গল্পের বাকি অংশ সুরু করা যাক ......
.
যারা আল্লাহর কিতাব তিলাওয়াত করে, নামাজ প্রতিষ্ঠা করে, আর আল্লাহ তাদের যে রিজিক দিয়েছেন তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারা এমন এক ব্যবসার আশা করে, যাতে কখনো লোকসান হবে না। আর এটা তো আমরা সবাই জানি, কুরআন তিলাওয়াতে প্রতিটা হরফেই থাকে অসংখ্য সাওয়াব। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামই তো বলেছেন, যে ব্যক্তি কুরআনের একটি হরফ পড়ে, সে ১০টি নেকি পাবে। এখানে কিন্তু আলিফ লাম মিম একটি হরফ না, বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ আর মিম একটি হরফ।
ভাবা যায়, তাহলে কুরআন তিলাওয়াতে কতটা সাওয়াব হয়; তা তো আমাদের পক্ষে গুণেও শেষ করা সম্ভব না, তাই না!
আর সবচেয়ে আশার কথা হলো, যখন সূর্য মাত্র এক হাত উপরে নেমে আসবে। যখন আমরা যে যার গুনাহের সমুদ্রে সাঁতার কাটব, তখন সেই হাশরের মাঠে কুরআন তিলাওয়াতকারীর পক্ষে কুরআন নিজে সুপারিশ করবে।
For Photos I use:
Camera |
Iphone 12 Mini |
Lens |
Wide 26 mm-Equivalent |
Photographer |
@fxsajol |
Location |
Mirpur 12 , Dhaka, Bangladesh |
Processing photos |
Outdoor |
অনেকে কুরআন পড়েন, অনেক সুন্দর তিলাওয়াত; কিন্তু কুরআনের একটা শব্দও বুঝে পড়েন না। ফলে আমাদের রব আমাদের ভালোবেসে যে উপদেশ দিয়েছেন, তা আমাদের জীবনে প্রতিফলনও হয় না।
তাই জীবনে কতবার কুরআন খতম দিয়েছেন, কার মৃত্যু বার্ষিকীতে কতজন মিলে কুরআন খতম দিয়েছিলেন, সেই হিসাব না করে অন্তত প্রতিদিন একটু একটু করে বুঝে পড়ার চেষ্টা করুন।
আপনি অনেক ব্যস্ত?
কুরআন পড়া, তাও বুঝে পড়া খুব সময়ের ব্যাপার?
ঠিক আছে, তাহলে অন্তত ৩ আয়াত হলেও বুঝে পড়ুন। তবু পড়ুন, একটু বুঝার চেষ্টা করুন।
ভেবে দেখুন, যত আমলের ব্যাপারে আমরা জানি, সবগুলোই মাটির উপর আমল করার জায়গা। ফল মিলবে ওপারে। শুধুমাত্র কুরআনই ব্যতিক্রম। আখিরাতে আপনি কুরআন পড়বেন আর আপনার মর্যাদা বাড়তে থাকবে।
আমাদের শ্বাস নিতে যেমন অক্সিজেন প্রয়োজন, তেমনি কুরআন আমাদের রুহের অক্সিজেন। আমরা যে আমাদের একমাত্র রবের কথা পড়ছি; এই অসাধারণ উপলব্ধিটা আমাদের মধ্যে আর কবে হবে!?
তাহলে আমরা কীসের আশায় কুরআন ছেড়ে মেকি হাসি তামাশায় মত্ত আছি?
ওই হাদিসটা মনে পড়ে, যেখানে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন কুরআনের বাহককে বলা হবে, পড়তে থাকো ও উপরে আরোহণ করতে থাকো এবং দুনিয়াতে যেভাবে ধীরে সুস্থে পড়তে, ঠিক সেভাবে ধীরে সুস্থে পড়তে থাক। যে আয়াতে তোমার পড়া শেষ হবে, সেখানেই তোমার স্থান।
কতটা তাৎপর্যপূর্ণ কথা। তা কি আমরা বুঝতে পারছি?
আসুন আমরা সবাই এ উপলব্ধিকে কুরআনের সাথে আবেগময় সম্পর্ক স্থাপনের চালিকাশক্তি হিসেবে নিই। আল্লাহ আমাদের সাহায্যকারী।
জিবরিল আলাইহিস সালাম কুরআনের বাহক হওয়ায় তিনি সকল ফিরিশতার শ্রেষ্ঠ। কুরআন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর অবতীর্ণ হওয়ায় তিনিও সকল সৃষ্টির সেরা। কুরআন এ জাতির উপর অবতীর্ণ হওয়ায় সর্বশ্রেষ্ঠ হয়েছে এ জাতি। রমজান মাসে অবতীর্ণ হওয়ায় তা সকল মাসের শ্রেষ্ঠ মাস। লাইলাতুল কদরে নাজিল হওয়ায় তা হয়েছে শ্রেষ্ঠ রজনি। কুরআনকে যদি আমাদের অন্তরে রাখতে পারি, তবে আমাদের অবস্থান কোথায় পৌঁছাবে ভেবে দেখেছেন?