"শারদীয়া কনটেস্ট -১৪২৯"মহা অষ্টমীতে ঘুরতে যাওয়া ও ফটোগ্রাফি

in hive-129948 •  2 years ago 

বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। বাঙ্গালীদের বারো মাসে তেরো পার্বণ। আর তার সবচেয়ে বড় উৎসব হলো দুর্গা পূজা। আজ পূজার মহা অষ্টমী। অষ্টমী মানে নতুন জামা কাপড় পরে পূজার প্যান্ডেলে গিয়ে অঞ্জলী দেওয়া। সবাইকে মহা অষ্টমীর শুভেচ্ছা।
আজ আমার শারদীয় কনটেস্টের দ্বিতীয় পোস্ট। আজ আমি আপনাদের সাথে অষ্টমীর ঠাকুর ও প্যান্ডেলের কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আমি আগেই বলেছি ঠাকুর দেখার জন্য টোটো ভাড়া করেছি। টোটো বিকাল ৫.৩০ দিকে আসবে বলেছে।আমরা বিকালে তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়লাম।আসলে যে সময় যাবার কথা ভাবী সে সময় কখনো বেরোনো হয় না তার থেকে দেরি হয়ে যায়। যাই হোক প্রচন্ড গরম পড়েছে আর বাবু গরম একদম সহ্য করতে পারে না। তাই ভাবছি আজ দূরে কোথাও যাবো না। আমাদের বারাসাতে দেখবো। তবে বারাসাতে কালীপূজা মহা ধুমধামে হয়। দুর্গা পূজা হয় তবে কালীপূজার থেকে একটু কম। তবে কয়েক জায়গায় খুব সুন্দর প্রতিমা তৈরি করে।
চারিদিকে। শিউলি ফুলের গন্ধে
মাতোয়ারা এই মন,
খুশির শরৎ আকাশ জুড়ে
দুলছে কাশবন।
শারদ প্রভাত জানান দিচ্ছে,
মর্ত্য ধামে হলো মায়ের আগমন।
নীল আকাশে মেঘের ভেলা,
পদ্ম ফুলের পাঁপড়ি মেলা।
ঢাকের তালে কাশফুলের মেলা,
মজায় কাটুক অষ্টমীর বেলা।।

IMG_20220930_195853.jpg

IMG_20220930_195905.jpg

IMG_20220930_195913.jpg

IMG_20220930_195927.jpg

IMG_20220930_195936.jpg

IMG_20220930_200011.jpg

IMG_20220930_200027.jpg

IMG_20220930_200121.jpg

IMG_20220930_200312.jpg
এই প্যান্ডেলটি উদয় রাজপুর দক্ষিণ পাড়ায় বানানো হয়েছে। এবারের আকর্ষণ হলো দক্ষিণ ভারতের লক্ষী নারায়নের স্বর্ন মন্দির থিম তৈরি করা হয়েছে। সত্যি প্যান্ডেল দেখে মনে হচ্ছে যেনো সত্যি কারের স্বর্ন মন্দির। প্যান্ডেলের ভেতরে ঢুকার প্রবেশ দ্বারে অনেক বড় গরু বানানো হয়েছে। আবার দুই দ্বারে সিংহ বানানো হয়েছে। প্যান্ডেলের ভেতরে সুন্দর সুন্দর ঝাড়বাতি রয়েছে। আবার দেয়ালে নারায়নের মূর্তি বানানো হয়েছে। এত সুন্দর করে মায়ের মূর্তি তৈরি করেছেন শিল্পী তারক চন্দ্র পাল এবং সঞ্জীব পাল।
মায়ের মূর্তি যেনো আলোয় আলোয় ভরে গেছে। দেখে মনে হচ্ছে স্বর্ন মন্দিরে স্বর্ণের দুর্গা মা।
তারিখ: ৩ অক্টোবর ২০২২, সোমবার
স্থান: পশ্চিমবঙ্গ, কলকাতা
সময়: সন্ধ্যা ৬.১০ মিনিট

IMG_20220930_202403.jpg

IMG_20220930_202439.jpg

IMG_20220930_202520.jpg

IMG_20220930_202600.jpg

IMG_20220930_202711.jpg

IMG_20220930_203023.jpg

IMG_20220930_202538.jpg
এটি উদয় রাজপুর নেতাজী সংঘ কমিটি আয়োজন করেছে এই সার্বজনীন দুর্গাপূজা। এখানে রাম সীতার স্বর্ণ মন্দির বানানো হয়েছে। এই প্যান্ডেলে প্রবেশ করার পথ ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে যেন ফুলের ভিতর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি মাকে দর্শন করতে। প্যান্ডেলের সামনে আবার ছোট ছোট পরী বানানো হয়েছে। এত সুন্দর মায়ের মূর্তি ও প্যান্ডেলের নির্মাতা শিল্পী কার্তিক পাল ও দেবব্রত পাল। সামান্য কাঠ, বাঁশ, কাপড় ও রং দিয়ে এবং লাইট দিয়ে এত সুন্দর করে স্বর্ণমন্দির বানানো হয়েছে।
তারিখ: ৩ অক্টোবর ২০২২, সোমবার
স্থান: পশ্চিমবঙ্গ ,কলকাতা
সময়: সন্ধ্যা ৬.৩৭ মিনিট

IMG_20221002_181829.jpg

IMG_20221002_182128.jpg

IMG_20221002_182106.jpg

IMG_20221002_181932.jpg

IMG-20221003-WA0000.jpg
বারাসাত দক্ষিণ পাড়ায় এই প্যান্ডেলটি তৈরি করা হয়েছে। প্রতিবছর এখানে অনেক অনেক সুন্দর প্যান্ডেল বানানো হয়। প্রতিবারই এক একটা আকর্ষণ সৃষ্টি করে। এবারের আকর্ষণ হলো বৃন্দাবনের রাধা কৃষ্ণ স্বর্ণ মন্দির।এই প্যান্ডেলের ঢুকার প্রবেশ দ্বারে বড় বড় সুন্দর হাতি বানানো হয়েছে। আবার মায়ের কাছে যাওয়ার পথে সুন্দর স্বর্ণের কৃষ্ণ ঠাকুর বানানো হয়েছে। প্যান্ডেল দেখে মনে হচ্ছে সত্যি কারের স্বর্ন মন্দির। সামান্য কাঠ , বাঁশ , কাপড় ও রং দিয়ে এত সুন্দর স্বর্ণ মন্দির তৈরি করা যায় এটা না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। তবে একটাই অসুবিধা লোকজনের ভিড়ের কারনে মায়ের মূর্তিটা স্পষ্ট করে তুলতে পারিনি।আপনারা দেখে বুঝতে পেরেছেন কতটা লোকের ভিড় হয়েছে।
তারিখ: ৩ অক্টোবর ২০২২, সোমবার
স্থান: পশ্চিমবঙ্গ ,কলকাতা
সময়: সন্ধ্যা ৭.০০ মিনিট

IMG_20221002_183637.jpg

IMG_20221002_183739.jpg

IMG_20221002_183806.jpg

IMG_20221002_183848.jpg

IMG_20221002_183904.jpg
এই প্যান্ডেলটি তৈরি করা হয়েছে বারাসাত শেতপুকুর। এই প্যান্ডেলটির নাম আমার জানা নেই। তাই বলতে পারছি না। আপনারা জানলে আমাকে জানাবেন। তবে প্যান্ডেলটি এক দেখাতে আমার নজর কেড়েছে। আমরা প্যান্ডেলের ভেতরে দেখি পুরোহিত আরতি করছে। আর ঢাকি সুন্দর ঢাক বাজাচ্ছে। আমি প্রায় ১৫ মিনিট ধরে ঢাক বাজানো শুনেছি আমার খুব ভালো লাগছিলো। মায়ের মূর্তিটা ও খুব সুন্দর লাগছিলো। শেতপুকুর মায়ের মূর্তি তৈরি করেছেন মৃতশিল্পী দিলীপ কুমার পাল।
তারিখ:৩ অক্টোবর ২০২২, সোমবার
স্থান: বারাসাত, পশ্চিমবঙ্গ কলকাতা
সময়: সন্ধ্যা ৭.২৪ মিনিট

IMG_20221003_180608.jpg

IMG_20221003_180707.jpg

IMG_20221003_180755.jpg

IMG_20221003_180756.jpg

IMG_20221003_180806.jpg

IMG_20221003_180922.jpg

IMG_20221003_180951.jpg

IMG_20221003_182249.jpg

এই প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে বারাসাত কল্যাণ পুর। এই প্যান্ডেলটি তৈরি করা হয়েছে বাঁশ ও কাপড়, রং , লাইট দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এখানে মা দুর্গাকে বৈরাগী সাজে সাজানো হয়েছে। এই প্যান্ডেলের মাকে খুবই সুন্দর লাগছে। প্যান্ডেলের ভেতরে ও খুব সুন্দর লাইটিং ও ঝাড়বাতি লাগানো হয়েছে। এই লাইটিং এর কারণে প্যান্ডেলটি আরো বেশি আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
তারিখ: ৩ অক্টোবর ২০২২, সোমবার
স্থান: বারাসাত, পশ্চিমবঙ্গ কলকাতা
সময়:সন্ধ্যা ৮.১০ মিনিট
আজ এই পর্যন্তই কাল আবার নতুন নতুন প্যান্ডেলের ঠাকুর নিয়ে আসবো। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। মা সবার মঙ্গল করুক।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

মহা অষ্টমীর দিনে খুবই সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। প্রতিটা মন্ডপের ফটোগ্রাফি দেখে খুবই ভালো লাগলো খুবই সুন্দর ভাবে সাজিয়েছে। সত্যিই অসাধারণ প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি ছিল দেখার মতো।

মহা অষ্টমী উপলক্ষে সবাই নতুন পোশাক পরে বিভিন্ন জায়গায় পুজোর মণ্ডপে ঘুরাঘুরি করে এবং এই উৎসবমুখর পরিবেশ উপভোগ করে। যেটা আপনিও করেছেন দিদি বিভিন্ন জায়গার পূজা মন্ডপের সুন্দর সুন্দর দৃশ্য দেখে খুবই ভালো লাগলো। আসলে এরকম উৎসব মুখর পরিবেশ উপভোগ করতে সবাই পছন্দ করে আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো।

ধন্যবাদ ভাইয়া। আমাদের পূজোর এই কয়েকটা দিন প্রচুর ঘুরাফেরা ও খাওয়াদাওয়ার হৈ-হুল্লোড় মাঝে কেটে যায়।

এতদিন শুধু ইন্ডিয়াতে বেড়াতে যাওয়া মানুষের মুখে শুনতাম যে ইন্ডিয়াতে নাকি খুব ভালো পূজা হয়। কিন্তু এবার "আমার বাংলা ব্লগের" সদস্য হওয়ার দরুন আপনার পোস্ট থেকে অনেক কিছু জানতে পারছি ইন্ডিয়ার দুর্গাপূজা সম্পর্কে। ফটোগ্রাফির সাথে সাথে উপস্থাপন বেশ দুর্দান্ত ছিল। আপনার দুইটা পোষ্ট দেখে ইন্ডিয়াতে পূজা দেখতে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা বেড়ে গেছে বহুগুন। মহানবমীতে দুর্গাপূজার সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখার অপেক্ষায় রইলাম দিদি।

প্রত্যেকটি মায়ের মূর্তি ভীষণ সুন্দর বৌদি।আর মজার বিষয় হলো আমরা ও আমাদের শক্তিগড় এ স্বর্নমন্দির দেখে আসলাম।আজ শেয়ার করবো।যাইহোক বারাসতের স্বর্ণমন্দির সুন্দর ছিল, ধন্যবাদ আপনাকে।

শিউলি ফুলের গন্ধে
মাতোয়ারা এই মন,
খুশির শরৎ আকাশ জুড়ে
দুলছে কাশবন।
শারদ প্রভাত জানান দিচ্ছে,
মর্ত্য ধামে হলো মায়ের আগমন।

বৌদি কিভাবে আপনার প্রশংসা করব সেটাও বুঝে উঠতে পারছি না। আপনি মহাষ্টমীতে ঘুরার জন্য টোটো ভাড়া করেছেন। তবে সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে মন্দিরে অঞ্জলি দিয়ে ঘুরে বেড়ানোর মুহূর্তগুলো। তবে পুজোর থিমগুলো ছিল দৃষ্টিনন্দন প্রশংসা না করে পারলাম না। আপনার পুজোর কনটেস্টের অংশগ্রহণটা আমাকে একটু অবাক করে দিচ্ছে। একেবারে নিখুঁতভাবে উপস্থাপন করেন যা আমার অজানা অনেক কিছুই আমি জানতে পারলাম, আপনি প্রথম হবেন হাহাহা। ভালোবাসা অবিরাম বৌদি।

You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!

পূজোতে বেশ ঘোরাঘুরি করছেন বৌদি। গাড়ি ছেড়ে টোটেতে। সেদিন দাদা বলছিলেন গাড়ি নিয়ে ঠিকমতো পুজো দেখা যায় না। দক্ষিণ ভারতের লক্ষী স্বর্ণ মন্দির আদলে তৈরি থিমটা আমার কাছে বেশ দারুণ লাগছে। বেশ ভালো ফটোগ্রাফি করেছেন বৌদি। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।

বৌদি প্রথমেই বলবো আপনার ড্রেসটা কিন্তু বেশ সুন্দর হয়েছে দেখতে।আসলে বাচ্চারা এমন ই, গরম একেবারেই সহ্য করত্ব পারেনা।আর ওটা বোধহয় সবার সাথেই হয় যে বের হতে দেরী হবেই!
প্যান্ডেলের লাইটিং একেবারে চোখ ধাধানো।

মা এবং ছেলের ড্রেস টা তো সুন্দর ম্যাচিং হয়েছে দিদিভাই 🥰👌। গোল্টু বাবুর মনটা একটু খারাপ মনে হলো ! গরম আর বাইরের অনেক মানুষের চাপে হয়তো মুখ টা একটু ভার।
যাই হোক খুব চমৎকার করে লিখে পোস্ট গুলো সাজিয়েছেন। ছবিগুলো দেখার সাথে সাথে লেখা গুলো পড়তেও খুব ভালো লাগছিল। স্বর্ণ মন্দিরের থিমে যে প্যান্ডেলটা বানানো হয়েছে এক কথায় অসাধারণ লাগছে দেখতে 👌। ইন্ডিয়ার পূজোর আমেজ টাই আলাদা একদম । খুব ইচ্ছে আছে একবার দুর্গা পূজা ইন্ডিয়া কাটানো। দেখি মা কবে সুযোগ করে দেন। 🙏

প্রথমেই শারদীয় শুভেচ্ছা রইল দিদি। আপনার মাধ্যমে সত্যি সত্যি স্বর্ণ মন্দিরের স্বর্ণ দুর্গা মাকে দেখতে পারলাম মনে হচ্ছে। অপরূপ সাজে মা দুর্গা। মায়ের অপর ূপ মূর্তি দর্শন করে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

মহা অষ্টমীতে ঘুরতে যাওয়ার পুরো পোস্ট দেখে সত্যিই আমার খুব অবাক হলাম। এত বড় ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আপনি খুব সুন্দর চমৎকার ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আসলে প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি বেশ দুর্দান্ত ছিলো। অনেক আনন্দে উৎসবের মাঝে সুন্দর মুহূর্ত পার করেছেন। দেখে খুব ভালো লাগলো। পূজাতে টিনটিন বাবু নিশ্চয়ই অনেক আনন্দ করেছে । এত অসাধারন পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।