টিভি সিরিজ রিভিউ: ম্যানিফেস্ট - কল সাইন ( দ্বাদশ পর্ব -সিজন ২)

in hive-129948 •  2 years ago 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে ম্যানিফেস্ট টিভি সিরিজটির দ্বিতীয় সিজনের দ্বাদশ পর্ব রিভিউ দেব। আজকের দ্বাদশ পর্বের নাম হলো " কল সাইন"। আগের পর্বে শেষের দিকে দেখা গিয়েছিলো যে মেলিসা আর রামিরেজ দুইজন মিলে একটা আড্ডাখানা থেকে কয়েকজনকে অবৈধ ভাবে কোনো কাজ করার জন্য গ্রেফতার করে নিয়ে গেছিলো। আজকের পর্বে কি ঘটনা ঘটে সেটা দেখা যাক দেখি।


স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব


❂কিছু গুরুত্ত্বপূর্ণ তথ্য:❂

সিরিজটির নাম
ম্যানিফেস্ট
প্লাটফর্ম
নেটফ্লিক্স
সিজন
পর্ব
কল সাইন
পরিচালকের নাম
জেফ রেক
অভিনয়
মেলিসা রক্সবার্গ, জোশ ডালাস, জে.আর. রামিরেজ, লুনা ব্লেইস, পারভীন কৌর ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
৩০ জুলাই ২০১৯ ( ইউনাইটেড কিংডম )
সময়
৪২ মিনিট ( দ্বাদশ পর্ব -সিজন ২ )
ভাষা
ইংরেজি
কান্ট্রি অফ অরিজিন
ইউনাইটেড স্টেট


☬মূল কাহিনী:☬


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

শুরুতে দেখা যায় যে, আড্ডাখানা থেকে যে তিনজনকে গ্রেফতার করেছিল তাদের নিয়ে ইনভেস্টিগেশন শুরু করে। মেলিসা, রামিরেজ সহ আরো একজন অফিসার ওই তিন অপরাধীকে আলাদা আলাদা স্থানে বসিয়ে তাদের ইনভেস্টিগেশন করে এবং তাদের তিনজনের কথা আলাদা আলাদা হচ্ছে কিনা সেটাও দেখে, কিন্তু তিনজনের বক্তব্য একই। এর মানে একটাই দাঁড়ায় যে তারা তিনজন আগে থেকেই আলোচনা করে স্থির হয়ে নিয়েছে যে যাইহোক না কেন বক্তব্য চেঞ্জ হবে না, একইরকম থাকবে। ওদের মূলত ওই আড্ডাখানায় প্রায় $১ মিলিয়ন ডলারের উপরে ডিল করতে দেখে এবং সেই হিসেবে ইনভেস্টিগেশন করে কিন্তু এখনো তাদের মুখ থেকে কিছুই স্বীকার করাতে পারেনি। এরপর রামিরেজ আর মেলিসা এই নিয়ে কথপোকথনের মাঝে তার আর জেক এর বিয়ের কথা তুলে ফেলে রামিরেজ এর সামনে আর রামিরেজ শুনে দুঃখ প্রকাশ করে কারণ তাদের মধ্যে আগে একটা ভালো সম্পর্ক ছিল কিন্তু সেটা ভেঙে যায় এবং অন্যান আরো নানান বিষয় এর জন্য। যাইহোক এরপর মেলিসা বাড়িতে অর্থাৎ তার ভাই জোশের বাড়িতে আসে এবং সেখানে জোশ তাদের ছোটবেলার পুরানো স্মৃতি রেকর্ড করে রাখা একটা সিডি চালায় এবং দুই ভাই-বোন ফেলে আসা দিনগুলো উপভোগ করতে লাগে। এদিকে পারভীনের সাথে রোডে এক ডক্টরের সাথে দেখা হয়ে যায় এবং পারভীন সেই ডক্টরের কাছে তার ল্যাবে হেল্প করার জন্য বলে কিন্তু সেই ডাক্তার কোনো একটা কারণে তার সাথে যেতে চায় না, বার বার রিকোয়েস্ট করার পরেও যায় না।


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

মেলিসা জোশের বাড়ি থাকাকালীন সেখানে জোশকে ডেকে নেয় এবং জেক জ্যাকের সাথে উপরে গিয়ে মজা, ঠাট্টা করতে লাগে। আর এদিকে মেলিসা এথেনার সাথে কিচেনের দিকে যায়। জোশ ওইসময় দরোজার উপরে পেরেক জাতীয় কিছু একটা লাগাচ্ছিল এবং তখন তার চোখের সামনে হঠাৎ করে ভেসে ওঠে যে প্লেন ৮২৮ এর এক অংশ উড়ন্ত অবস্থায় ব্লাস্ট হয়ে গেছে আর উপর থেকে জোশ যেন ছিটকে নিচের দিকে পড়ে যাচ্ছে এমনটা সে অনুভব করে। আর মেলিসা এবং এথেনা মনে করেছে আবার নিশ্চই কোনো শব্দ শুনতে পেয়েছে। এরপর জোশ পরোক্ষনে ঘরের থেকে বেরিয়ে চলে যায়। এদিকে যে তিন অপরাধীকে গ্রেফতার করেছিল তাদের নামে ড্রাগ ডিলারস এর কেস দিয়ে কোর্টে চালান করে দেয় অথবা সেন্ট্রাল জেলে পাঠিয়ে দেয়, পরে বিষয়টা দেখায়নি ফলে এই কেসটা অস্পষ্ট আছে এখনো। জোশ মূলত ঘরের থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলো এয়ারপোর্টে এবং সেখানে বাইরে থেকে দাঁড়িয়ে প্লেনের দিকে যখনি তাকাচ্ছে তখনি প্লেনের এক অংশ ব্লাস্ট হচ্ছে এইরকমটা দেখতে পাচ্ছে। এরপর সেখান থেকে হেটে যাচ্ছিলো একটা লোক যার নাম ছিল 'ওয়ার্ড' , আর তাকে জোশ চিনতে পারে কারণ জোশ তার বাড়িতে যেসব প্যাসেঞ্জারের লিস্ট ছবিসহ টানিয়ে রেখেছিলো সেখানে এই লোকটাও ছিল। জোশ লোকটিকে ডাক দিলে না শোনার ভান করে চলে যায়। এদিকে জোশের বাড়িতে জেকের মা আসে এবং তাদের বিয়ের কথা তার মায়ের সাথে বলে এবং তার মা অনেক খুশি হয়। কিন্তু তার মা তাদের বিয়েতে কোনো একটা কারণে থাকতে পারবে না বলে জানায়।


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

পারভীনকে দেখা যায় ওই ডক্টরের সাথে কথা বলার পরে একটা শপের কাছের যায় এবং শাটার দিয়ে সি শপ বন্ধ করা থাকে। পারভীন তালা দেওয়া না দেখে যেন পাগলের মতো শাটার ধরে টানতে লাগে আর খোলার চেষ্টা করে। এরপর জোশের ধারে যায় আর বলে জেককে হেল্প করতে আমি এখন অসহায়, কারণ আমাকে মেডিকেল পারপাস থেকে সাসপেন্ডেড করা হয়েছে এবং এটা কোনো গভমেন্ট এর ইস্যু এর জন্য হয়েছে। ফলে পারভীন এখন মেডিকেল এর কোনো বিষয়ে সাহায্য করতে পারবে না বলে জেকও এই বিষয়ে জানতে পেরে তার ট্রিটমেন্ট অফ করে দেয়। যাইহোক এরপর দেখা যায় জোশ সে 'ওয়ার্ড' নামক লোকটাকে খুঁজে বের করে এবং দেখা করতে চায় আর তারা দুইজন প্লেনের বিষয়ে কথা বলে। এই 'ওয়ার্ড' লোকটা মূলত ওই ফ্লাইট এর সেকেন্ড পাইলট ছিল আর সে নিজেকে অপরাধী মনে করছে এইসব বিষয়ের জন্য। সে ভাবছে তার কারণেই এইসব হয়েছে কিন্তু জোশ তাকে বলে এখানে তোমার কোনো ভুল ছিল না, এটা একটা এক্সিডেন্ট। এদিকে যে তিন অপরাধীকে গাড়িতে করে নিয়ে যাচ্ছিলো তাদের মধ্যে একজন অসুস্থতার নাটক করে আর একজন পুলিশ অফিসার এসে সাহায্য করতে লাগলে পিছন দিক থেকে অন্যরা এসে এটাক করে আর অফিসারদের বেহুস করে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। একটা স্কুলের সামনে পারভীন একটা মহিলাকে বলে আপনার হাসব্যান্ড এর সাথে একটু কথা আছে, কিন্তু মহিলাটি বলে তার হাসব্যান্ড মারা গেছে কিন্তু পারভীন বেশি জেদ করতে লাগলে মহিলাটি রেগে গিয়ে পুলিশকে ফোন করতে যায় আর তখন পারভীন সেখান থেকে চলে যায়।


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

রামিরেজ আর মেলিসার এদিকে বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হয়ে যায় আর সেখানে মেলিসার সব কর্মরত বন্ধুরা আসে আর সেখানে রামিরেজও আসে। রামিরেজ এর সাথে জেকের দেখা হয় এবং তারা সবকিছু ভুলে বন্ধুর মতো কথাবার্তা বলে আর বিবাহের জন্য অভিনন্দন জানায়। মেলিসা সেজে বাইরের দিকে আসলে রামিরেজ তাকে একবার চোখের দেখা দেখে বেরিয়ে চলে যায় কিন্তু মেলিসা তাকে দেখতে পায়নি। রামিরেজ এই বিষয়টা বাইরের থেকে সহজ ভাবে নিলেও মনের থেকে মেনে নিতে পারছিলো না তাই সেখান থেকে চলে যায়। এদিকে রামিরেজ যে মেলিসার বাড়িতে বিয়ের জন্য এসেছিলো সেখানে সেই তিন অপরাধী তার পিছু নিয়েও সেখানে এসেছিলো। এদিকে জেক আর মেলিসার বিবাহ খুব ধুমধাম করে হয়ে যায় আর সবাই খুব আনন্দের সাথে সেই মুহূর্তটা ইনজয় করে। জেক আর মেলিসা হানিমুন এর জন্য বেরিয়ে যায় দূরে কোথাও যাওয়ার জন্য। আর এদিকে জ্যাক ঘরের বাইরে হাটাহাটি করছিলো আর সেই তিন অপরাধী জ্যাককে হাইজ্যাক করে নেয় আর মেলিসার কাছে ফোন করে। এরপর মেলিসাকে বলে তাদের পয়সা তাদের না দিলে জ্যাককে ছাড়বে না। এদিকে পারভীন 'হেভেনা' নামক একটি জায়গায় যাওয়ার জন্য টিকিট কাটে আর সেখানে যাওয়ার আগে ড্যারিল এর সাথে দেখা করে আর তার মেডিকেল লাইসেন্স কিভাবে ফিরে পাবে সেই বিষয়ে কথা বলে, কিন্তু সরকারি কেস আর বিষয়টা খুব গম্ভীর ফলে সময় লাগবে বলে।


☬ব্যক্তিগত মতামত:☬

এই পর্বে বিষয় ছিল এক তিন অপরাধীকে শাস্তি দেওয়া আর মেলিসা এবং জেকের বিয়ের বিষয়টা। বিয়ের বিষয়টা তো মিটে গেছে কিন্তু সেই তিন অপরাধী এদের সবার পিছনে পড়ে গেছে এখন। এরা তিনজন আসলে বড়ো কোনো সন্ত্রাসীর সাথে যুক্ত যেটা বোঝা গেলো। এক একজন তার মূল পেশার আড়ালে এইসব ধান্দা করে বেড়ায়। কেউ বাস ড্রাইভারের ফাঁকে এইসব অপরাধমূলক কাজের সাথে লিপ্ত থাকে। এরা মূলত ড্রাগ সাপ্লাই এর সাথে যুক্ত। আর তাদের গাড়িতে করে ওই সেন্ট্রাল জেলেই পাঠাচ্ছিল যেখানে কুখ্যাত অপরাধীদের রাখা হয়ে থাকে। যেহেতু তাদের মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার কেড়ে নিয়েছে সেহেতু তাদের এখন টার্গেট তাদের পরিবারের লোকজনের উপরে। এদের মহড়া বানিয়ে তাদের পয়সাগুলো আবার নিয়ে নেওয়ার ধান্দা। মেলিসা আর জেক তো যাচ্ছিলো বাইরে কিন্তু এখানে জ্যাককে হাইজ্যাক করার পরে কি কাহিনী হয় সেটা পরের পর্বে দেখা যাবে। আর এদিকে পারভীনের তো মেডিকেল লাইসেন্স সরকারি কতৃপক্ষের তরফ থেকে পুরোপুরি ক্যানসেল করে দিয়েছে, এটা সম্ভবত কারো ষড়যন্ত্র এর কারণে হয়েছে, কারণ এই যে সে বিভিন্ন বিষয়ে রিসার্চ করছিলো এটা সম্ভবত সে কাউকে না জানিয়ে নিজের তাগিদে করছিলো আর জেককে সাহায্য করছিলো। আর এইজন্যই পারভীন রোডে একজন ডক্টরের সাথে দেখা হলে তাকে এই বিষয়ে হেল্প করতে বলে।


☬ব্যক্তিগত রেটিং:☬
৯.৯/১০


☬সিজন ২ এর ট্রেইলার লিঙ্ক:☬


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

দাদা আজকের পর্বটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে আজকের পর্বের মধ্যে ছিল তিন অপরাধীর শাস্তি। আর মেলিসার বিয়ের বিষয়টি। সত্যিই বিয়ের বিষয়টি খুবই সুন্দরভাবে মিটে গেল এবং তিন অপরাধীকে ধরার অনেক চেষ্টা চলছে।এই পর্বটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আপনি খুবই সুন্দরভাবে আজকের পর্বটি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন।আর এর ড্রাগ ছাপলায়ের সাথে জড়িত ছিল।আর পরবর্তী পর্বে জেকে হাইজ্যাক করার পর কী ঘটে সেটা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।

গত পর্ব টা পড়েছিলাম,আজকে আবার নতুন পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছেন।পারভীন জোশের কাছে যায় জেককে হেল্প করতে বলে, কারন মেডিকেল পারপাস থেকে সাসপেন্ডেড করা হয়েছে।তাই সে কোন ভাবেই জেককে সাহায্য করতে পারছে না।বাস ড্রাইভার ড্রাইভিং এর পাশাপাশি অপরাধের সাথে যুক্ত,এরা ড্রাগ সাপ্লাই দেয়।সেন্ট্রাল জেলেই পাঠাচ্ছিল যেখানে কুখ্যাত অপরাধীদের রাখা হয়ে থাকে।তাদের টার্গেট পরবারের উপর, কারন তাদের মহুরা বানিয়ে তাদের সম্পওি আত্মসাৎ করার ধান্দা।পারভিনের রাস্তায় ডাক্তারের সাথে দেখা হয়ে ভালোই হয়েছে,তাই তো হেল্প করার জন্য বলতে পেরেছে। ভালো লাগলো পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম😭😭। ধন্যবাদ

এই টিভি সিটিজের বেশ কিছু পর্ব পড়ে ফেললাম। জানিনা আর কতগুলো পর্ব আছে। তবে টিভি সিটিজের পর্ব গুলো দিনে দিনে আরও বেশি জটিল হয়ে যাচ্ছে। অপরাধীরা বিভিন্ন মাধ্যমে অপরাধ করছে। এমনকি ড্রাইভারেরাও অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। আসলে সেই অপরাধচক্রের হাত বেশ লম্বা মনে হচ্ছে। যাই হোক পারভীন যেহেতু তার মেডিকেল লাইসেন্স হারিয়ে ফেলেছে তাই তো সে বেশ সমস্যার মধ্যে পড়েছে। এমনকি তার রিসার্চ থেমে গেছে। পারভীন 'হেভেনা' নামক জায়গায় গিয়ে তার লাইসেন্স ফিরে পাবে কিনা বুঝতে পারছি না। অন্যদিকে জ্যাককে হাইজ্যাক করার বিষয়টি এখনো রহস্যের মাঝে রয়েছে। আশা করছি পরবর্তী পর্বে খুব ভালোভাবে জানতে পারবো দাদা। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।

আমার এই সিরিজের পর্বগুলো ভীষণ গোলমেলে লাগে। বেশ রহস্যে ঘেরা সবকিছু, মাঝে মাঝেই বুঝতে পারিনা কোথা থেকে কাহিনী কোথায় চলে যাচ্ছে। এই তিনজন অপরাধী বেশ ভয়ানক, এরা ড্রাইভারি কাজের পাশাপাশি ড্রাগস চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত। এরা ধরা খেয়ে আবার জেক আর মেলিসার দিকে লেগে পরেছে। জ্যাককে তাহলে হাইজ্যাক করে নিয়েই গেছে, দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কিভাবে সে মুক্তি পায়। এদিকে পারভিনের লাইসেন্স বাতিল হয়েছে শুনে মনটা খারাপ হলো।

দোয়া রইল পুরো পরিবারের জন্য 🥀

ওই তিন অপরাধী একই রকম বক্তব্য না দিলে তো ফেঁসে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্যই আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছে ধরা পরলে একই রকম বক্তব্য দিবে। তাছাড়া রামিরেজের একটু মন তো খারাপ হওয়ারই কথা। কারণ আগে মেলিসার সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। এখন সে জেককে বিয়ে করতে যাচ্ছে। অবশেষে জেক আর মেলিসার ধুমধাম করে বিয়ে হয়ে গেল। রামিরেজ মনে মনে খুব কষ্ট পেল উপর দিয়ে যদিও কাউকে বুঝতে দেয়নি বিষয়টি। পারভীনের সঙ্গে এমন কে করল যে তার মেডিকেল লাইসেন্সই বাতিল হয়ে গেল? তাছাড়া সে ওই বন্ধ শপের সামনে গিয়ে পাগলের মতোই বা কেন করছিল? এদিকে আবার জোশ নতুন কি দেখতে পাচ্ছে চোখের সামনে । এটা কি তাকে ঐ পাইলটের কাছ পর্যন্ত পৌঁছানোর জন্যই সে এগুলো দেখতে পারছে। নাকি অন্য কোন কারণ আছে। সবশেষে ওই তিন অপরাধী জ্যাক কে কিডন্যাপ করল টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য। বেশ রহস্যজনক ছিল আজকের পর্বটি। আবার মেলিসার বিয়ে উপলক্ষে আনন্দঘনও ছিল মনে হয়। ধন্যবাদ দাদা খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য।

দাদা আজকের পর্বে অনেক গুলো তথ্য পাওয়া গেল। একটি হলো মেলিসা এবং জেকের বিয়ের বিষয়টা এটা সুন্দর ভাবে সমাধান হলেও পারভিনের মেডিকেল লাইসেন্স সরকারি কতৃপক্ষের তরফ থেকে পুরোপুরি ক্যানসেল হওয়াটা কষ্ট লাগলো। সে নিজ থেকে অনেক কিছু রিসার্চ করতেছিল। আর ঐ তিন জন অপরাধী তারা যে ছদ্মবেশ ধারন করে আছে সেটা বুঝা যাচ্ছে। তারা মূলত কেউ ড্রাইভার না। হয়তো বড় কোন কিছু হাসিল করতে তারা ড্রাইবার সেজেছে। যায়হোক দেখা যাক জ্যাক হাইজ্যাক হওয়ার বিষয়টা পরের পর্বে কি ভাবে দেখা যায়। ধন্যবাদ দাদা।

রামিরেজের দুঃখ হওয়াটা স্বাভাবিক।কারন সে মেলিসাকে অনেক ভালোবাসতো প্রথম থেকেই।যাইহোক মেলিসা ও জেকের বিয়ের বিষয়টা জানা গেল এই পর্বে।তবে এটা বুঝতে পারলাম না,পারভীনের মেডিকেল লাইসেন্স পুরোপুরি ক্যানসেল কেন হলো?পরের পর্বটি আরো ইন্টারেস্টিং হবে বলে আশা করছি, ধন্যবাদ দাদা।পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।