পুঁই ডাঁটা দিয়ে নাইলোটিকা মাছের সিম্পিল তরকারি

in hive-129948 •  2 years ago 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে আমি একটা রেসিপি শেয়ার করে নেবো। আজকে আমি নাইলোটিকা মাছের রেসিপি তৈরি করেছিলাম। এটা আলু আর পুঁইশাকের ডাঁটা দিয়ে করেছিলাম। একটা সিম্পিল তরকারির মতো করে করেছি আজকে, আর খেতেও ভালো লেগেছিলো। পুঁইশাক এর ডাঁটা দিলে আলুর সাথে এমনিতেও অনেক ভালো লাগে। মাছ না থাকলেও যদি শুধু আলু আর পুঁইশাকের ডাঁটা দিয়ে একদম আঁটো আঁটো রান্না করা হয়ে থাকে তাও খেতে অনেক ভালো লাগে, আমার মা মাঝে মাঝে এইভাবে করে, খেতেও বেশ ভালো লাগে। আমিও একদিন এই নিরামিষটা করবো দেখি। এই পুঁইশাকটা আমাদের বাড়ির পুঁইশাক, একদম তাজা সকালে কেটে নিয়ে রান্না করা। পুঁইশাকের ফলও হয়েছে যেটাকে আমরা পুঁইশাকের ডিম বলে থাকি। পুঁইশাকের ফল দিয়ে একদিন একটা ভাজা ভাজা করবো, পুঁইশাকের ফল একটু ভাজা ভাজা করে খেতে আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগে আর আমার প্রিয়ও বলতে পারেন। নাইলোটিকা মাছটা বেশ সুস্বাদু ছিল খেতে। যাইহোক এখন আমি এই রেসিপিটার মূল উপকরণের দিকে চলে যাবো।


☫প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:☫

❦উপকরণ
পরিমাণ❦
নাইলোটিকা মাছ
১ টি
পুঁই ডাঁটা
৭ টি
গোল আলু
৬ টি
পেঁয়াজ
১ টি
রসুন
১ টি
কাঁচা লঙ্কা
১৫ টি
জিরা
পরিমাণমতো
সরিষার তেল
পরিমাণমতো
লবন
৪ চামচ
হলুদ
৪ চামচ
জিরা গুঁড়ো
১ চামচ


নাইলোটিকা মাছ, পুঁই ডাঁটা, গোল আলু, পেঁয়াজ, রসুন


কাঁচা লঙ্কা, সরিষার তেল, লবন, হলুদ, জিরা গুঁড়ো


❣এখন রেসিপিটা যেভাবে তৈরি করলাম---


☬প্রস্তুত প্রণালী:☬


➤নাইলোটিকা মাছটির আঁশ ছাড়িয়ে নিয়েছিলাম প্রথমে এবং পরে কেটে কয়েকটা পিচ করে নিয়ে জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছিলাম। এরপর বড়ো পুঁই ডাঁটাগুলোকে কেটে ছোট করে নিয়ে পরে জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে রেখেছিলাম।

➤গোল আলুগুলোর খোসা ছালিয়ে নেওয়ার পরে কেটে নিয়েছিলাম এবং পরে জল দিয়ে ধুয়ে রেখেছিলাম। পেঁয়াজ এর খোসা ছাড়িয়ে কেটে নিয়েছিলাম এবং সেই সাথে রসুনের কোয়াগুলো ছাড়িয়ে নেওয়ার পরে খোসা ছাড়িয়ে নিয়েছিলাম। এরপর কাঁচা লঙ্কাগুলো কেটে নেওয়ার পরে ধুয়ে নিয়েছিলাম।

➤নাইলোটিকা মাছের পিচগুলোতে ১ চামচ হলুদ আর ১.৫ চামচ লবন দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর গায়ে ভালোভাবে মিক্স করে দিয়েছিলাম।

➤প্যানে একটু তেল দিয়ে দিয়েছিলাম এবং হালকা গরম হলে তাতে মাছের পিচগুলো অল্প অল্প করে দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর ভালোভাবে ভেজে তুলে নিয়ে রেখেছিলাম।

➤মাছ ভাজার সাথে সাথে অন্য আরেকটি কড়াইতে হালকা তেল দিয়ে আলুর পিচগুলো ভাজার জন্য দিয়ে দিয়েছিলাম। আলু ভালোভাবে ভাজা হয়ে গেলে কড়াইয়ের থেকে তুলে নিয়ে রেখেছিলাম।

➤ভাজার পরে কড়াইতে আবার সরিষার তেল দিয়ে গোটা জিরা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে পেঁয়াজ-রসুন দিয়ে দিয়েছিলাম।

➤জিরার সাথে পেঁয়াজ-রসুন ভালোভাবে ভেজে নিয়েছিলাম। এরপর তাতে ভেজে রাখা আলুর পিচগুলো সব দিয়ে দিয়েছিলাম।

➤আলুর পিচ দেওয়ার পরে তাতে কেটে রাখা পুঁই ডাঁটা সব দিয়ে দিয়েছিলাম এবং পরে তাতে কাঁচা লঙ্কাগুলো সব দিয়ে দিয়েছিলাম।

➤লঙ্কা দেওয়ার পরে তাতে স্বাদ মতো ২.৫ চামচ লবন আর ৩ চামচ হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর সব উপাদানের সাথে ভালোভাবে মিক্স করে নিয়েছিলাম।

➤মিক্স করার পরে তাতে পরিমাণমতো জল দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর বেশ খানিক্ষন ধরে ফুটিয়ে নিয়ে আলু এবং পুঁই ডাঁটা সিদ্ধ করে নিয়েছিলাম।

➤সিদ্ধ হয়ে গেলে তরকারির থেকে কিছু সিদ্ধ আলুর পিচ তুলে নিয়েছিলাম। এরপর হাতা দিয়ে চেপে ভালোভাবে গলিয়ে সফ্ট করে নিয়েছিলাম।

➤আলু গলানোর পরে তাতে ভেজে রাখা মাছের পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর কিছুক্ষন ফোটার পরে তাতে গলিয়ে রাখা আলুর অংশটা দিয়ে দিয়েছিলাম।

➤আলুর অংশটা তরকারির সাথে নেড়ে মিশিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তরকারিটা ভালোভাবে হয়ে আসার জন্য আরো কিছুক্ষন মিডিয়াম আঁচে দিয়ে রেখেছিলাম।

➤তরকারিটা ভালোমতো ঘন হয়ে আসলে আর ঝোলটা একটু কমলে জ্বাল নিভিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর জিরা গুঁড়ো তাতে ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করার জন্য একটি প্লেটে তুলে নিয়েছিলাম।

রেসিপি বাই, @winkles

শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

পুঁই ডাঁটা দিয়ে নাইলোটিকা মাছের সিম্পিল তরকারি দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আপনি খুবই মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। আসলে আপনার রেসিপির পরিবেশন আমার খুবই ভালো লাগে। আজকে আপনি খুবই মজাদার রেসিপি তৈরি করলেন। এই পুঁইশাক আমার খুবই প্রিয়। আমিও খুবই পছন্দ করি। যদি মাছ না থাকে তাও ডাটা দিয়ে তরকারি খেতে খুবই মজা লাগে।এই পুঁই শাকের ডাটা সাজনা ডাটার মত খাওয়া যায়। সজিনাডাঁটা যেমন খেতে মজা লাগে।তেমনি এই ডাটাগুলো খেতে খুবই মজা। আজকে আপনি খুব সুস্বাদু রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন দাদা। সে জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আমাদের বাসায় পুঁইশাক আনলে আমি কচি কচি ডাটা গুলো নিয়ে এরকম বড় ডাটা গুলো ফেলে দেই। এভাবে যে রান্না করা যায় তা তো জানাই ছিল না। কিসের সঙ্গে কি রান্না করলে খেতে সুস্বাদু হবে তা দাদা আপনার কাছ থেকে শিখতে হবে। কারণ আপনি খুব সুন্দর ভাবে বুঝতে পারেন যে কোন তরকারির সঙ্গে কোন মাছ যাবে । পুইশাকের ফলগুলো অনেক আগে খেয়েছিলাম। খুবই ভালো লাগে খেতে। অনেক বছর খাওয়া হয়না। আর নিজের লাগানো পুঁইশাক খেতে তো সুস্বাদু হবেই। তারপর আবার নিজেই সকালবেলা কেটে নিয়ে রান্না করেছেন। টাটকা যেকোনো সবজিটির স্বাদ বাজারের সবজি থেকে অনেক আলাদা থাকে। নাইলোটিকা মাছটি অনেকটা তেলাপিয়া মাছের মত দেখতে। কিন্তু তেলাপিয়া মাছ দেখতে আরেকটু ভালো। তরকারি রান্নার ক্ষেত্রে আবার অনেকগুলো রসুন দিয়েছেন। রসুন দিলে যে কোন তরকারি স্বাদ বেড়ে যায়। রেসিপির কালারই বলে দিচ্ছে যে খেতে কতটা সুস্বাদু হয়েছিল।

পুঁইশাক কিংবা পুঁইশাকের ডাটা অনেক খেয়েছি কিন্তু কখনো পুঁইশাকের ডিম মানে পুইশাকের বিচি কখনো খাওয়া হয়নি। তাই অন্য কোনদিন নতুন এই রেসিপি দেখতে পাবো বলে আশা করছি। দাদা, আপনি যে মাছটিকে নাইলোটিকা মাছ বলছেন, আমরা সেই মাছকে তেলাপিয়া মাছ বলি। নাম যাই হোক না কেন, রেসিপির স্বাদ নিয়ে কথা। আপনার তৈরি পুই ডাটা দিয়ে নাইলোটিকা মাছের সিম্পল তরকারি খুবই লোভনীয় দেখাচ্ছে। খেতেও নিশ্চয়ই অনেক অনেক মজার হয়েছে। বরাবরই আপনার রন্ধন প্রণালীটা অত্যন্ত চমৎকার হয়। ধন্যবাদ দাদা, এত সুস্বাদু মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

পুইশাক দিয়ে ইলিশ মাছের মাথা দিয়ে খেতে ও বেশ ভালো লাগে।পুঁইশাক ও আলু দিয়ে মাখা মাখা করে রান্না করলো খেতে আসলেই দারুন লাগে।আপনি যেটাকে ফল কিংবা ডিম বলেন,আমাদের এখানে পুইঁশাকের গোটা বলে,শুটকি দিয়ে আমার মা রান্না করে।দাদা আপনার বাড়িতে পইঁশাকের খনিও আছে নাকি😂,পাতা ছাড়া এত ডাটা পেলেন। তবে পুঁইশাকের ডাটা দিয়ে কখনও নাইলোটিকা মাছ দিয়ে খাওয়া হয়নি।দেখে তো বেশ মজাই হয়েছে মনে হচ্ছে। জিরারগুড়া দেওয়াতে মনে হয় দারুন একটা ফ্লেভার এসেছে।ভালো ছিলো সব মিলিয়ে। ধন্যবাদ

পুঁইশাকের বিচিকে যে পুঁইশাকের ডিম বলা হয় তা আজ প্রথম শুনলাম দাদা। আমরা এটিকে পুঁইশাকের বিচি বলে থাকি। পুঁইশাক বা পুঁইশাকের ডাটা রান্না খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। পুঁইশাক এর ডাটার সাথে আলু ও ডাল দিয়ে রান্না করে খেয়েছি। পুঁইশাকের বিচি রান্না খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। তবে নাইলোটিকা মাছ কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে মজা হয়েছে। রান্নার প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

পুঁইশাকের ডাটায় যদি পুঁইশাকের কচি পাতাগুলো থাকে তাহলে তরকারির টেস্ট আরো অনেক বেশি ভালো হয়। আর তোমার মত আমার কাছেও পুঁইশাকের ফল দিয়ে রসুন সম্বোরা এবং তার সাথে চিংড়ি মাছ দিয়ে ভাজি করলে খুব সুন্দর লাগে খেতে। তরকারির রংটা এত সুন্দর হয়েছে দেখেই মনে হচ্ছে এখনই এক দৌড় দিয়ে তোমার বাড়ি গিয়ে কটা ভাত খেয়ে আসি, পুইশাকের তরকারি দিয়ে। হা হা হা..

এই মাছের কি অন্য কোন নাম আছে দাদা? নাইলোটিকা মাছটি প্রথম শুনলাম নাম। পুইশাকের ডাটার সাথে আলু দিয়ে এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার কাছ থেকে বিভিন্ন সময় নতুন নতুন রেসিপি শেখা যায়। পুইশাকের ফলকে পুইশাকের ডিম বলেন আপনারা এই নামটি শুনে আসলেই মজা লাগলো। পুঁইশাকের ফল পাকলে সেই ফলটা দিয়ে ভাত খেতে আমার কাছে ভালো লাগে। ভাত মাখালে কত সুন্দর লাল টকটকা হয়ে যায় দেখতে ভালো লাগে। অনেকগুলো আলু তেলে ভেজে উঠিয়ে রেখেছেন আমি হলে তো এখান থেকে কয়েক পিস খেয়ে নিতাম। আপনার রান্না করার এই প্রসেসটা আমার কাছে খুব ভালো লাগে কিছু আলু গলিয়ে তারপর তরকারির ভিতর দেন এতে তরকারিটা ভেতরে একটি গ্রেভি ভাব আসে, খেতে নিশ্চয়ই ভালো লাগে। ভালো লাগলো দাদা আপনার রেসিপিটি দেখে কালার টাও ভালো এসেছে।

এর নামই নাইলোটিকা। তেলাপিয়া আর এই মাছ একই প্রজাতির, তবে এই নাইলোটিকা মাছগুলো তেলাপিয়ার থেকে বড়ো সাইজ এর হয়ে থাকে। নাইলোটিকা মাছ অনেক বড়ো বড়ো হয়ে থাকে।

দাদা দারুন একটি তরকারির রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছেন। পুঁইশাকের বিচি গুলো কিন্তু ভীষণ পুষ্টিকর এবং অনেকেই বেশ তৃপ্তি নিয়ে রান্না করে খায়।
আপনার রান্নার ধরনা একদমই আমাদের বাসার রান্নার মতো, তাই আপনার প্রতিটি রেসিপি আমার ভীষণ ভালো লাগে।

আজকের তরকারির কালার আর স্বাদ দুটোই দারুন হয়েছে বোঝাই যাচ্ছে 😋

দোয়া রইল পুরো পরিবারের জন্য 🥀

দাদা আপনি সবসময় আনকমন রেসিপি পোস্ট করেন। আমি জীবনে প্রথম দেখলাম পুইঁ ডাটা, নাইলোটিকা আলু দিয়ে এত সুন্দর একটি রেসিপি করা যায়। আর আপনি যে পুইঁ শাকের ডিমের কথা বলেছেন, সেটা ছেলেবেলায় অনেক ভাবি খেয়েছি। আমার মায়ের প্রিয় খাবার ছিল।

পুঁইশাকের ডিম আমি চিনেছি কিন্তু এই নাম প্রথম শুনেছি দাদা। দাদা পুই ডাটা দিয়ে নাইলোটিকা মাছের খুব সুস্বাদু একটি রান্নার রেসিপি শেয়ার করেছেন। মাছ দৈনন্দিন খাবারে খাওয়া জরুরী। আপনার রান্নার একটি ব্যাপার আমার ভাল লাগে সেটি হলো আলু তুলে আলাদাভাবে ভেঙ্গে তরকারিতে দিয়ে দেয়া। রান্নার রেসিপি আমার খুব ভালো লেগেছে। রান্নার পরিবেশন খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ দাদা।

দাদা আপনার থেকে অনেক রেসিপি শিখতেছি। আজকে দেখলাম পুঁইশাকের ডাঁটা দিয়ে নাইলোটিকা মাছের সিম্পল রেসিপি। পুঁইশাকের ডাঁটা এমনিও অনেক স্বাদ। আর সাথে যদি আলু দেওয়া হয় তাহলে স্বাদটা শত গুনে বেড়ে যায়। আপনাদের বাড়ির পুঁইশাক খাচ্ছেন,ফরমালিন মুক্ত টাটকা সবজি। আপনি বলছেন আমাদের সাথে পুঁইশাকের নিরামিষ আর পুঁইশাকের ডিমের ভাজা ভাজা সেয়ার করবেন,আশায় রইলাম। ধন্যবাদ দাদা।

পুঁইশাকের ফলও হয়েছে যেটাকে আমরা পুঁইশাকের ডিম বলে থাকি।

পুঁইশাকের ডাটা ও আলু দিয়ে নাইলোটিকা মাছের দারুন একটি রেসিপি তৈরি করেছেন দাদা। পুঁইশাকের ফলগুলোকে যে পুঁইশাকের ডিম বলা হয় তা আজকে প্রথম জানতে পারলাম। সত্যি দাদা নতুন একটি নাম জানলাম আজকে। পুঁইশাকের ফলগুলো ভাজি করলেও কিন্তু খেতে দারুন লাগে। ছোটবেলায় কিন্তু পুঁইশাকের পাকা ফলগুলো দিয়ে রং বানাতাম। খাতায় ছবি আঁকতাম এই ফলগুলো দিয়ে। পুঁইশাকের ডাটা এবং আলু সুন্দরভাবে চচ্চড়ি করলেও খেতে ভালো লাগে। আর মাছ দিয়ে রান্না করলেও কিন্তু দারুন হয় খেতে। যেহেতু আপনার নিজের বাড়ির গাছের পুঁইশাকের ডাটা তাহলে তো একেবারে সতেজ এবং তরতাজা। নিজের বাড়িতে যদি কোন সবজির চাষ হয় তাহলে সেই সবজিগুলো খেতে বেশি ভালো লাগে। লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।

পুঁইশাক এর ডাঁটা আমার খুবই প্রিয়।আর এটি আলুর সঙ্গে খেতেই বেশি ভালো লাগে।এই অসময়ে পুঁইশাক এর ডাঁটার স্বাদ যেন দ্বিগুণ বেড়ে যায়।সঙ্গে আবার
নাইলোটিকা মাছ দারুণ জমেছে।ঠিক বলেছেন দাদা,আটো আটো করে রান্না করলে খেতে বেশি ভালো লাগে।তাছাড়া পুইশাকের কচি ডিমগুলো আমার কাছে ভালো লাগে।যখন পুইশাকের ডিম বড়ো হয়ে যায় তখন কেমন পটপট আওয়াজ হয় খেতে গেলে ,আমার কাছে ভালো লাগে না।আপনার রেসিপিটা সুন্দর হয়েছে।মাঝে মাঝেই এইরকম সিম্পল তরকারি খেতে অনেক ভালো লাগে।ধন্যবাদ দাদা।