমা তৈরি করেছে আর বারাসাতে এই প্রথমবার হলো। এর আগে বা এখনোও বারাসাতের আর কোথাও কেউ তৈরি করেনি। আগুয়ান সংঘ ক্লাব এই বছর নিয়ে ৫০ বছর অতিক্রম করেছে কিন্তু এইবারের মতো এতো বড়ো প্রতিমা তারা তৈরি করেনি। আর এই ক্লাব এর কমিটিরই প্রধান উদ্দেশ্য ছিল এইবছর বারাসাতের বুকে এমন কিছু তৈরি করা যেন সারা বছর স্বরণীয় হয়ে থাকে বিষয়টা।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

আর এই ধরণের প্রতিমা তৈরির বিষয় মাথায় নিয়েই তারা থিমের নাম রেখেছিলো 'মা'। শতদলের পাশাপাশি এই ক্লাবের পুজোটাও অনেক বড়ো করে আর জাকজমকপূর্ণ হয় কিন্তু এইবার যে বীভৎস ভিড় হয়েছিল তা আগে কোনো বছর আমার চোখে পড়েনি আমি যতবার গিয়েছি তার মধ্যে। এই প্রতিমা দেখার জন্য অল টাইম ভিড় যেন উপসে পড়ছে। কালী পূজায় সাধারণত সবাই পুজোর পরের দিন বের হয় প্রতিমা, মণ্ডপ এইসব দেখার জন্য, কিন্তু এইবার পুজোর দিন থেকেই অবস্থা খারাপ হয়ে যায় ভিড়ের চাপে মন্ডপগুলোতে। আমি যদিও যাইনি এই ক্লাবের দিকে পুজোর দিন, তবে টিভিতে দেখাচ্ছিল মানে এতো পরিমানে ভিড়ের চাপ ছিল পুজোর দিনও যে মণ্ডপের মূল যে গেটটা থাকে সেটাই তালা মেরে দেয়। তারপর আমি প্রথম পর্বে বলেছিলাম যে পুজোর দিন বৃষ্টি হচ্ছিলো, তারপরেও মানুষের ভিড়ের যেন কমতি ছিল না।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এইগুলো দেখে একটাই কথা মনে হচ্ছিলো যেন বারাসাতের পুজো পরের দিনেই শেষ হয়ে যাবে, এতটাই দেখার জন্য উন্মাদ হয়ে যায় সবাই যে বৃষ্টিও মানে না। আর এমনিতে আমিও এই বিষয়টা অনুধাবন করেছিলাম যে এইবার যাইহোক না কেন এইসব বৃষ্টি কেউ মানবে না, এইবার ঝড় হলেও মানুষ দেখতে বেরোবে। যাইহোক আগুয়ান সংঘ একটা ইতিহাস গড়ে দিয়েছে বারাসাতের বুকে এই প্রতিমা তৈরি করে। আর এই প্রতিমাটা তৈরির কার্যক্রম শেষ করেছিল দেড়-দুই মাস ধরে আমি যেটা শুনেছিলাম পরে। একদম মণ্ডপের ঠিক মাঝামাঝি প্রতিমা তৈরি করে দিয়েছে যেটা দর্শনার্থীদের জন্য আরো আকর্ষণীয় একটা বিষয় ছিল।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

মণ্ডপের দুই সাইডটা পাহাড়ের মতো তৈরি করেছে আর মায়ের ৫০ ফুটের মূর্তি সুবিশাল আকার ধারণ করে আছে মাঝখানে। পাহাড়ের পাশে শিবের মূর্তি মতোও তৈরি করেছে। এইটা আসলে যে শিল্পী তৈরি করেছে তাকে আলাদা করে কিছু বলার নেই, তার প্রতিমা তৈরির প্রদর্শন দেখেই আপনারাও বুঝতে পারবেন, একজন সৃজনশীল শিল্পীর দৌড় কতদূর পর্যন্ত যেতে পারে। এই ছিল আমার এই বছরের শেষ দেখা কালী পূজা। আরো অনেক বাদ থেকে গেছে, দেখে শেষ করতে পারিনি। পুরো শেষ করতে গেলে সন্ধ্যার থেকে বেরিয়ে সারা রাত না দেখলে শেষ করা যায় না এতো এতো মণ্ডপ, কিন্তু সন্ধ্যার থেকে সারা রাত হেঁটে দেখা সম্ভব হয়ে ওঠে না। যাইহোক এইবছর শেষ, আবার সামনের বছর দেখা যাবে।

All photos what3words location: https://w3w.co/yell.storybook.wishing

শুভেচ্ছান্তে, @winkles

ক্যামেরাস্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
ক্যাটাগরিফোটোগ্রাফি
লোকেশনবারাসাত, পশ্চিমবঙ্গ
তারিখ২৭.১০.২০২২


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আগুয়ান সংঘ ক্লাব এইবার ৫০ ফুটের প্রতিমা তৈরি করেছে আর বারাসাতে এই প্রথমবার হলো।

৫০ ফুটের প্রতিমা দেখে সত্যি অবাক হলাম। আসলে যেই গুণী শিল্পী এই প্রতিমাটি তৈরি করেছেন তার প্রতি স্যালুট জানাই। ৫০ বছরের ঐতিহ্য ধরে রাখতে দারুন আয়োজন করা হয়েছে। বারাসাতে এই প্রথমবার এত বড় প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে দেখে সত্যিই ভালো লাগলো দাদা। আসলে এই প্রতিমা দেখার জন্য দলে দলে সবাই ছুটে এসেছে বোঝাই যাচ্ছে। ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করেও সবাই দূর-দূরান্ত থেকে এখানে ছুটে এসেছে এতে কোন ভুল নেই। কারণ এত বড় প্রতিমা দেখার সুযোগ সব সময় হয় না। সত্যি দাদা আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর ভাবে কালীপূজায় কাটানো মুহূর্তগুলো সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।

কালী পূজার ঘোরাঘুরিও ফটোগ্রাফির দশম পর্ব দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। এই পর্বটি আজকে শেষ হয়ে যাচ্ছে জেনে একটু খারাপ লাগলো। প্রত্যেকটা পর্বের ফটোগ্রাফি অসাধারণ ছিল। আগুয়ান ক্লাবের ফটোগুলো অসাধারণ লেগেছে দাদা। আপনি খুবই সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করেছেন। বিশেষ করে ৫০ ফুট উচ্চতার প্রতিমার ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। সত্যিই এত বড় একটি প্রতিমার ফটোগ্রাফি আপনি করেছেন, দেখে খুবই ভালো লাগলো। সুন্দরভাবে এই ক্লাবের দৃশ্য তুলে ধরেছেন,আজকের আপনার পোস্ট পড়ে এবং ফটোগুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

এর আগে শতদল ক্লাবের ফটোগ্রাফি গুলো দেখেছিলাম। আগুয়ান সংঘ ক্লাব এইবার ৫০ ফুটের প্রতিমা তৈরি করেছে,বেশ অবাক লাগছে তো।আচ্ছা ৫০ ফুট যে প্রতিমা বানিয়েছে,তার অনেক ধৈর্য মানতেই হয়। প্রায় পাঁচতলার সমান।থিমের নামটা সুন্দর 'মা'।আমি ছোট বেলা থেকে দেখে আসছি, পূজোর সময়ই প্রায় বৃষ্টি হয়,তাও আপনারা বেশ আনন্দই করেন।প্রতিমাকে মণ্ডপের ঠিক মাঝামাঝিতে রাখাতে দর্শনার্থীরা ভালো করেই মনে হয় দেখতে পেরেছে।আসলেই এত হাঁটতে হাঁটতে বেশ ক্লান্তই লাগে।তারপর ও মোটামুটি ভালো দেখছেন।ভালো ছিলো।ধন্যবাদ

৫০ ফুটের মূর্তি!বাপরে,একজন শিল্পীর দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা কতটা হলে এমন কাজ করা সম্ভব!
আপনার এই সিরিজের প্রায় সবগুলো পর্বই দেখেছি।অনেক নতুন অভিজ্ঞতাও পেয়েছি।
ছবিগুলো ভালো ছিল।শুভ কামনা রইলো ❤️

৫০ ফুটের প্রতিমা🤔🤔একেবারে অবাক করা কথা। ঠিক বলেছেন দাদা আছে বানিয়েছে তাকে আলাদা করে কিছু বলার নেই,তার হাতের কারু কাজ সবাই এখানে দেখতে পারছে।যেহেতু অনেক মানুষ দেখবে। দর্শনার্থী অনেক সেজন্যই হয়তো অনেক বড় করে এটিকে বানানো হয়েছে।প্রতিমাকে মাঝখানে রাখার এবং দর্শনার্থীদের আগ্রহ বাড়ার ব্যাপারটি আসলে বেশ ভালো ছিল।আপনার অন্যান্য পর্ব গুলো ও আমি দেখেছি। ধন্যবাদ আপনাকে দাদা।

আগুয়ান সংঘ ক্লাব ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষেই মনে হয় ৫০ ফিট লম্বা প্রতিমা তৈরি করেছিলো। এত বড় প্রতিমা তৈরি করতে দেড় দুই মাস সময় তো লাগবেই। তাছাড়া এই উচ্চতার কারণে মনে হয় এবার ভিড় আরো অনেক বেশি হয়েছে। তারপরও পূজা মন্ডপগুলোতে যদি এত ভিড় না হতো একদিনে বেশ কয়েকটি দেখে শেষ করা যেত। কিন্তু এক একটি দেখতেই তো বেশ কয়েক ঘন্টা চলে যায়। এজন্যই খুব একটা বেশি দেখা যায় না মনে হয়। এত উঁচু প্রতিমা দেখতে তো ঘাড় ব্যথা হয়ে যাওয়ার কথা। যাইহোক বেশ জাকজমকপূর্ণ তৈরি করেছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে। দাদা এই সবগুলো পূজার মধ্যে প্রথম স্থান কোন পূজাটি অর্জন করেছিল? সবগুলো পূজা মণ্ডপ একটি থেকে আরেকটি আকর্ষণীয় তৈরি করেছিল। দেখতে দেখতে সব পর্ব শেষ হয়ে গেলো। বেশ ভালোই লাগছিলো। ধন্যবাদ দাদা।

দাদা, আগুয়ান সংঘ ক্লাবের তৈরি প্রতিমাটি, যে শিল্পী সুন্দর ও নিখুঁত কারুকাজ দিয়ে তৈরি করেছে তাকে আসলে আলাদা করে কিছুই বলার নেই। তার সৃজনশীল কাজ সত্যিই প্রশংসনীয়। আর তাইতো ৫০ ফুটের এই "মা" প্রতিমাকে দেখার জন্য বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে উপচে পড়া ভিড় হয়েছিল। এই প্রতিমা তৈরীর কার্যক্রম দেড় থেকে দুই মাস কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সাধিত হয়েছিল। শিল্পীর কঠোর পরিশ্রমের সফলতা এসেছে, প্রচুর দর্শনার্থীদের ভিড়ের মাধ্যমে। আর এভাবেই আগুয়ান সংঘ ক্লাব একটা ইতিহাস গড়ে দিয়েছে বারাসাতের বুকে এই প্রতিমা তৈরি করে। দাদা,কালী পুজোয় কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো, চমৎকার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো। ❤️❤️

দাদা আগুয়ান সংঘ ক্লাবের ৫০ ফুটের প্রতিমা দেখে সত্যিই অবাক লাগলো। তারা এই বছর বারাসাতের সবাইকে সত্যিই তাক লাগিয়ে দিলো। তারা ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই বিশাল বড় আয়োজনটা করেছে। আমরা হয়তো এগুলো কখনো দেখতাম না। আপনার মাধ্যমে দেখার ‍সুযোগ পেলাম। আজকের পোষ্টি আপনার কালী পূজার ঘোরাঘুরির শেষ পর্ব হিসাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। সব মিলিয়ে আগুয়ান সংঘ ক্লাব এবার পুরুষ্কার পেয়ে যেতে পারে। ধন্যবাদ দাদা

আগুয়ান সংঘ ক্লাব তার পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে জাষ্ট অসাধারণ একটি আইডিয়া বের করে ৫০ ফুট বড় প্রতিমা তৈরি করেছেন। সত্যিই সুবিশাল এবং সুন্দর দেখতে হয়েছে প্রতিমা। আর সত্যিই একজন শিল্পীর দৌড় যে আসলেই কতটুকু হতে পারে তা আমাদের জানা নেই। মা থিম অবলম্বনে সবকিছু সাজিয়েছে এবং অসাধারণ করেছে সবমিলিয়ে। যাক এবারের মতো পূজা পরিক্রমা শেষ করলেন।

দোয়া রইল পুরো পরিবারের জন্য।🥀

এই বছর বারাসাতের প্রায় সব কালীপুজোই দেখেছি কিন্তু এই পুজোটি দেখতে কি করে মিস করে ফেললাম তা বুঝতে পারছি না। শতদলের পুজো প্যান্ডেলটি দেখতে এই বছর দুইবার গেছিলাম কিন্তু তার পাশের এই পুজো প্যান্ডেলটি দেখতে আমি যাইনি এটা ভেবে বেশ অবাক লাগলো আমার কাছে। হ্যাঁ পুজো প্যান্ডেলটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে বেশ বড় করেই করেছিল তারা।