হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে ম্যানিফেস্ট টিভি সিরিজটির দ্বিতীয় সিজনের একাদশ পর্ব রিভিউ দেব। আজকের পর্বের নাম হলো "Unaccompanied Minors". আগের পর্বে শেষ দেখা গিয়েছিলো একটি বারের থেকে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করেছিল। আজকের পর্বে কি ঘটনা ঘটে দেখা যাক।
❂কিছু গুরুত্ত্বপূর্ণ তথ্য:❂
❂মূল কাহিনী:❂
এখানে দেখা যায় যে একটা ছেলে একটি ক্যান্ডি বার থেকে কিছু নেওয়ার পরে পালিয়ে যাওয়ার মতো দৌড়িয়ে বেরিয়ে যায়। এরপর আশেপাশে অন্যান্যরাও চোর চোর বলে চিল্লিয়ে ওঠে, আর সেই জায়গা দিয়েই মেলিসা হেঁটে যাচ্ছিলো। সবাই চোর বলায় মেলিসাও তাকে ধরার জন্য তার পিছে পিছে দৌড়ায়। লোকটা একজনের সাথে ধাক্কা খেয়ে পড়ে গেলে তখন তাকে ধরে সবকিছু চেক করতে লাগে যে কি সে চুরি করে নিয়ে পালাচ্ছে। তখন ছেলেটি একটি বাচ্চাদের খেলনা জাতীয় কিছু দেখায় কিন্তু সে চুরি করিনি বলে। পরে বিষয়টা বুঝতে পেরে ছেলেটিকে ছেড়ে দেয় আর তখনি মেলিসা একটা শব্দ শুনতে পায় যে 'লেট হিম গো'। এদিকে জোশ আর এথেনা হাসপাতাল থেকে তাদের বেবিকে নিয়ে বাড়ির দিকে চলে আসে আর জোশ খুব খুশি হয় তার বেবিকে নিয়ে। তবে জোশ হঠাৎ করে তার সামনে কিছু ট্রেন আসতে দেখে এবং সেটা খুব দ্রুত গতিতে আসতে দেখে। এথেনা জিজ্ঞাসা করলে বলে এইবার সম্পূর্ণ আলাদা কিছু সামনে দেখছি এবং যেন আমি মরতে চলেছি এইরকমটা দেখলাম। এদিকে জ্যাক আর 'টি জে' দুইজন বাইরে যায় আর সেখানে তারা দুইজন কথা বলতে বলতে আসতে থাকে আর সেই মুহূর্তে 'টি জে' একইভাবে সামনে বিশালাকৃতি অদ্ভুত টাইপ এর একটা পাখি দেখতে পায়। আর এইগুলো শুধু সেই দেখতে পাচ্ছে, তাছাড়া অন্য কেউ দেখতে পাচ্ছে না কারণ এটা সে তার কল্পনার মাধ্যমে দেখছে । যাইহোক এরপর তারা দুইজন বাড়ি আসলে এই বিষয় নিয়ে একটু আলোচনা করতে লাগে।
আলোচনা করতে করতে এদিকে জ্যাক ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে সেই পাখির ছবিটা বের করে ফেলে আর এটা কোথায় এমনভাবে ড্রয়িং করা রয়েছে সেটাও বের করে ফেলে। এরপর জোশ আর টি জে দুইজন মিলে চলে যায় একটা রেল স্টেশনে যেখানে এই ছবিটা রয়েছে এবং সেখানে গিয়ে তারা পেয়েও যায়। এদিকে সেখানে একজন বয়স্ক ব্যক্তি শারীরিকভাবে অসুস্থতা অনুভব করতে লাগে আর সেটা জোশের নজরে পড়ে। লোকটি অসুস্থতা অনুভব করলেও তার ভাবলক্ষন জোশের কাছে সুবিধার মনে হচ্ছিলো না। অন্যদিকে থেকে একটি দ্রুত গতিতে চলন্ত ট্রেন আসছিলো আর সেই মুহূর্তে ওই বৃদ্ধ লোকটি ট্রেনের উপর ঝাঁপ দিতে যাচ্ছিলো কিন্তু জোশ আর টি জে দুইজন মিলে দৌড়িয়ে গিয়ে তাকে ধরে , সামান্যর জন্য বেঁচে যায় লোকটি। আর বৃদ্ধ লোকটির এই হারকাত দেখে স্টেশনে সব লোকজন ভয়ে আঁতকে ওঠে একপ্রকার। জোশও হতবাক হয়ে যায় ওই মুহূর্তে যে এটা কি হলো, লোকটা দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে হঠাৎ মরার জন্য ঝাঁপ দিতে যাচ্ছিলো। যাইহোক এরপর জোশ আর টি জে লোকটিকে নিয়ে হসপিটালে যায় আর সেখানে ট্রিটমেন্ট করায় কিন্তু লোকটির এখনো জ্ঞান ফিরে আসেনি বলে জানায় ডাক্তাররা। এদিকে জেক হসপিটালে পারভীনের কাছে যায় তার জ্বলে যাওয়া হাত আবার দেখানোর জন্য, আসলে তার হাত এতটাই জ্বলে গেছে যে রিকোভারি হতে অনেক সময় লাগছে আর এখনো লাগবে। আর তাছাড়া ডেথ ডেটের উপর জেকের উপর এক্সপেরিমেন্ট করবে বলে জেক একেবারে সেখানে ভর্তি হয়ে যায়।
জেকের সাথে দেখা করার জন্য পরে তার মা যায় এবং পরে জোশ, এথেনা আর জ্যাক যায়। সেখানে জ্যাক আর জেক দুইজনই দাবা খেলতে খেলতে তাদের নিজেদের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে লাগে। এরপর এথেনা তার বেবিকে ঘুম পোড়ানোর জন্য একটা গান গায় কিন্তু জেক একটু অবাক হয় আর এথেনাকে জিজ্ঞাসা করে এই গান কোথা থেকে শিখলো। এর কারণ এই গানটা জেকের বাবা তার বোনকে ঘুম পোড়ানোর জন্য গাইতো। যাইহোক এটাকে তারা একটা ইত্তেফাক বলে বিষয়টাকে বাদ দেয়। এদিকে জোশ আর টি জে যেহেতু সেই বৃদ্ধ লোকটিকে ওই একই হসপিটালে নিয়ে এসেছিলো যেখানে জেকও ট্রিটমেন্ট সহিত ভর্তি আছে। যাইহোক এরপর সেখানে বৃদ্ধ লোকটির অনেক্ষন পরে জ্ঞান ফিরে আসে আর তারাও একটু স্বস্তির নিঃস্বাশ ফেলে। মেলিসা জেকের সাথে দেখা করার জন্য হসপিটালে আসে এবং জেক তাকে বলে যে আমি আর ট্রিটমেন্ট করাবো না, আমি এখানেই ট্রিটমেন্ট স্টপ করতে চাচ্ছি।
ট্রিটমেন্ট বন্ধ করার কথা বলে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসে। আর বাড়ি এসে তারা দুইজন বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। এদিকে মেলিসা আর রামিরেজ তারা দুইজন অনেকদিন থেকে একটা গ্যাংকে ধরার জন্য প্ল্যান তৈরি করতে লাগে এবং তাদের আড্ডার সন্ধান খুঁজতে লাগে। অবশেষে তারা আড্ডার খোঁজ পায় আর সেখানে রাতের দিকে কোনো ফোর্স ছাড়াই যায়। সেই আড্ডাখানায় দুইজনকে ঢুকতে দেখলে তারাও গিয়ে ঢোকে তাদের ধরার জন্য। ভিতরে গুপ্ত কোনো রুমে কিছু একটা রিসার্চ এর বিষয়ে কাজ চলছিল এবং সেগুলো অবৈধ ছিল। এরপর একজন পালিয়ে যেতে লাগলে রামিরেজ তাকে ধরার জন্য তার পিছে পিছে যায়। আর এদিকে মেলিসা সিঁড়ি দিয়ে নিচের দিকে নেমে বাকি দুইজনকে দেখে আর তাদের গ্রেফতার করে কিন্তু সেখানে আবারো সেই শব্দ সে শুনতে পায় যে 'লেট হিম গো'। এরপর ৩ জনকেই গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায় আর জেলে ঢুকিয়ে কেস দিয়ে দেয়।
❂ব্যক্তিগত মতামত:❂
প্রথমে মেলিসা যে ছেলেটিকে চোর বলে ধরেছিলো তাকে ছেড়ে দিয়েছিলো একটা কারণে সেটা হলো মেলিসা যে শব্দ শুনতে পেয়েছিলো যে 'তাকে যেতে দাও ' এই কারণে আর তাছাড়া ছেলেটি স্টুডেন্ট ছিল। এইদিক থেকে বিবেচনা করে ছেড়েতো দিয়েছিলো কিন্তু তার সন্দেহ হচ্ছিলো যে কোনো কিছুর সাথে জড়িত কিনা তাই পরে রামিরেজ এর সাথে বসে এই বিষয়ে ইনভেস্টিগেশন করতে লাগে। এই ইনভেস্টিগেশন করতে করতে তারা একটা বাস স্ট্যান্ডে যায় এবং একজন বাস চালকের সাথেও কথা বলে কিন্তু এই বাস চালক অবৈধ কাজের সাথে জড়িত ছিল, কারণ মেলিসা আর রামিরেজ যে রাতে আড্ডাখানায় রেট মারে সেখানে এই বাস চালক ছিল। এদিকে জোশ আর টি জে দুইজন মিলে যে বৃদ্ধ লোকটিকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়ে নিয়ে এসেছিলো সে ছিল আসলে জেকের বাবা। আর জেক যে হসপিটালে ভর্তি ছিল সেই হসপিটালেই তার বাবাকে ভর্তি করেছিল। জোশ পরে জেককে ডেকে নিয়ে এসে তার বাবার সাথে দেখা করিয়ে দেয়। পারিবারিক সমস্যার জন্য জেক অনেক বছর ধরে সবার কাছ থেকে আলাদা ছিল আর তার বাবাকে এখন দেখে সে অনেকটা খুশি হয় আর সাথে তার বাবাও।
❂ব্যক্তিগত রেটিং:❂
৯.৪/১০
❂সিজন ২ এর ট্রেইলার লিঙ্ক:❂
দাদা আজকে পর্বটি অনেক রহস্যময় আর এই পর্বটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। বিশেষ করে মেলিসা ওই ছেলেটিকে ছেড়ে দেয়। কারণ ছেলেটি স্টুডেন্ট ছিল আর এদিকে ঘটে গেল অন্যরকম একটা ঘটনা। আজকের এই পর্বটি আমার খুবই ভালো লেগেছে।তারপরে তারা ইনভেস্টিগেশন করতে করতে একজন বাস চালকের কাছে যায়। আর এই বাস চালকের লোক ছিল অবৈধ কাজের সাথে জড়িত।এদিকে জোশ আর টি জে একজন বৃদ্ধ লোকটিকে বাঁচিয়ে ছিলো। এই বৃদ্ধ লোকটি ছিল জেক এর বাবা। তাদের পরিবারের সাথে অনেকদিন সম্পর্ক ছিল না। যার কারণে বাবা সাখে পরিচয় হয়ে খুবি খুশি হয়।অবশেষে তার বাবাকে খুঁজে পেয়ে অনেক আনন্দিত হলো জেক। আসলে অনেকদিন পর হারানো ব্যক্তিকে খুঁজে পেলে অনেক ভালো লাগে। সত্যি আজকের পর্বটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আগামী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
টিভি সিরিজের এবারের পর্বটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো দাদা । জেক এবং তার বাবার দেখা হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। পারিবারিক সমস্যার কারণে হয়তো তাদের দূরত্বের সৃষ্টি হয়েছিল। অনেকদিন পর বাবা-ছেলের দেখা হওয়াতে বেশ ভালো হয়েছে। যেহেতু জেক আগে থেকেই হসপিটালে ছিল তাই তার বাবাকে হসপিটালে নেওয়ার পর তাদের দুজনের খুব সহজেই দেখা হয়েছে। অন্যদিকে মেলিসা সেই চোর ছেলেটিকে ছেড়ে দিয়েছে। কারণ মেলিসা 'তাকে যেতে দাও ' বলে একটা আওয়াজ শুনতে পেয়েছিল। তবে ছেলেটির প্রতি সন্দেহ এখনো কাটেনি। মেলিসার সন্দেহ করারই কথা। আর বাস ড্রাইভার যেহেতু অবৈধ চক্রের সাথে জড়িত তাই তারা আরো বেশি ইনভেস্টিকেশনে নেমে পড়েছে। পরবর্তী পর্ব পড়ার অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদাকে একটা বিয়ে করিয়ে দিব আমি😜,তাহলে দাদা আর এই সিরিজ দেখতে পারবে না😜😜।যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমি মেয়ে খুঁজে বের করে উদ্ধার হচ্ছি😜😜 মজা করলাম।যাই হোক আজকের সিরিজ টি বেশ ভালো হয়েছে।মেলিসা ছেলেটিকে ছেড়ে দেয়,স্টুডেন্ট বলে।রামিরেজ ইনভেস্টিগেশন করে খুঁজে পায় ড্রাইভার ও অপকর্ম এর সাথে লিপ্ত হয়ে যায়।জোশ জেক আর জেকের বাবাকে হাসপাতালে দেখা করিয়ে দেয়।
জেক অনেক বছর পর বাবাকে পেয়ে অনেক খুশি।ভালো ছিলো।ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
টি জে এবং জোস দুজনেই হয়তো কল্পনাতে ট্রেন আর পাখিটি দেখেছিল ওই লোকটিকে বাঁচানোর জন্য। ওই পাখির খোঁজ করতে করতেই তারা ট্রেন স্টেশনে গিয়ে জেকের বাবাকে বাঁচাতে পেরেছে। সেদিনও এভাবেই তারা ডাক্তারকে বাঁচিয়েছিল। ভাগ্য ভালো তারা সময়মতো গিয়েছিল তা না হলে আরেকটু পরে গেলেই তো জেক এর বাবা মারা যেত। জেক যে হসপিটালে আছে সেই হসপিটালে ভর্তি করার কারণে দুজনকে মিলিয়ে দিতে পারল। যাক অবশেষে অনেক দিন পর বাবা-ছেলের মিলন হলো ।তাছাড়া যেই চোর ছেলেটিকে মেলিসা ছেড়ে দিল তার পিছনে মনে হয় কোন রহস্য আছে। তা না হলে সেখানেও সে অদ্ভুত শব্দ শুনতে পেয়েছিল লেট হিম গো। রামিরেজ এবং মেলিসা যে আড্ডাখানায় রেট মেরেছিল সেখান থেকে যে লোকদের ধরতে পেরেছে সেই লোকদের নিয়েও কি কোন রহস্য লুকিয়ে আছে নাকি? একটা রহস্য শেষ হতে না হতেই নতুন লোকজন এসে নতুন রহস্য শুরু হয় এই সিরিজে। এজন্যই তো এত লম্বা সিরিজ। যাইহোক ভালই লাগছে। তাছাড়া দাদা আপনি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেন জন্যই পড়তে আরো ভালো লাগে। ধন্যবাদ। আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা টিভি সিরিজ রিভিউ: ম্যানিফেস্ট একাদশ পর্বটা সত্যিই অনেক ভাল লাগছে। “তাকে যেতে দা ” এই কথার মধ্যে রহস্য থাকলেও মেলিসা আর রামিরেজের ইনভেস্টিগেশন টা খুব ভাল লাগছে। তারপর শেষে দিকে জোশ আর টি জে দুইজন মিলে জেকের বাবাকে বাচিয়ে জেকের সাথে স্বাক্ষাৎ করি দিয়েছে। সে দৃশ্যটা বেশি ভাল ছিল। সর্বি পরি পর্বটা অনেক ভাল লাগছে। ধন্যবাদ দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই পর্বটা বেশ রহস্যে ঘেরা, বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে এখানে। মেলিসা ছেলেটিকে ছেড়ে দিলেও সন্দেহের তালিকা থেকে বাদ দেয়নি। এদিকে যে ড্রাইভারের সাথে কথা হলো সেও আবার অপকর্মের সাথে লিপ্ত।
তবে জোশ আর টিজে কিন্তু বৃদ্ধ লোকটিকে বাঁচিয়ে দারুন একটি কাজ করেছে, এরপর জানা গেল লোকটা জেকের বাবা।
জোশ কিন্তু দারুন কাজ করেছে বাবার সাথে জেকের কথা বলিয়ে দিয়ে, যাক অবশেষে এতোদিনের দুরুত্বের অবসান ঘটেছে।
সত্যিই পর্বটা ভীষণ উপভোগ করলাম।
পুরো পরিবারের জন্য দোয়া রইল দাদা 🥀
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit