কালী পূজায় ঘোরাঘুরি- পর্ব ৭

in hive-129948 •  2 years ago 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

আজকে আপনাদের সাথে কালীপূজার আরো কিছু ছবি শেয়ার করে নেবো। আগের পর্বে সংহতি ক্লাব আর ইউনাইটেড এসোসিয়েশন এর পূজাটা দেখিয়েছিলাম। আজকে যেটা দেখাবো সেটা অনেক বড়ো পূজা। আর এই পূজাটাও এই দুটি ক্লাব এর পাশেই হয়ে থাকে। মোটামুটি এইগুলো কাছাকাছিই করে থাকে। যাইহোক এইবার যেটা দেখাবো সেটা হলো 'পাইওনিয়ার ক্লাব' এর পূজা। এই ক্লাব এর পূজাটাও প্রতিবছর ভালো করে এবং অন্যান্য পূজা প্যান্ডেলের সাথে টেক্কাও দিয়ে থাকে। এই পাইওনিয়ার ক্লাব অনেকবার জিতেছেও।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

শুধু প্যান্ডেলের কার্যক্রম দেখলে টাসকি খেয়ে যেতে হয়, চোখ সরানো যায় না এরা যেভাবে প্যান্ডেলটি সাজায়। আর এই বছরতো আরো বেশি সুন্দর করে সাজিয়েছে। ৫০ বছর ধরে এই ক্লাব তাদের ঐতিহ্যকে ধারাবাহিকভাবে ধরে রেখেছে, কোনোবারই খারাপ কিছু করে না। 'পাইওনিয়ার ক্লাব' সবসময় কিছুনা কিছু একটা আকর্ষণ নিয়ে চলে আসে। তাই এই বছরও তারা একটা আকর্ষণীয় থিম নিয়ে হাজির হয়েছে যেটা আমার দেখা অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বড়ো কিছু আর তাক লাগানো আকর্ষণ। এই বছর তারা যে থিম করেছিল সেটা হলো 'মরোক্কোর কসবা টাওয়ার'। আর এই মরোক্কোর কসবা টাওয়ার হলো সাউথ আফ্রিকার।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এইটা পাইওনিয়ার পুকুরের পাশ দিয়েই করেছে, ফলে প্যান্ডেলটি রোডের সব দিক দিয়েও দেখা যায় । এই বছর আসলে কালী পূজায় সবাই বিভিন্ন দেশ বিদেশের অনেকরকম থিম নিয়ে হাজির হয়েছে যেগুলো মানুষ ঘরে বসে টিভিতে বলুন আর বাইরে এসে হেঁটে হেঁটে বলুন, সবাই বিদেশের অনেক কিছু দেখার সুযোগ পেয়েছে। এইবার মানে সবাইবারাসাতের বুকে সবকিছু ভিন্ন চিত্র দেখার সুযোগ পেয়েছে যেটা হয়তো তারা কোনোদিন দেখেনি আবার যারা এইসব জায়গায় গিয়েছে তারা দেখেছে, আলাদারকম একটা চমক ছিল। আর এটাতে ভিড়ের কথা আর কি বলবি, অকাল্পনিক ভিড় যাকে বলে।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এতো ভিড় আসলে ভাবা যায় না, ওই যে আগে বলেছিলাম কোনো ভিআইপি পাসের ব্যবস্থা নেই, যাও তা যাও সব একসাথে। ঠেলতে ঠেলতে জীবন বেরিয়ে যায় যেন, আর লাইনে এতো ভিড় ছিল যে অনেকে তো হাঁপাচ্ছিলো। আসলে অনেক ছোট ছোট ছেলেমেয়ে থাকে তো ওর মধ্যে এতো চাপ সহ্য করে পেরে ওঠে না। মোবাইলটা বের করে যে ছবি তুলবো সেই উপায়টাও নেই। আমি ছবি তুলতে পারবো না বলে ভিডিও করেছিলাম কিছু কিন্তু দুৰ্ভাগ্যবশতঃ আপনাদের দেখাতে পারছি না সেই সুন্দর দৃশ্যগুলো, কারণ ইউটিউবে আপলোড দিতে গেলে কপিরাইট ক্লাইম আসছে, এইসব ভিডিও আসলে ইউটিউবে অনেক ছেড়েছে , ফলে একইরকম চলে আসছে সাউন্ডসহ।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

পুকুরে ওয়াটারফল এর দারুন দৃশ্য তৈরি করেছিল, আপনাদের দেখাতে পারলে আপনারাই বার বার দেখতে চাইতেন। যাইহোক পুকুরের এক সাইড দিয়ে প্যান্ডেলের পিছনভাগটা তুলেছিলাম, দেখতে অসাধারণ লাগছে। আমি জাস্ট পুকুরে শুধু ওয়াটারফল এর দৃশ্যের দিকে তাকিয়ে ছিলাম, মানে এতো সুন্দরভাবে সবকিছু প্রেসেন্টেশন করেছে যে চোখ সরানোর মতো না। যাইহোক অনেক্ষন পরে প্যান্ডেলের ভিতরে প্রবেশ করেছিলাম এবং সেখানে প্যান্ডেলের ভিতরে কিছু ছবি আর মায়ের প্রতিমার ছবি তুলে নিয়েছিলাম।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

ভিতরে গেলে আসলে শুধু ছবি তোলাই কাজ, কারণ দাঁড়িয়ে এক মিনিট যে দর্শন করবা মায়ের সেই সুযোগ নেই, ভিতরে পা দেওয়ার যতক্ষণ বেরিয়ে যেতে বলতে তাদের ১ সেকেন্ডও লাগে না। এই পাইওনিয়ার ক্লাব এর আরো একটি ঐতিহ্যবাহী ধারাবাহিকতা আছে সেটা হলো পূজার পাশাপাশি মাঠে অনেক বড়ো করে মেলা বসায়, প্রতিবারের ন্যায় এইবারেও বসিয়েছিলো। সামনে পৌষ মেলা আসছে, আর এখানেও পৌষ মেলা বড়ো করে বসে। যদিও আগে কয়েকবছর বসেনি, তবে এইবার সম্ভাবনা আছে বসানোর। যাইহোক প্যান্ডেল থেকে বেরিয়ে মেলায় কিছুক্ষন হাঁটাহাঁটি করে পরে সবাই বেরিয়ে এসেছিলাম। এই ছিল আজকের পর্বের 'পাইওনিয়ার ক্লাব' এর কিছু ছবি।

All photos what3words location: https://w3w.co/yell.storybook.wishing

শুভেচ্ছান্তে, @winkles

ক্যামেরাস্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
ক্যাটাগরিফোটোগ্রাফি
লোকেশনবারাসাত, পশ্চিমবঙ্গ
তারিখ২৬.১০.২০২২


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

কালী পূজার ঘোরাঘুরি সপ্তম পর্বের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। দাদা আজকের ফটোগ্রাফি গুলো সত্যিই অসাধারন হয়েছে। এই পাইওনিয়ার ক্লাবের পূজার প্যান্ডেলের ফটোগ্রাফি গুলো সত্যিই অসাধারণ। অনন্য প্যান্ডেল সাথে টেক্কা দিয়ে এই প্যান্ডেল সাজিয়েছে। এত সুন্দর ভাবে সাজিয়েছে যা অসাধারণ। আপনি খুবই সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করে আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। সুন্দরভাবে উপস্থাপনের করেছেন।তার সাথে বর্ণনা অসাধারণ হয়েছে। আজকের ফটোগ্রাফি গুলো সত্যি অনেক ভালো লেগেছে আমার।

শুধু প্যান্ডেলের কার্যক্রম দেখলে টাসকি খেয়ে যেতে হয়, চোখ সরানো যায় না এরা যেভাবে প্যান্ডেলটি সাজায়।

'পাইওনিয়ার ক্লাব' তার ৫০ বছরের ঐতিহ্য ধরে রাখতে দারুন ভাবে সাজিয়েছে। সত্যি দাদা চোখ ফেরানো যায় না। ফটোগ্রাফি গুলো দেখতেই যত সুন্দর হয়েছে বাস্তবে না জানি কতটা সুন্দর ছিল।'মরোক্কোর কসবা টাওয়ার' পুজোর থিমটিও একেবারে ইউনিক ধরনের ছিল। আসলে পুজোর থিমের উপর পুজো মন্ডপের আকর্ষণ নির্ভর করে। 'পাইওনিয়ার ক্লাব' সত্যিই মন্ডপটি দারুণভাবে আকর্ষণীয় করে তুলেছে। আর ডেকোরেশন গুলো খুবই সুন্দর লাগছে। দাদা আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি এবং লিখনীর মাধ্যমে পুজো মন্ডপ গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। দেখতে দেখতে কালীপুজোর বেশ কিছু পর্ব দেখে ফেললাম। প্রত্যেকটি পর্ব যেন নতুন নতুন আকর্ষণ। বেশ কিছুদিন আগে কালীপুজো শেষ হয়েছে কিন্তু স্মৃতির পাতায় হয়তো স্মৃতিগুলো রয়ে গেছে। দাদা আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

বাপরে!কালীপুজোর রেষ এখনো শেষ হয়নি তা আপনার পোস্টগুলো দেখলেই বোঝা যায়। সব সময়ের মতো বারাসাতের কালীপুজো নিয়ে আলাদা করে কিছু বলার নেই। এই থিমটাও বেশ সুন্দর হয়েছে। যদিও এটাও বোধহয় আমি দেখিনি। আমি বোধ করি খুব কম পুজোয় দেখেছি ব্যারাসাতে এবার।আর এখানে পুরো ছবিগুলোর মধ্যে নাগরদোলাটা বেশ আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।বিশেষ করে লাইটগুলোর জন্য, বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে ভাবছিলাম এটা বোধহয় নকল নাগরদোলা। পুরোটাই আলোর খেলা। কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বুঝলাম এটা আসল।

পাইওনিয়ার ক্লাব ৫০ বছর থেকে তাদের ক্লাবের ঐতিহ্য কে ধরে রেখেছে এটি বিশাল ব্যাপার। সব সময় তাদের আকর্ষণীয় কিছু না কিছু থাকে, তা এই কালীপুজোর মহোৎসব দেখেই বোঝা যাচ্ছে। কতইনা সুন্দর করে ডেকোরেশন করেছে। রংবেরঙের আলোর ঝলকানি, সেই সাথে পানির ফোয়ারা দেখে খুবই সুন্দর লাগছে। আর প্যান্ডেলের সৌন্দর্য সে তো বলার বাইরে। এই কালীপুজোয় মানুষের সমাগম এতটাই বেশি যে আপনি ভালোভাবে ভিডিও করতে পারেননি। ভিআইপি পাশের জন্য ব্যবস্থাও নেই। যাইহোক দাদা, কালী পুজোয় ঘোরাঘুরি পর্ব ৭ খুব সুন্দর বর্ণনার মাধ্যমে, খুব সুন্দর ফটোগ্রাফির মাধ্যমে, আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

জাষ্ট ফাটাফাটি 😍
পাইওনিয়ার ক্লাব বেশ চমক দেখিয়েছে দেখছি। দূরদান্ত আলোকসজ্জা আর প্রতিমা গুলো অসাধারন সুন্দর হয়েছে। দাদা এই অসম্ভব ভিড় ঠেলে আমাদের জন্য ছবিগুলো সংগ্রহ করেছেন তাই আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই দাদা।
আর পানির ফোয়ারা সত্যিই দারুন দেখাচ্ছে। মাঠের মধ্যে মেলা বসিয়েছে দেখলাম। সবমিলিয়ে দারুন পূজোর আয়োজন।

দোয়া রইল পুরো পরিবারের জন্য 🥀

বেশি মানুষ হওয়াতেই বোধহয় বেশিক্ষণ দাড়াতে দেয় না।তবে এতে আবার আমার মনে হয় যে তৃপ্তি সহকারে দেখা হলোনা যেনো।

দারুন দারুন, সবগুলো ফটোগ্রাফি খুবই সুন্দর হয়েছে, একদম চোখ ধাঁধানো। আমার তো ইচ্ছে করছে সেখানে গিয়ে ঘুরে আসতে। কালীপুজোর প্যান্ডেলে এত সুন্দর করে সবকিছু সাজানো হয়েছে দেখে আমার খুবই ভালো লাগছে। আর এখানে মেলা বসেছে দেখে মেলায় যেতেও ইচ্ছে করছে।একসাথে ২ কাজ,পুজো দেখা হল আবার মেলায়ও ঘোরা হলো। পৌষ মেলার কথা বলায়,মনে পড়ে গেল নলদিয়া মেলার কথা।আমাদের বাড়ির কাছাকাছি একটা মেলা হত, ঐতিহ্যবাহী একটা মেলা ছিল। কিন্তু বিভিন্ন রাজনৈতিক কারণে এখন আর সেই মেলা হয় না। অনেক বছর আগে এই মেলা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তবে আমরা প্রত্যেকবার মেলাতে যেতাম। পাঁচ ছয় বারও যাওয়া হতো। যদিও তখন ছোট ছিলাম। বড় হওয়ার পর সেই মেলা দেখা হয়নি। ভিড়ের মধ্যে এত সুন্দর ছবি তুলেছেন দেখে ভালো লাগছে। ভিডিওটি দেখতে পারলেও ভালো লাগতো। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত দেখতে পারলাম না। ধন্যবাদ দাদা ফটোগ্রাফির মাধ্যমে এত সুন্দর করে আমাদের মাঝে পুরো পাইওনিয়ার ক্লাব এর সৌন্দর্য উপস্থাপন করার জন্য।

দাদা পাইওনিয়ার ক্লাব নামটা যেমন আনকমন তাদের কাজ গুলোও আনকমন। আপনার ফটো আর বিস্তারিত বর্ণনা পড়ে সেটাই বুঝলাম। সাউথ আফ্রিকার মরোক্কোর কসবা টাওয়ার কখনো দেখি নাই। আপনার বর্ণনা পড়ে একবার গুগল থেকে দেখে আসলুম। এর আগে কোন পুজা প্যান্ডেলে ওয়াটারফল এর দৃশ্যে বা পানির ফুয়ারা দেখি নাই। কিন্তুু পাইওনিয়ার ক্লাবে সেটা দেখলাম। তাদের প্যান্ডেলের পাশে পুকুর আছে বিধায় সেটা সম্ভব হয়েছে। ধন্যবাদ দাদা।

দাদা পাইওনিয়ার ক্লাব অনেকবার জিতেছে মানে কি? প্যান্ডেল গুলোর মধ্যে কি আবার ডেকোরেশন এর প্রতিযোগিতাও হয় নাকি? মরোক্কোর কসবা টাওয়ারের থিমে তৈরি করার কারণে এত সুন্দর হয়েছে। ভিড়ের জন্য দাদা খুব বেশি ছবি মনে হয় তুলতে পারেননি। কারণ এত চাপাচাপির মধ্যে ছবি তোলার সময় মোবাইল পড়ে গেলে আর হ্যাঁ খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাছাড়া সব থেকে দুঃখের বিষয় হলো এত কষ্ট করে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ভিতরে ঢোকার পর ঠিকমতো দেখতেই দেয় না। ইস কপিরাইটের জন্য ভিডিওটা মিস হয়ে গেল। তা না হলে ভিডিওতে অনেক সুন্দর দেখা যেত। এত সুন্দর এবং অন্যরকম করে জন্যই মনে হয় এত ভিড় হয় এই মন্ডপে। যাক তারপরও ভিড় ঠেলে অবশেষে দেখতে পেরেছেন তাই অনেক।

  ·  2 years ago (edited)

দাদা পাইওনিয়ার ক্লাব অনেকবার জিতেছে মানে কি? প্যান্ডেল গুলোর মধ্যে কি আবার ডেকোরেশন এর প্রতিযোগিতাও হয় নাকি?

ভালো ভালো প্যান্ডেলের মধ্যে প্রতিযোগিতা হয় তো, কে কেমন ভালো করতে পারে, তারপর কমিটির পক্ষ থেকে সব বিচার করে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।

'পাইওনিয়ার ক্লাব' প্রতিবছর খুবই ভালো থিম তৈরি করেন ।তাছাড়া পুকুর পাড়ে বেশ ভালো লাগে পূজা উপভোগ করতে।'মরোক্কোর কসবা টাওয়ার' তৈরি করেছে এখানে ,আমি তো তৃতীয় নাম্বার ছবিটি দেখে ভেবেছিলাম জাহাজ তৈরি করেছে।সত্যিই ভিড়ের মধ্যে ছবি তোলা বেশ কষ্টকর দাদা।তাও আপনি খুবই সুন্দর ফটোগ্রাফী করেছেন।ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের তো পুরো মরে যাওয়ার অবস্থা হয় ভিড়ে।দাদা 'পাইওনিয়ার ক্লাব' এর মাঠে মেলা বসে প্রতিবছর ,এটা খুবই ভালো লাগে।পুকুরে ওয়াটারফলের দৃশ্যটি দারুণভাবে ফুটে উঠেছে।সব ভালো জিনিসে প্রতিযোগিতা হয়।ধন্যবাদ দাদা।