বন্ধুত্বের রং
কেন্দ্রী
একটি ছোট্ট গ্রামে দুই বন্ধু ছিল, রাহুল এবং সুমি। তারা ছোটবেলা থেকে একসাথে বড় হয়েছে। তাদের বন্ধুত্ব ছিল খুবই গভীর এবং অটুট। রাহুল ছিল খুব চঞ্চল এবং আনন্দপ্রিয়, আর সুমি ছিল শান্ত ও চিন্তাশীল। তারা একে অপরের পরিপূরক ছিল।
গ্রামের এক কোণে একটি পুরানো গাছ ছিল, যেখানে তারা প্রায়ই বসে গল্প করত। গাছটির নিচে একদিন তারা একটি রঙিন পেন্সিল খুঁজে পায়। রাহুল পেন্সিলটি তুলে নিয়ে বলল, "চল, আমরা এই পেন্সিল দিয়ে আমাদের বন্ধুত্বের রং আঁকি!"
সুমি হাসতে হাসতে বলল, "কিন্তু বন্ধুত্বের রং তো কেমন হবে?"
রাহুল বলল, "বন্ধুত্বের রং হলো সব রঙের মিশ্রণ। যেমন, হাসি হল হলুদ, দুঃখ হল নীল, আর ভালোবাসা হল লাল।"
তারা শুরু করল পেন্সিল দিয়ে গাছের নিচে এক বিশাল ছবি আঁকা। তারা একে অপরের অনুভূতি ও স্মৃতিগুলো রঙে ফুটিয়ে তুলতে লাগল। রাহুল হাসির মুহূর্তগুলো হলুদ রঙে এবং সুমি তাদের দুঃখের সময়গুলো নীল রঙে আঁকল।
কিছুদিন পর, গ্রামের অন্য শিশুরাও তাদের ছবি দেখতে আসতে লাগল। তারা ভাবল, "আমরাও আমাদের বন্ধুত্বের রং আঁকব!" এবং একে একে সবাই যোগ দিল। ছবিটি দিনে দিনে বড় হতে লাগল।
কিন্তু একদিন, সুমি অসুস্থ হয়ে পড়ল। রাহুল খুব চিন্তিত হয়ে গেল। সে সুমি’র পাশে বসে বলল, "তুমি ভালো হয়ে যাবে, আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করব।"
সুমি হাসতে হাসতে বলল, "আমাদের বন্ধুত্বের রং তো কখনো ফিকে হবে না।"
সুমি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠল এবং তারা আবার গাছের নিচে বসে নতুন করে তাদের বন্ধুত্বের রং আঁকতে শুরু করল। তাদের আঁকা ছবিটি এখন গ্রামের সকলের কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছিল।
এভাবে, রাহুল ও সুমি তাদের বন্ধুত্বের রঙে নতুন নতুন অনুভূতি যুক্ত করতে থাকল। তারা বুঝতে পারল, বন্ধুত্বের রং কখনোই মুছে যায় না, বরং সময়ের সাথে সাথে আরো উজ্জ্বল হয়।
উপসংহার
বন্ধুত্বের রং হলো আমাদের অনুভূতির একটি প্রতিফলন। হাসি, দুঃখ, ভালোবাসা—সবই মিলে তৈরি করে একটি অসাধারণ ছবি। এই ছবি কখনোই ফিকে হয় না, বরং সময়ের সাথে সাথে আরো সুন্দর হয়ে ওঠে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit