টিভি সিরিজ রিভিউ: দ্যা ইমপারফেক্টস-Doug of the Dead ( পর্ব ২ )

in hive-129948 •  2 years ago 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে দ্যা ইমপারফেক্ট টিভি সিরিজটির দ্বিতীয় পর্ব এর রিভিউ শেয়ার করবো। এই পর্বের নাম হলো "Doug of the Dead"। আগের পর্বে লাস্ট দেখেছিলাম যে ম্যাক্স লয়েড নামক একজন ব্যক্তি ক্লিনিকে গিয়ে মেডিসিনগুলো নেওয়ার জন্য হামলা করেছিল এবং সেখানে রুইজ নেকড়ের রূপ ধারণ করে তাকে মেরে ফেলেছিলো। আজকে দেখবো তারপরে কি হয়।


স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব


ꕥকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:ꕥ

সিরিজটির নাম
দ্যা ইমপারফেক্টস
প্লাটফর্ম
নেটফ্লিক্স
সিজন
পর্ব
Doug of the Dead
পরিচালকের নাম
শেলি এরিকসেন এবং ডেনিস হিটন
অভিনয়
ইতালিয়া রিকি, মরগান টেলর ক্যাম্পবেল, ইনাকি গোডয়, রিয়ানা জগপাল, কাইরা জাগোরস্কি, রিস নিকলসন ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
সময়
৪৩ মিনিট ( দ্বিতীয় পর্ব )
মূল ভাষা
ইংলিশ
কান্ট্রি অফ অরিজিন
ইউনাইটেড স্টেট


☫মূল কাহিনী:☫


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

এই পর্বে দেখা যায় যে রুইজ যখন মানব থেকে নেকড়ে হয়ে ম্যাক্স লয়েড নামক লোকটির গলায় কামড় দিয়ে তাকে মেরে ফেলেছিলো তখন ডাক্তার ইতালিয়া রিকি এবং বাকি তিন সাইড ইফেক্টে আক্রান্ত রুইজ, টিল্ডা, আবি তারা তাকে নিয়ে ল্যাবে নিয়ে যায় টেস্ট করার জন্য কারণ এই ম্যাক্স লয়েডেরও একধরণের সাইড ইফেক্ট ছিল যার কারণে সেও একটা হিংস্র পশুর মতো ব্যবহার করতো। কিন্তু ম্যাক্স লয়েডের ছাতি ফেড়ে যখন তাকে টেস্ট করতে যাচ্ছিলো তখন তার হার্ট রেস্পন্স করতে লাগে এবং এইটা দেখে সবাই ভয় পেয়ে যায়। কারণ একটা ব্যক্তির বুক চেরার পরে তার জীবিত হয়ে ওঠা অসম্ভব, কিন্তু সে তাও তার সাইড ইফেক্ট এর কারণে জীবিত হয়ে ওঠে। টিল্ডা তাকে মেরে ফেলার কথা বলে কিন্তু ডাক্তার মানা করে, তাও ভয় পেয়ে টিল্ডা তার গলাটাই দেহ থেকে কেটে আলাদা করে ফেলে। এরপর টেস্টও আর করা হলো না, সরাসরি তার দেহটিকে নিয়ে মাটিতে পুঁতে দেয়। তবে ম্যাক্স লয়েড এর পকেটে একটা ক্যামেরা পায় যেটাতে তাদের কিছু ছবি দেখতে পায় অর্থাৎ তাদেরকে এই লোকটা অনেক আগে থেকেই ফ্লো করছিলো বিভিন্ন জায়গায়। ম্যাক্স লয়েড এর মতো এইরকম অনেক পেসেন্ট আছে যাদের লিস্ট রুইজ খুঁজতে লাগে এবং হান্না নামক একজনের খোঁজ পায় আর তাকে খুঁজে বের করার জন্য তারা চেষ্টা করতে থাকে আর সাথে সারকোভ কেও খুঁজতে লাগে কারণ সারকোভ তাদের ঠিক করতে পারবে বলে তাদের ধারণা।


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

ডাক্তার ইতালিয়া রিকা যখন বলেছিলো যে ম্যাক্স লয়েডেরও সাইড ইফেক্ট এর সমস্যা আছে তখন রুইজ, টিল্ডা আর আবি তিনজন ভেবেছিলো যে এই ম্যাক্স লয়েডের কাছ থেকে তাহলে সারকোভ এর বিষয়ে জানা যাবে। তাই পুনরায় মাটি খুঁড়ে আবারো সেই মাথা কেটে ফেলা ম্যাক্স লয়েডের দেহ বের করে নিয়ে আসে ল্যাবে এবং তাকে আবার বাঁচিয়ে তোলা সম্ভব বলে জানিয়েছিল রিকা। তার গলা কেটে ফেলার পরেও তার শরীরে সমস্ত একটিভিটি কাজ করছিলো। তারপর তার কেটে ফেলা মাথাটা যখন তার গলার স্থানে ধরে তখন ম্যাগনেটিভ এর মতো একটা আকর্ষণ কাজ করে এবং সাথে সাথে মাথাটা দেহের সাথে জুড়ে যায়। এরপর কিছু সময়ের মধ্যে তার হুশ ফিরে আসে তবে সারকোভ তাকে এমন অবস্থা করেছিল এক্সপেরিমেন্ট করে যে তার গলা কেটে ফেলার পরেও তার মৃত্যু আসছিলো না, আর তার এতটাই ব্যাথা যন্ত্রনা হচ্ছিলো যে সে নিজেই মরে যেতে চাইছিলো। তার এই ব্যাথার জন্য রিকা একটা ইনজেকশন তৈরি করেছিল যেটার দ্বারা তার এই ব্যাথাকে কিছু সময়ের জন্য হলেও কমিয়ে রাখা যাবে। টিল্ডা তার কাছে সারকোভ এর বিষয়ে জানতে চাইলে বলে যে সারকোভের ক্লিনিকের পিছনে একটি দরজা আছে এবং সেখান দিয়ে তার একটা রুমে তার ল্যাপটপ রাখা আছে আর তাতে সমস্ত ইনফরমেশন পাওয়া যাবে। এরপর তারা রুইজ আর আবি দুইজন লুকিয়ে সেখানে চলে যায়।


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

রুইজ আর আবি তারা দুইজন সেখানে গিয়ে কম্পিউটার অন করে কিন্তু সেখানে কোনো প্রোগ্রামে তাদের এক্সপেরিমেন্ট এর কোনো লিস্ট খুঁজে পাইনি, কারণ ম্যাক্স বলেছিলো ল্যাপটপের কথা আর তারা সামনের কম্পিউটার দেখে চলে আসে । এদিকে টিল্ডা ম্যাক্স এর কাছে বসে থাকে আর ম্যাক্স তাকে বলে মেরে ফেলতে কারণ তার ব্যাথা সে সহ্য করতে পারছে না। টিল্ডা পরে রিকার কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করে যে তাকে কিভাবে মারবে যাতে তার কোনো ব্যাথা অনুভব না হয়। রিকা এর জন্য এমন একটা ইনজেকশন প্রস্তুত করার কথা বলে যে এতে তার হার্ট ও দেমাগ একদম চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে আর তাকে অ্যাসিড দিয়ে পুড়িয়ে মারবে যা খুবই ভয়ানক লাগে টিল্ডার কাছে। এরপর টিল্ডা অনেক ভেবেচিন্তে ম্যাক্সকে ছেড়ে দেয় ল্যাবের থেকে কিন্তু ম্যাক্স লেবের থেকে বেরিয়ে পেট্রল আর আগুন নিয়ে একটা সুইমিং পুলের কাছে গিয়ে নিজেকে ব্লাস্ট করে উড়িয়ে দেয় কিন্তু তার পরেও তার সেল জীবিত ছিল আর এই সেল পুরোপুরি নষ্ট করে ফেলতে গেলে অ্যাসিডে পুড়িয়ে নষ্ট করতে হবে তাই সেখানে থেকে আবার সেই ব্লাড একটি বালতিতে করে ল্যাবে নিয়ে এসে ঢেলে দেয় যেটাকে রিকা পুরোপুরি ডেস্ট্রয় করবে। যাইহোক এরপর টিল্ডা তাদের সাথে সারকোভ এর ল্যাবে যেতে বলে।


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

সারকোভের ল্যাবে যেখানে সেই কম্পিউটার রাখা ছিল সেখানে একটা আলমারি মতো ছিল আর তার পিছনে লুকানো ছিল একটা দরজা যেখানে তার সমস্ত গুপ্ত রিসার্চ, এক্সপেরিমেন্ট করতো। আর ওখানেই তারা সেই ল্যাপটপ পেয়ে যায় আর সেটি নিয়ে এসে ওপেন করে দেখে সেখানে সবার লিস্ট আছে। এরপর হান্না নামে যাকে খুঁজছিলো তাকে একটা রেস্টুরেন্টে খোঁজ পায় আর সেখানে আবি দেখা করতে যায় আর তার সাথে সারকোভ এর বিষয়ে খোঁজ নেওয়ার জন্য বলে কিন্তু হান্না তার সব কথা এভোইড করে চলে যাচ্ছিলো। আর এটাও বলেছিলো যে তার ব্লাড নেওয়ার জন্য একদিন ফোন করেছিল সারকোভ, তাই তার কাছে ফোন নম্বর চাইলে বলে ব্লক করে দিয়েছে। সারকোভ এতো এক্সপেরিমেন্ট করেছে যার কোনো ধারণা নেই। অনেকের উপরে বিপদজনক এক্সপেরিমেন্টও করেছে যার জন্য তার ল্যাবে একটা লোহার খাঁচাও তৈরি করেছিল আর বেশি হিংস্র হয়ে গেলে তাকে মেরে ফেলতো।


☫ব্যক্তিগত মতামত:☫

এই পর্বে Doug of the Dead এর মানে এই ম্যাক্স লয়েড ছিল। তার মৃত্যুর ব্যাপারে কাহিনীর ভিতরে বলে দিয়েছি। আসলে এইরকম বহু লোক আছে যাদের উপর সারকোভ একজন সায়েন্টিস্ট হিসেবে সবার উপরে ছোট বেলা থেকে এক্সপেরিমেন্ট করেছিল আর তাদের সেই হিসেবে ঔষধও দিচ্ছিলো যাতে তাদের কোনো সাইড ইফেক্ট না দেখা দেয় কিন্তু পরবর্তীতে বিগত ৭ বছর ধরে তাদের কোনোরকম কোনো ঔষধ দিতো না। আর এর পরেই শুরু হয় তাদের শরীরে বিভিন্ন রকমের সাইড ইফেক্ট এর প্রভাব। আর এই সাইড ইফেক্টগুলো প্রত্যেকের আলাদা আলাদা জিনগত হিসেবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এতো খারাপ প্রভাব বিস্তার করছে যে ভয়ানক অবস্থা হচ্ছে। আর এখন সারকোভকেই খুঁজে বের করা দরকার, কারণ ওই একমাত্র এদের বিষয়ে ঠিকঠাক চিকিৎসার মাধ্যমে ঠিক করতে পারবে। এদিকে যে ADGA ভ্যাকসিন তৈরি করেছিল তার মাধ্যমে ঠিক করা যায় কিনা সেটার পরীক্ষা রিকি তার উপর দিয়েই শুরু করে অর্থাৎ এই ডোজের সাইড ইফেক্ট কেমন হতে পারে বা কি ধরণের সেটা জানার জন্য নিজের উপর প্রয়োগ করে।


☫ব্যক্তিগত রেটিং:☫
৭.৮/১০


☫ট্রেইলার লিঙ্ক:☫


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

দ্যা ইমপারফেক্টস-Doug of the Dead সিরিজে ২পর্ব ছিল আরো ভয়ানক, প্রথম পর্বের চাইতে এই পর্বটি আরও বেশি ভয়ানক ছিল। সত্যি দাদা এই পর্বটি আপনি খুবই সুন্দরভাবে শেয়ার করলেন, এই পর্বের মাধ্যমে জানতে পারলাম শরীরে বিভিন্ন রকমের সাইড ইফেক্ট এর প্রভাব পরে । আর এই সাইড ইফেক্টগুলো সবার একি রকম না হয়ে আলাদা আলাদা জিনগত হিসেবে হয়।আর কিছু কিছু ক্ষেত্রে খুবি খারাপ প্রভাব পরে। তা ছিলো খুবি ভয়ানক। তাই এখন সারকোভকেই খুঁজে বের করা দরকার,সেই ওই একমাত্র বিষয়টি ঠিকঠাক চিকিৎসার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করতে পারবে। আর ADGA ভ্যাকসিন তৈরি করেছিল সেই ভ্যাকসিন এর মাধ্যমে ঠিক করা যায় কিনা সেটার পরীক্ষা রিকি উপর দিয়েই শুরু করে।দেখা যাক আগামি পর্বে কতটা রহস্য বেরিয়ে আসে। সেই পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

টিভি সিরিজ রিভিউ: দ্যা ইমপারফেক্টস এই পর্ব রহস্যজনক লাগছে। ম্যাক্স লয়েড নামক লোকটি কেটে ফেলার পরও জীবন্ত হয়ে ওঠে এটি খুবই ভয়ঙ্কর মনে হচ্ছে আমার কাছে। আবার দেখা যাচ্ছে সারকোভ একজন সায়েন্টিস্ট তিনি যাদের উপর এক্সপেরিমেন্ট করছেন তাদেরকে ঔষধ দিচ্ছেন সেই হিসেবে যাতে কোন সাইডএফেক্ট না হয় যার ফলে ৭ বছর ধরে কোন ওষুধ দেয়া হচ্ছে না। আবার দেখা যাচ্ছে যাদের মাথা আলাদা করে দেয়া হচ্ছিল যখন মাথা আবার জোড়া দেয় আবার জীবন্ত হয়ে ওঠে এ ব্যাপার গুলো আমার কাছে খুবই অদ্ভুত ভয়ংকর মনে হচ্ছে। আসলে দাদা এই ধরনের ওয়েব সিরিজ গুলো এক পর্ব দেখলে আরেক পর্ব দেখার জন্য ইচ্ছে করে। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

দ্যা ইমপারফেক্ট টিভি সিরিজের এবারের পর্বটি পড়ে সত্যি অনেক ভালো লাগলো দাদা। গত পর্বে আমরা অনেক কিছু জানতে পেরেছিলাম। মরা মানুষকে জীবিত হওয়ার কথাও জানতে পেরেছিলাম। আজকে আরও নতুন নতুন তথ্য সামনে চলে এলো। ম্যাক্স লয়েড নামক লোকটিকে মেরে ফেলার পরেও জীবন্ত হয়ে উঠেছে। সত্যি দাদা বিষয়টি খুবই ভয়ঙ্কর। এমনকি আগুনে পোড়ার পরেও তার ধ্বংস হয় না। এবারের পর্বটি পড়ে সত্যিই ভালো লেগেছে দাদা। নতুন কিছুর মাঝে অনেক আনন্দ খুঁজে পাওয়া যায়। আর গল্পের প্লট যদি ভিন্ন কিছু হয় তাহলে রিভিউ পড়ার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। আর এই টিভি সিরিজটি ভিন্ন রকমের একটি গল্প নিয়ে নির্মিত। আসলে নতুন কিছু পড়তে ভালো লেগেছে। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম দাদা। যদি সময় পাই এই টিভি সিরিজটি দেখার চেষ্টা করব।

গত পর্ব পড়ে অনেক ভয় পেয়েছিলাম কিন্তু আজকের পর্ব টা তো দেখছি তার চেয়েও বেশি ভয়ংকর। ‌ আসলে এই রিভিউ টা পড়ে অনেক কিছুই জানতে পারলাম। বিশেষ করে ম্যাক্স লয়েড নামক লোকটিকে মেরে ফেলার পরেও দেখছি জীবিত হয়ে গেছে। তারপরে আবার দেখছি মাথা আলাদা করে আলাদা জায়গায় পুঁতে দেওয়া হয়েছে কিন্তু তারপরেও উঠে নিয়ে এসে জোড়া লাগানোর পর আবারো জীবিত হয়ে গেল। বিষয়টা অনেকটাই রহস্যজনক আর ভয়ংকর। তাছাড়া যখন লোকটিকে পুড়িয়ে ফেলার কথা বলেছে তখন কিন্তু টিল্ডা অনেক ভয় পেয়ে গিয়েছে । তারপরে দেখছি লোকটা নিজে নিজে আগুন লাগানোর পরেও দেখছি ধ্বংস হয়নি। সত্যি এই বিষয়টা যেন অদ্ভুত লাগলো। তাছাড়া আপনার পোস্ট থেকে এই টিভি সিরিজটি দেখার আগ্রহ জেগেছে। কিন্তু আবার অনেকটা ভয় পেলাম। পরবর্তী পর্বে নিশ্চয়ই আরো কিছু রহস্য বের হবে। অনেক ভালো লাগলো আজকের পর্বটা পড়ে।

Doug of the Dead এই পর্বটা দেখছি অনেক বেশি ভয়ংকর। আসলে আপনি তো পর্বটা নিজে দেখেছেন। আমি তো পড়তে পড়তে একেবারে ভয়ে শেষ। বিশেষ করে যখন ম্যাক্স লয়েড নামক লোকটিকে কেটে ফেলার পরেও জীবন্ত হয়ে উঠেছে । তারপরে আবার মাথা আলাদা করে দেয়া হয়েছিল, আবার শরীরটা পুতে ফেলা হয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকে উঠে আনার পরেও আবার জোড়া লাগালে জীবন তো হয়ে ওঠে। বিষয়টা পড়ে আমি তো একেবারে ভয় পেয়ে গেলাম। তারপরে আবার লোকটা নিজে থেকেই আগুন লাগিয়ে দিল কিন্তু তারপরেও একেবারে শেষ হয়নি। এইসব বিষয়গুলো যেন অদ্ভুত লাগছে। আসলে এই ধরনের ওয়েব সিরিজ দেখার কোন আগ্রহ নেই। কিন্তু আপনার রিভিউ পড়ে মনে হচ্ছে অনেকটাই ইন্টারেস্টেড। অন্যদিকে আবার ভয়ংকর। পরের পর্বে কি হবে সেটা জানার আগ্রহ রইল।

ওরে বাবা আজকের পর্ব টা তো দেখছি একদম রহস্যজনক । বিশেষ করে ম্যাক্স লয়েড নামক লোকটির প্রাণ অনেক শক্ত। কেটে ফেলার পরে ও বেঁচে উঠলো। আবার আগুনে পুড়িয়ে ফেলার পরেও দেখছি কোনভাবেই শেষ হচ্ছে না। এই বিষয়টা একেবারে অদ্ভুত লাগলো। লোকটার জন্য অন্যরাও ভয় পেয়ে যাচ্ছে। এবারের ওয়েব সিরিজটা পড়ে কিন্তু অনেক কিছুই জানতে পারছি। আসলে এরকম ওয়েব সিরিজ দেখা হয় না এইজন্য খুব একটা বলতে পারব না। তবে আপনার পোস্ট পড়ে এরকম ওয়েব সিরিজ গুলো দেখার ইচ্ছে জাগছে। অবশ্য না দেখলেও চলবে। কারণ এখান থেকে পড়েই যেন চোখের সামনে কাহিনী গুলো ভেসে উঠছে। আশা করব পরের পর্ব আরও বেশি রহস্যজনক কিছু থাকবে।

দাদা, দাদা আপনার টিভি সিরিজের রিভিউটি পড়ে মনে হচ্ছে ঘটনাটি খুবই অদ্ভুত ধরনের। আসলে দাদা এই ধরনের টিভি সিরিজ আমার দেখতে একেবারেই ভালো লাগেনা। তবে আপনার এই টিভি সিরিজের রিভিউটি আমার কাছে খুবই অদ্ভুত এবং রহস্যজনক মনে হচ্ছে। বিশেষ করে লয়েড এর মৃত্যুর কাহিনীটা বড়ই আশ্চর্যজনক।

কি ভয়ংকর ব্যাপার। লুইস যে ম্যাক্স লয়েড ব্যক্তিটিকে মেরে ফেলেছিল তার বুক চিরার পরেও জীবিত থাকাটা কেমন ভয়ংকর। তাছাড়া এ দৃশ্য দেখলে তো অবস্থা খারাপ হয়ে যাওয়ার কথা। আমি খুব ভয় পাই এগুলো দেখতে। যাইহোক লোকটার গলা কেটে ফেলার পর মাটিতে পুঁতে ফেলেছিল আবার তুলে এনে জোড়া লাগানোর পর লোকটি জীবিত হয়েছে। তাছাড়া লোকটি গলাকাটার সাইড ইফেক্ট সহ্য করতে না পেরে নিজেকেই মেরে ফেললো। সারকোভের ল্যাবে গিয়ে তথ্য তো খুঁজে পেল কিন্তু এই লোকটি সাত বছর ধরে কেন ওদের কোন ওষুধ দিচ্ছে না? এই সিরিজের ভিলেন কি এই সারকোভ লোকটি নাকি? তাছাড়া রিকি ভাল কাজ করেছে নিজের শরীরে আগে টেস্ট করে নিয়েছে। অন্যের শরীরে দিলে আবার কোন সমস্যা হলে তখন আবার অন্য বিপত্তি ঘটতো। যাই হোক এই সিরিজটি একটু ভয়ঙ্কর টাইপের মনে হচ্ছে আমার কাছে বেশ ভালই লাগছে। যদিও টিভিতে আমি দেখতে পারতাম না। পড়ছি জন্য সাহস পাচ্ছি। ধন্যবাদ দাদা আপনাকে।

সারকোভের ল্যাবে গিয়ে তথ্য তো খুঁজে পেল কিন্তু এই লোকটি সাত বছর ধরে কেন ওদের কোন ওষুধ দিচ্ছে না? এই সিরিজের ভিলেন কি এই সারকোভ লোকটি নাকি?

আপাতত এই পর্যন্ত সেইরকমই মনে হচ্ছে। শেষ অব্দি না গেলে সিরিজের কিছু ঠিক বোঝা যায় না যে অরিজিনালি কে ভিলেন।

দাদা ডাক্তার মানা করা সত্ত্বেও টিল্ডা কেন ভয়াবহ কাজটি করেছিল।লোকটি তো জীবিত হয়ে উঠছিল তাহলে গলা কেটে কেন দিলো?কি আশ্চর্যজনক ঘটনা আমার মাথা ঘোরা শুরু হয়ে গেল এবার।কাটা মাথা দেহের সঙ্গে লাগাতেই জোড়া লেগে গেল এতটাই ক্ষমতা ছিল তার দেহের মধ্যে।সবই শুরুটা তাহলে সারকোভ নামক সায়েন্টিস্ট করেছিল।দেখা যাক পরের পর্বে কী হয়, সুন্দর রিভিউ দিয়েছেন।প্রত্যেকটি পর্বে বেশ ভয়াবহ কাহিনী রয়েছে।ধন্যবাদ দাদা।

দাদা আপনার এবারের টিভি সিরিজ রিভিউ দ্যা ইমপারফেক্টস এর প্রথম পর্বটা পড়েই আমি বুঝে গেছি যে আপনি খুবই ভয়ঙ্কর একটি টিভি সিরিজের রিভিউ আপনি আমাদের সামনে উপস্থাপন করতেছেন। আজকে দ্বিতীয়পর্ব টি পড়ে মোটামুটি আরো কিছু ধারণা পেলাম। সারকোভ সায়েন্টিস্টের কাজ দেখে রীতিমত অবাক হলাম। সে যদি সাত বছর ধরে ঐষুধ দিতো তাহলে হয়েতো আর এরকম হতো না। এখন তৃতীয় পর্বে দেখা যাক কি হয়। ধন্যবাদ দাদা।