হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে মার্ডার ইন দ্যা হিলস ওয়েব সিরিজটির ষষ্ঠ পর্ব রিভিউ দেব। আজকের ষষ্ঠ পর্বের নাম হলো "সাসপিসিয়াস শীলা"। আগের পর্বে শেষ দেখা গিয়েছিলো অর্জুন দিবাকর নামক একজন লোকের সাথে দেখা করে গিয়েছিলো আর ডাক্তার রিমার চিঠির বিষয়ে কথা বলেছিলো। আর সেই রহস্যময় সেলফোনের বিষয়টা এখনো থেকে গেছে। ফলে আজকে দেখা যাক কাহিনীটা কি ঘটে এই পর্বে।
☀কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:☀
ꕥমূল কাহিনী:ꕥ
শুরুতেই দেখা যায় যে সেই দার্জেলিং এর জার্নালিস্ট তরুণ লোকটিকে কিছু লোক এসে মারধর করতে লাগে অর্থাৎ এইটা তখনকার সেই ৩০ বছর আগের কেসটা দেখালো একটু। এখানে তরুণ বোসকে মূলত রাস্তায় পাহাড়ের অনেক উঁচুতে মারার পরে গায়ে কম্বল জড়িয়ে ফেলে দিয়েছিলো যাতে কোনো প্রমান না থাকে। আর এইগুলো অর্জুন ডাক্তার রিমার সাথে আলোচনা করতে লাগে। অর্জুন দিবাকরের সাথে দেখা করার পরেই গিয়েছিলো নিমার কাছে। আর নিমার বাড়িতে একটা ডায়েরির মধ্যে শৈবাল আর তার বোনের ছবি পেয়েছিলো সেইটা নিয়েও কথা বলে। আর নিমাও বলে যে ওদের পরিবারের মেম্বারের মতো ছিল এবং খুব ঘনিষ্ঠতা ছিল তাই তাদের ছবি আমাদের বাড়িতে ছিল। এখানে বার বার নিমার কাছে ছুটে যাওয়ার একটা বড়ো ফ্যাক্ট থাকে অর্জুনের কাছে এইজন্য যে টনি ওরফে অঞ্জন দত্ত এর সাথে নিমার একটা ঘনিষ্ঠতা ছিল, ফলে হয়তো তার কাছে সমস্ত ইনফরমেশন থাকতে পারে। যেমন এখানে যখন ৩০ বছর আগে সমস্ত খুন হয় আর সেগুলো টনিই করে সেইটা বুঝতে বাকি নেই কিন্তু কোনো প্রমান ছিল না টনি আর তার বাবার বিরুদ্ধে । ফলে দার্জেলিং এর জনগণের কাছে একটা আলাদা সম্মান নিয়ে থাকতো। এখানে অর্জুন অনেক কিছু প্রমান জোগাড় করেছে যেমন ডায়েরি, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট, রিমার চিঠি কিন্তু সমস্ত বিষয়গুলো সে ঠিকঠাক মিলাতে পারছে না অর্থাৎ সঠিক প্রমাণটাই করতে পারছে না।
অর্জুন ডাক্তার নিমার সাথে কথাবার্তা সেরে সেখান থেকে বেরিয়ে আসছিলো আর তখনি সামনে DSP সাহেবের সাথে দেখা হয়ে যায়। DSP ওই নিমার সাথেই কথা বলতে যাচ্ছিলো কিছু বিষয় নিয়ে কিন্তু আচানক দেখা হয়ে যায়, তবে অর্জুন একটু ভয়ে ছিল কারণ রিমার পোস্টমর্টেম রিপোর্টটা চুরি করেছে তার বাড়ি থেকে। আর এই যে নিমার সাথে DSP দেখা করতে যাচ্ছিলো আসলে অর্জুনের নামে অভিযোগ করার জন্য। এদিকে টনির বন্ধু আর তার ওয়াইফও অভিযোগ করেছে। আর DSP এর বাড়ি থেকে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট চুরি করেছিল সেটা DSP জানে বলে তার সামনে সরাসরি জানায়। তবে DSP সবার সাথে খুব ফ্রিলি কথাবার্তা বলে অর্থাৎ একদমই কড়া কোনো পুলিশ অফিসার না। আর অর্জুনকে যে জায়েসওয়াল তুলে নিয়ে গেছিলো সেটার জন্য ও অর্জুনকে একটা FIR করতে বলে আর একজন সাক্ষী জোগাড় করতে বলে যাতে তাকে শাস্তি দিতে পারে। আর কোথায় কোথায় অর্জুনের কাছ থেকে রিপোর্টটা আবার চেয়ে নিয়ে নেয়, তবে রিপোর্টের জেরক্স কপি আগে থেকেই করে রাখে আর এটাও DSP জানে তাই কোনো কিছু লেখার আগে তার পারমিশন নিতে বলে। অর্জুনের এই কাজের জন্য DSP এরেস্টও করতে পারতো কিন্তু তাকে প্রথমবারের মতো সাবধান করে দেয় আর ক্ষমা করে দেয়।
অর্জুন পরে সেখান থেকে টনির বন্ধু রঞ্জন গাঙ্গুলি এর কাছে যায় আর সেখানে আবার ডাক্তার নিমাও ছিল। ওখানেও কেসটা ওই একই, অর্জুন কথা বলার আগেই নিমা বলে দিলো উনি ওই ৩০ বছরের কেচ্ছা খুঁজতে এসেছেন কাজ না পেয়ে। নিমা একপ্রকার এই পর্যায়ে এসে কথার মাধ্যমে যা তা বলে একপ্রকার অপমান করে আর অর্জুন সেখান থেকে উঠে আসে । আবারো DSP এর সাথে দেখা হয়ে যায় এবং DSP তখন তাকে বলে এই বিষয়টা নিয়ে সবার সাথে অতো মাতামাতি করোনা নাহলে পরে পস্তাবে। DSP মোটামুটি অর্জুনের পক্ষে আছে এই কেসটা নিয়ে। এরপর রাস্তায় শিলার সাথে দেখা হয়ে যায় কিন্তু শিলা তার সাথে কথা বলে না সেই আগেরকার ঘটনার পরের থেকে। তবে শিলার পিছু নিতে থাকে অর্জুন কিছু সন্দেহ করে। শিলা সামনের দিকে যেতে থাকে এবং তার সাথে আবার ববের দেখা হয়ে যায়। বব একজনের সাথে আবার সেখানে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে এবং শিলাও সেই ফাঁকে সেখান থেকে চলে যায়।
অর্জুনের সাথে সামনা সামনি পরে ববের দেখা হয়ে যায় এবং বব যখন জিজ্ঞাসা করে আপনি এখানে কি করছেন তখন বলে শিলা আছে? তখন বব মজা করে বলে শুধু শুধু শিলার পিছনে পিছনে না ঘুরে ঝামেলাটা মিটিয়ে নিলে তো হয় আর এস এই ঠান্ডায় দুই পেক খাই। যাইহোক অর্জুন সেখান থেকে ফিরে আসছিলো এবং তখন সৌরভ এর ফোন আসে আর তাকে তার বাড়িতে আসতে বলে। সৌরভ তাকে জানিয়ে দেয় যে এই কেসটা এখন আপনাকে লড়তে হবে কারণ আমি এইসবের মাঝে জড়াতে চাই না অর্থাৎ অর্জুনকে যে জায়েসওয়াল তুলে নিয়ে গেছিলো আর মেরেছিলো সেটা জানতে পারে আর তার কাছেও একটা থ্রেড এর ফোন আসে। সৌরভ এইসবে ভয় পেয়ে কলকাতা ফীরে যেতে চায়। ব্যাস এরপরে অর্জুন তার নিজের রুমে চলে আসে এবং এই রিপোর্ট লেখার বিষয়ে মুম্বাইতে তার বসের সাথে কথা হয় আর তার বস নিজে দার্জেলিংএ আসতে চায়। ফোনে কথা বলতে বলতে অর্জুনের বাড়িতে কে যেন কলিং বেল বাজাতে থাকে বারবার। অর্জুন কিছুটা ঘাবড়িয়ে যায় কারণ তার মনে হচ্ছিলো যে আবার জায়েসওয়াল এর লোকজন হয় কিনা।
ꕥব্যক্তিগত মতামত:ꕥ
এই পর্বে আসলে সন্দেহজনক শিলার বিষয়টা নিয়ে হয়েছে তাছাড়া আগে তেমন কোনো ঘটনা সামনে আসেনি। আর যে রহস্যময়ী সেলফোনটা থেকে অর্জুনের কাছে বারবার ফোন কল আসছিলো তাতেও এখনো রহস্য রয়ে গেছে কারণ কে পিছন দিক থেকে লুকিয়ে ফোন করছে তার মুখোশ এখনো খুলিনি, ফলে অনবরত করে যাচ্ছে। এখানে শিলার কিছু ব্যবহারে অর্জুনের সন্দেহ হয় যে শিলা কিছু একটা বিষয় লুকানোর চেষ্টা করছে, তাই শিলার ওইভাবে দ্রুত চলে যাওয়ার ফলে আর আচানক গায়েব হয়ে যাওয়ার পিছনেও সন্দেহ থেকে যায়। এরপর যখন অর্জুন তার বাড়িতে কথা বলছিলো আর কলিং বেল ঘন ঘন চাপ দিচ্ছিলো তখন অর্জুন ভয়ে হকি স্টিক নিয়ে দরজাটা আস্তে আস্তে খোলে আর সামনে দেখে শিলা, তবে শিলা খুব ঘায়েল অবস্থায় থাকে আর সেখানেই ঘুরে পড়ে যায়। কপাল দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিলো অর্থাৎ শিলা তখন হাম্পিতাম্পি করে যাচ্ছিলো কোনো খারাপ গ্যাং এর কাছে, হতে পারে কেউ ব্ল্যাকমেল করছে শিলাকে। এইটা পরের পর্বে পরিষ্কার হবে।
ꕥব্যক্তিগত রেটিং:ꕥ
৯.৭/১০
ꕥট্রেইলার লিঙ্ক:ꕥ
দাদা আজকের পর্বটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আপনি খুবই সুন্দর একটি সিরিজ আমার সাথে শেয়ার করেছেন। এই সিরিজের আজকের পর্বের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারলাম। আসলে রহস্যময় আরো ঘনিয়ে আসছে। এই পর্বে শিলার অনেক কিছু জানতে পারলাম। বিশেষ করে শিলা কিছু একটা লুকাচ্ছে অর্জুনের কাছ থেকে। আর অর্জুন সেটা দারুণ করতে পারছে। আর রহস্যময় এই সেশফোনটি। আরও রহস্য এর পেছনে রয়েছে। কোথা থেকে কল দিচ্ছে সেটা এখনো বের হয়নি। আশা করছি সামনের পর্বে আরো ক্লিয়ার হব। আজকের পর্বটি পড়ে খুবি ভালো লেগেছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
যে কয়টা পর্ব পড়লাম সব গুলোরই শুরু হয় রাস্তার মাঝে কাউকে না কাউকে পেটানোর মাধ্যমে।গত পর্বে ভেবেছিলাম রহস্য এখন গুটিয়ে আসবে কিন্তু এখন তো দেখি তার উলটা।শীলা এসে রহস্য আরো জট পাকিয়ে গেল।আমার মনে হয় যে ফোন করছে সে বড়সড় একজন ঘুটি।দারুন এক্সপ্লেইন করেছেন দাদা।ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ওয়েব সিরিজ রিভিউ: মার্ডার ইন দ্যা হিলস- সাসপিসিয়াস শীলা এই পর্ব থেকে অনেক কিছু জানতে পারলাম। এই ধরনের ওয়েব সিরিজ গুলো খুবই রহস্যময় কাহিনীতে ভরা থাকে। অর্জুনের কাছে বারবার যে ফোন কলটি আসছে সেটি রহস্যের একমাত্র কারণ। কেননা ফোন কল কে করছে তা এখনো অজানা। আবার শিলা হঠাৎ করে চলে যাওয়াটাও রহস্যের ব্যাপার। সবশেষে এটাও বোঝা যাচ্ছে যে শিলাকে কেউ হয়তো কিডন্যাপ করেছে ব্ল্যাকমেইল করার জন্য। ঘটনা কোন দিকে গিয়ে পড়ে পরবর্তীতে বুঝা যাবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ওয়েব সিরিজ রিভিউ এর এবারের পর্বটি পড়ে নতুন কিছু জানতে পারলাম। শিলা আসলে অনেক কিছুই জানে। কিন্তু প্রকাশ্যে কিছু বলতে চাচ্ছে না। সেলফোনের আড়ালের গল্প হয়তো শিলার কাছে জানা। তবে শিলা কোন এক কারণে সব কিছু এড়িয়ে চলছে। বিষয়গুলো আরো বেশি রহস্যের মধ্যে চলে যাচ্ছে। শিলা অর্জুনকে অপমান করে কথা বলছে। কিন্তু শেষে শিলা যেহেতু অর্জুনের বাড়িতে এসেছে দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়। আশা করছি পরবর্তী পর্বে নতুন কোন তথ্য সামনে আসবে। ওয়েব সিরিজের এই রিভিউটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা এই পর্বে প্রধান ভূমিকা রেখেছে শিলা। যদিও রহস্যময়ী সেলফোন থেকে অর্জুনের কাছে ফোন আসার ব্যপারটাও রয়েছে। তবে এখানে শীলা কোথায় গিয়েছিলো,কেন এত তারাহুরো করে গিয়েছিল সেটাও ভাবার বিষয়। লাষ্ট যখন শিলা কপালে রক্ত নিয়ে ফিরলো তখন এখানেও একটি রহস্য যোগ হলো। শিলা কোথায় গিয়েছিল,কপাল দিয়ে কেন রক্ত আসলো প্রশ্ন থেকেই যায়। দেখা যাক পরের পর্বে কি অপেক্ষা করছে। ধন্যবাদ দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
যদিও অর্জুন টনির বিপক্ষে বেশ কিছু প্রমাণ জোগাড় করেছে কিন্তু আমার মনে হয় এসব প্রমাণে খুব একটা কাজ হবে না। আরো বড় প্রমাণ দরকার। তাছাড়া ডিএসপি ইনডাইরেক্টলি মনে হয় অর্জুনকে সাহায্য করতে চাচ্ছে। কারণ পোস্টমর্টেম রিপোর্ট চুরি করেছে জেনেও অর্জুনকে তেমন কিছু বলেনি। তাছাড়া রিপোর্ট কপি করেছে বুঝতে পেরেছে তবুও কিছু বলেনি। এই পর্বের নাম পরেই বোঝা গিয়েছিল যে শিলা কে কোন কারনে সন্দেহ করবে অর্জুন। তাছাড়া শেষে তো মনে হচ্ছে শিলাই ভিকটিম। তা নাহলে তাকে আহত অবস্থায় অর্জুনের বাসায় কিভাবে আসলো। তাছাড়া সৌরভ কে মনে হয় ভালো ভয় দেখিয়েছে যার জন্য সে এই কেস থেকে পিছে চলে গেল কি জন্য। এখন দেখা যাক পরবর্তী পর্বে শিলার রহস্য উদঘাটন হয় কিনা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
শিলাকে ঘিরে আজকের পর্বটাও রহস্যময় মনে হয়েছে আমার কাছে। শীলা বেশ কিছু বিষয় জানে এটাই ধারনা করছে অর্জুন, তাই তাকে সন্দেহের তালিকায় রেখেছে অর্জুন। তবে ঐ মোবাইলের কোন রহস্যের সমাধান হলোনা এই পর্বে। তবে নীলাকে কে ঘায়েল করলো এটাই এখন দেখার বিষয়। সামনের পর্বে কিছু বিষয় হয়তো সামনে আসবে।
ধন্যবাদ দাদা চমৎকার পর্বটা আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
দোয়া রইল পুরো পরিবারের জন্য 🥀
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit