সামুদ্রিক ভোলা মাছের সুস্বাদু রেসিপি

in hive-129948 •  2 years ago 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে আমি একটা রেসিপি শেয়ার করে নেবো। গতকাল দুপুরে আমি একটা সামুদ্রিক মাছের রেসিপি তৈরি করেছিলাম। এই সামুদ্রিক মাছটি ছিল ভোলা মাছ। অন্যান্য সময় নদীর বা চাষের ভোলা মাছ অনেক খেয়েছি কিন্তু সামুদ্রিক ভোলা মাছ কাল প্রথম খেলাম। একদিন মাছের বাজারে মাছ কিনতে গিয়ে এই সামুদ্রিক ভোলা মাছটা দেখে কিনতে ইচ্ছা হলো আর কিনে ফেললাম। এই সামুদ্রিক ভোলা মাছ আমাদের এদিকের বাজারে তেমন একটা ওঠে না, মাঝে মাঝে হাতে গোনা কয়েকজন আনে, কারণ এই মাছ তেমন বিক্রি হতে চায় না। সামুদ্রিক ভোলা মাছ অনেক বড়ো হয়ে থাকে, আর আমি যেটা কিনেছিলাম সেটাও অনেক বড়ো ছিল। এমনি আমরা যেসব নরমাল ভোলা মাছ কিনে থাকি সেগুলোর দাম বেশি একটা থাকে না, কিন্তু সামুদ্রিকগুলোর আলাদা কস্ট থাকে। সামুদ্রিক ভোলা মাছগুলোর কিলো প্রতি ১৮০-২০০ টাকা দাম থাকে, আর আমার এইটাও হয়েছিল ১.৫ কিলোর মতো। সামুদ্রিক ভোলা মাছ অনেক বড়ো হয়, ৮-১০ কিলোর উপর পর্যন্ত হয়। এই মাছগুলোর টেস্টও আছে ভালো। যাইহোক এই মাছটি আমি ছোলা কচু দিয়ে রান্না করেছিলাম। ছোলা কচু দিয়ে খেতে দারুন লাগে তরকারি, কচু শাক খাওয়ার পরে এই কচুর মূল অংশটা রেখে দিয়েছিল তরকারি করার জন্য, কিন্তু অনেকদিন রাখায় একটু নষ্ট হয়ে গেছিলো, ফলে কেটে কেটে অনেকটা ফেলে দেওয়া লেগেছিলো। ছোলা কচুর অনেক উপকারিতাও আছে। আর এই মাছের রান্নায় আমি শুধু কচু দেইনি, সাথে গোল আলুও দিয়েছি। সবমিলিয়ে তরকারিটা খেতে বেশ মজাদার হয়েছিল। যাইহোক, এখন আমি এই রেসিপিটার মূল উপকরণের দিকে চলে যাবো।


☫প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:☫

დউপকরণ
পরিমাণდ
সামুদ্রিক ভোলা মাছ
৭ পিচ
ছোলা কচু
পরিমাণমতো
গোল আলু
২ টি
পেঁয়াজ
২ টি
রসুন
১ টি
কাঁচা লঙ্কা
১১ টি
লঙ্কার গুঁড়ো
১ চামচ
গোটা জিরা
পরিমাণমতো
সরিষার তেল
পরিমাণমতো
লবন
৫ চামচ
হলুদ
৫ চামচ
জিরা গুঁড়ো
১ চামচ


ছোলা কচু, গোল আলু, পেঁয়াজ, রসুন


কাঁচা লঙ্কা, সরিষার তেল, লবন, হলুদ, জিরা গুঁড়ো


❦এখন রেসিপিটা যেভাবে তৈরি করলাম---


❆প্রস্তুত প্রণালী:❆


❖সামুদ্রিক ভোলা মাছের পিচ কয়েকটা ফ্রিজ থেকে বের করে বরফ গলিয়ে জল দিয়ে আরেকবার ভালোভাবে ধুয়ে নিয়েছিলাম। এরপর ছোলা কচুটির গায়ের দিকে ময়লাগুলো সরিয়ে নিয়ে তার খোসা ছালিয়ে নিয়েছিলাম এবং কেটে পিচ করে নেওয়ার পরে জল দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছিলাম।

❖আলু দুটির খোসা ছালিয়ে নিয়ে কেটে পিচ করে নিয়েছিলাম এবং পরে জল দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছিলাম। এরপর পেঁয়াজ এর খোসা ছালিয়ে কেটে নিয়েছিলাম এবং সাথে রসুনের কোয়াগুলো ছাড়িয়ে নিয়ে খোসা ছালিয়ে নিয়েছিলাম আর পরে জল দিয়ে ধুয়ে নিয়েছিলাম । কাঁচা লঙ্কাগুলোও কেটে নেওয়ার পরে ধুয়ে নিয়েছিলাম।

❖মাছের পিচগুলোতে ২ চামচ করে লবন আর হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর হাত দিয়ে গায়ে ভালো ভাবে মিক্স করে দিয়েছিলাম।

❖একটি প্যানে তেল দিয়ে তাতে অল্প কয়েকটা মাছের পিচ দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর একইভাবে বাকি সব মাছের পিচ দিয়ে ভালোভাবে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম।

❖অন্য আরেকটি কড়াইতে তেল দিয়ে কচুর পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম এবং একটু কড়া মতো করে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম।

❖আলুর পিচগুলো হালকা লাল করে ভেজে নিয়েছিলাম এবং পরে কড়াইতে পরিমাণমতো তেল দিয়ে গোটা জিরা দিয়ে দিয়েছিলাম।

❖জিরা দেওয়ার পরে তাতে কুচি করে রাখা পেঁয়াজ-রসুন দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর সব ভাজা মতো করে নিয়েছিলাম।

❖জিরা, পেঁয়াজ, রসুন ভাজা হয়ে আসলে তাতে কচুর ভাজা পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে ভাজা আলুর পিচগুলো এবং সাথে কাঁচা লঙ্কাগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম।

❖লঙ্কা দেওয়ার পরে তাতে ৩ চামচ করে লবন এবং হলুদ আর ১ চামচ লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর সব উপাদানগুলো মশলার সাথে উল্টেপাল্টে মিশিয়ে নিয়েছিলাম।

❖মেশানোর পরে তাতে পরিমাণমতো জল ঢেলে দিয়েছিলাম। এরপর তরকারিটা বেশ কিছু সময় ধরে ফুটিয়ে কচু আর আলু সিদ্ধ করে নিয়েছিলাম।

❖সিদ্ধ কচুর কয়েকটা পিচ একটি পাত্রে তুলে নিয়েছিলাম এবং হাতা দিয়ে চেপে ভালোভাবে গলিয়ে সফ্ট করে নিয়েছিলাম।

❖কচুর পিচ গলানো হয়ে গেলে তাতে ভেজে রাখা মাছের পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তরকারি খানিক্ষন ফোটার পরে তাতে কচুর গলানো অংশটা দিয়ে দিয়েছিলাম।

❖কচুর গলানো অংশটা তরকারির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে দিয়েছিলাম এবং তরকারিটা পুরোপুরি সম্পূর্ণ হয়ে আসার জন্য আরো কিছুক্ষন ফুল আঁচে দিয়ে রেখেছিলাম।

❖তরকারির ঝোলটা কমে আসলে আর গাঢ় হয়ে আসলে আমি তরকারি নামিয়ে নিয়েছিলাম এবং পরে তাতে জিরা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তরকারিটা পরিবেশনের জন্য একটি পাত্রে তুলে নিয়েছিলাম।

রেসিপি বাই, @winkles

শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

দাদা আজকে আপনার সমুদ্রের ভোলা মাছের রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। কারণ সমুদ্র ভোলা মাছ খেতে খুবই মজা হয়। আমিও কিছুদিন আগে সমুদ্রের ভোলা মাছ খেয়েছি। এই সমুদ্রের ভোলা মাছ গুলো এত মজাদার হয় সেটা না খেলে বোঝা যাবে না। আসলে ভোলা মাছ চাষ এবং নদীর হয়, তার চাইতে সমুদ্রের মাছ খেতে খুবই মজা লাগে। আর আপনি শোলা কচু দিয়ে তৈরি করেছেন এবং সাথে গোল আলু দিয়েছেন সত্যিই আজকে রেসিপির পরিবেশনের খুবই সুস্বাদু হয়েছে। এই রেসিপিটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলে, দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুব সুস্বাদু হয়েছে। আসলে সমুদ্রের মাছ খেতে খুবই মজাদার হয়।এই রেসিপি দেখে খুবই ভালো লাগলো,মজাদার রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

কখনো এরকম সামুদ্রিক মাছ খাওয়া হয়নি। তবে আপনার তৈরি করার সামুদ্রিক ভোলা মাছের রেসিপি দেখে অনেক সুস্বাদু লাগতেছে দাদা। দেখেই জিভে জল চলে আসলো দাদা। অনেক সুন্দরভাবে তৈরি করার পাশাপাশি ধাপ গুলো অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল

ভোলা মাছের নাম আজকে প্রথম শুনলাম দাদা। সামুদ্রিক মাছ যদিও খুব একটা খাওয়া হয় না। তবে মনে হচ্ছে সামুদ্রিক মাছ খেতে ভালই লাগে। আর মাছের দাম মাছের বাজারে গেলেই বুঝতে পারা যায়। যে হারে মাছের দাম বাড়ছে তাতে করে বাঙালিরা কবে যে মাছে ভাতে বাঙালি নাম পাল্টে সবজি ভাতে বাঙালি হয়ে যাবে কে জানে🤪🤪। কচু ও আলু দিয়ে ভোলা মাছের রেসিপি দারুন হয়েছে দাদা। মন চাচ্ছে এই মাছ খেয়ে টেস্ট করে দেখতে। নতুন নতুন মাছ খেতে ভালই লাগে। আসলে নতুন খাবারের স্বাদ গ্রহণ করতে সবারই অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে দাদা মজার একটি মাছের রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

আপনার রেসিপি রান্না গুলো দেখে আমার খেতে ইচ্ছে করে কেননা আপনি রান্নার উপকরণগুলো আগে থেকেই ভেজে রান্না করেন ।সামুদ্রিক মাছ আমি কোনদিন খাইনি কিন্তু শুনেছি সামুদ্রিক মাছ অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে ।আপনার রেসিপিটা দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে । রান্নার কালারটাও অনেক সুন্দর ইচ্ছে করছে বাড়িতে গিয়ে খেয়ে আসি ভাইয়া।

সমুদ্রের ভোলা মাছের রেসিপি দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। কচু দিয়ে ভোলা মাছের সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার রেসিপি পরিবেশন আমার অনেক ভালো লেগেছে দাদা।

দাদা, মাছেরও নাম যে ভোলা হয়, তা আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম। সেই সাথে ভোলা মাছকেও দেখে নিলাম। আমি এই মাছ আগে কখনো দেখিনি আর আজ আপনার পোস্টে মাছের নামটি প্রথম জানতে পারলাম। ভোলা মাছের সাথে কচু ও গোল আলু দিয়ে খুবই মজার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। বিশেষ করে আলু ও কচুগুলোকে তেলে ভেজে রান্না করার কারণে হয়তো স্বাদের পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে গেছে। রেসিপির কালারটা খুবই লোভনীয় লাগছে। আর রন্ধন প্রণালী তো অসাধারণ। সুস্বাদু রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।

দাদা আপনার রেসিপি সবসময় আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে ,কারণ আপনার রেসিপিতে ইউনিক ইউনিক একটা গন্ধ পাই, আর সত্যি বলতে শিখার আছে অনেক কিছু আপনার কাছ থেকে।

দাদা আপনি একদম পারফেক্ট মাছে ভাতে বাঙালি বলা যায়। কারণ বেশিরভাগ সময়েই মাছের রান্না গুলো দেখি। আর আমার কাছেও মাংস থেকে মাছ খেতে বেশি ভালো লাগে। তবে এই ভোলা মাছ আমার কখনো খাওয়া হয়নি, এমনকি দেখাও হয়নি। আজকে আপনার ভোলা মাছ দিয়ে কচু এবং আলু রান্নার রেসিপি দারুন হয়েছে। আজ আমাদেরও কচু রান্না করা হয়েছে। তবে মসুর ডাল দিয়ে কুচি করে কেটে রান্না করা হয়েছে। খেতে খুবই ভালো লাগে। আর যখন এভাবে কচু রান্না করা হয়, রান্না করার পর পরই আমি এক বাটি নিয়ে বসে যাই খাওয়ার জন্য। কারণ আমার কাছে ভাত দিয়ে খাওয়ার থেকে এমনি এমনি খেতে বেশি ভালো লাগে। আর আপনার রান্নাটা দারুন হয়েছে। এই যে আলু গলিয়ে দেন এটা তো খুব মজার হয়। আমিও সেদিন করে দেখেছিলাম। ঝোলটা একটু ঘন হয়। আর খেতেও মজা লাগে। আজকের রেসিপিটি দেখে আমার ইচ্ছে করছে এখান থেকে একটু খেয়ে দেখি। কারণ কচু তরকারি গুলো আমার খুবই ভালো লাগে।

সামুদ্রিক মাছ আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। সামুদ্রিক মাছগুলো খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। সামুদ্রিক ভোলা মাছ কখনো খাওয়া হয়নি। রেসিপিটি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে সুস্বাদু হয়েছে। এই ছোলা কচু খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। রান্নার প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে দাদা এত সুন্দর এবং সুস্বাদু একটি রেসিপি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

সারা জীবন আমি অনেক প্রকার মাছ খেয়েছি। কিন্তু সামদ্রিক ভোলা মাছের কথা আজ অবদি কখনও শুনিনি। আজই প্রথম আপনার পোস্টের মাধ্যমে এই মাছ সম্পর্কে জানতে পারলাম। আরও জানতে পারলাম যে এই মাছটি প্রতি কিলো ১৮০-২০০ টাকা দাম। আপনার মাছটিও ছিল ১.৫ কিলোর মতো। যা আপনি আলু আর ছোলা কচু দিয়ে অত্যান্ত সুস্বাদু ভাবে রান্না করেছেন।

দাদা আপনার আজকের রেসিপি প্রধান দুটি উপকরণই আমার কাছে একদম নতুন লেগেছে। যেমন ভোলা মাছের নাম আগে কখনো শুনিনি। আর ছোলা কচুও প্রথম শুনলাম। সামুদ্রিক মাছ এমনিতে অনেক সুস্বাদু হয় । তাছাড়া ঠিকই বলেছেন সামুদ্রিক মাছের দাম একটু বেশিই থাকে। সামুদ্রিক মাছ অনেক বড় সাইজের গুলো খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু আর পুষ্টিকরতো বটেই। আজকে ভোলা মাছের রেসিপিটি কচু এবং আলু দিয়ে রান্না খুবই সুস্বাদু হয়েছে মনে হয়। কচু পর্যন্ত ভেজে নিয়েছেন দাদা। আবার শেষে আলুর পরিবর্তে আজকে কচু চটকে দিয়েছেন। আজকের রেসিপি স্বাদ মনে হয় একটু অন্যরকম হয়েছে তার জন্য। কালার তো বরাবরের মতনই লোভনীয় লাগছে দেখতে।

দাদা ভোলা মাছ নাম কেন,এগুলোর কি ভুলো মন🤣।এই মাছ খেতে সব কিছু মনে থাকে তো😉।যাই হোল ভোলা আমার কখনও খাওয়ার হয়নি।এমনকি নাম ও আজ শুনলাম।দাদা আপনার রেসিপি কল্যাণে নতুন নতুন মাছের নাম জানতে পারছি।কচুর নিচের অংশটা আমার খুব ভালো লাগে বিশেষ করে ইলিশ মাছ দিয়ে।প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ

এই ভোলটাকে কি বাসা ফিস বলে? যদিও আমি জানি না। আমাদের বাড়িতে তো সেই ছোট গুলোই আনা হয়। যদিও আমি জানতাম এগুলো সবটাই সামুদ্রিক। আপনার এই পোস্টটিতে প্রথম জানলাম যে নদীতে ভোলা মাছ হয়।দু তিন দিন আগে আমাদের বাড়িতেও এনেছিল।কিন্তু ছোট সাইজ যেটা সেটাই।আমাদের বাড়িতে বেশিরভাগ সময়ই সর্ষে দিয়ে ঝাল রান্না করা হয়।তবে এইভাবে আলু,কচু দিয়ে খেতে বেশ ভালোই লাগবে। এটা স্বাদ কি একই রকম হয়?

দাদা ভোলা মাছের নাম আমি আজ প্রথম শুনলাম, তবে যাই বলুন সামুদ্রিক যেকোন মাছ খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আর সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান থাকে যা শরীরের জন্য উপকার। আর ছোলা কচু একটু বুঝতে অসুবিধা হচ্ছিল, ঠিক কি ধরনের কচু এটা ? তবে বলছিলেন বেশ বড় আকারের মাছ এটি, তাহলে তো সুস্বাদু হয়েছে নিশ্চয়ই।
অনেক ধন্যবাদ দাদা চমৎকার এই রেসিপি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।

দোয়া রইল পুরো পরিবারের জন্য 🥀

সামুদ্রিক ভোলা মাছ,বেশ স্বাদের হবে।যদিও ভোলা মাছ আমার তেমন পছন্দ নয়।কিন্তু ভোলা মাছ তো প্রচুর পরিমানে উপকারী এবং অনেক রোগ প্রতিরোধ করে।এই মাছে কাঁটা কম ফলে বাচ্চারা ভালো খেতে পারে।সামুদ্রিক ভোলা মাছ তো এক থেকে দেড় মণের ও বেশি ওজন হতে পারে, ভোলা মাছের পটকা অনেক টাকায় বিক্রি হয় ঔষুধ তৈরির জন্য।আপনি বাজারে গিয়ে আপনার ইচ্ছে পূরণ করেছেন জেনে ভালো লাগলো।তাছাড়া বেশিদিন রেখে দিলে কচু নষ্ট হয়ে যায়।তবে আমি এই প্রথম কচু ও আলু রান্না করতে দেখলাম, নিশ্চয়ই স্বাদের হয়েছিল খেতে।রেসিপিটার কালার দারুণ হয়েছে, ধন্যবাদ দাদা।

দাদা আজকে ভোলা মাছ দিয়ে ছোলা কচুর সুস্বাদু রেসিপি সেয়ার করলেন। আজকের পোষ্টে ভোলা মাছ আর ছোলা কচুর অনেক তথ্য জানতে পারলাম। সামুদ্রিক মাছ গুলোর মাঝে সবসময় স্বাদ বেশি থাকে। তবে এ গুলো সবাই খেতে পারে না। দাদ আমিও কখনো ভোলা মাছ খায়নি তবে ছোলা কচু খেয়েছি। দাদা আপনার লাষ্ট স্টেপটা ভাল ভাবে খেয়াল করলে তখন বুঝা যায় ভোলা মাছটা কত বড় ছিল। সব মিলিয়ে ধারুন একটি রেসিপি সেয়ার করলেন। ধন্যবাদ দাদা।