শুভ মহালয়া, ছোট নতুন একটি কবিতা " মায়ের আগমনী"

in hive-129948 •  2 years ago 

বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। সবাইকে অগ্রীম দুর্গা পূজার শুভেচ্ছা। আজ শুভ মহালয়া। মহালয়া থেকে দুর্গা পূজা শুরু হয়ে যায়। দুর্গাপূজা বাঙ্গালীদের শ্রেষ্ঠ উৎসব। আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠ দিন থেকে শুরু হয়ে দশম দিন পর্যন্ত এই দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষ তিথিকে দেবীপক্ষ বলা হয়। মহালয়া হল পিতৃপক্ষের শেষ দিন।

বাঙালির দুর্গাপূজা মহালয়া থেকে শুরু। বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে আসে শারদ প্রান্ত শুনতে শুনতে বাংলার বুকে সূচিত হয় দেবিপক্ষ। এই দিন থেকে বাঙালির ঘরে পুজোর রব ছড়িয়ে পড়ে। মহালয়া যেন দেবী দুর্গার আবহন বার্তা বয়ে আনে প্রতিটি মানুষের হৃদয়।

"মহালয়া "শব্দটির অর্থ মহান যে আলোয়। মহালয়া শব্দটিকে স্ত্রীলিঙ্গবাচক শব্দ হিসেবে ব্যবহার করা হয় কারণ এই দিনে পিতৃপক্ষের অবসান হয়। এবং অমাবস্যার অন্ধকার দূর হয়ে আলোকময় দেবী পক্ষের শুভরম্ভ হয়। এই দেবী দুর্গাই হলেন সেই মহান আলয়। এই দিনে পিতৃপক্ষের অবসান হয়ে দেবী পক্ষের সূচনা ঘটে।

এই মহালয়ার দিনেই দেবী দুর্গার বোধন হয়। বোধন মানে জাগরন। মনে করা হয় বাংলার শ্রাবণ মাস থেকে পৌষ মাস পর্যন্ত দক্ষিণায়ন কালে দেবতারা নিদ্রা যান। আর উত্তরায়নের সময় দেবতারা আবার জেগে ওঠেন। পুরান মতে ব্রাহ্মণ নির্দেশ মতে পিতৃপক্ষের অবসানে টানা ১৫ দিন ধরে স্বর্গীয় পিতৃপুরুষেরা মর্ত্যের কাছাকাছি আসেন। আর তাই এই সময় তাদের উদ্দেশ্যে কিছু অর্পণ করলে তারা তুষ্ট হয়। এই মহালয়ার দিনেই দেবী দুর্গা মহিষাসুরকে বধ করার দায়িত্ব পান ব্রহ্মার কাছ থেকে। ব্রহ্মার বরই মহিষাসুর মানুষও দেবতাদের কাছে অপরাজেয় হয়ে উঠেছিল । বলে তাকে পরাস্ত করার জন্য ব্রহ্মা-বিষ্ণু আর মহেশ্বর একত্রিত হয়ে মহামায়া রূপী যে নারীশক্তি তৈরি করেন, তিনি হলেন দেবী দুর্গা। দশ অস্ত্রে বলিয়ান হয়ে দশভূজা দেবী দুর্গা টানা নয় দিন যুদ্ধ করে মহিষাসুরকে বধ করেন। হিন্দুদের বিশ্বাস অনুযায়ী এই দিনের পরেই অশুভ শক্তির বিনাস ঘটেছিল। বাঙালি জীবনে দুর্গাপূজার সুর লহর ী বেধে দেয় এই মহালয়া। আর এই মহালয়ার সুরটি বেঁধে দেন নিয়ম করে অর্ধশতাব্দী ধরে যিনি তিনি বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র।তার অনুকরনীয় ভঙ্গিমায় আকাশবাণী প্রচারিত মহিষাসুরমর্দিনী অনুষ্ঠানটি বাঙ্গালীদের জীবনে পরস্পার বাহিত ঐতিহ্যের মতো।

IMG_20220925_192411.jpg

"মায়ের আগমনী"

মাগো তুমি আসবে বলে ...হৃদয় জুড়ে খুশির লহর!
ওমা তোমার পথ চেয়ে আমি শুধুই গুনি প্রহর,
জানি মা তুমি আসছো তাইতো মেয়েদের আনাগোনা...
মাঠে মাঠে তাই কাশফুল ফোটে ভোরের ঘাসে শিশির কণা..
তোমার আসার আগমনী সুর তোলে প্রাণে এক হিল্লোল-
খুশিতে বিভোর বসুন্ধরা আবেগে বিহবল!
মাগো তোমার মধুর রূপে মজে যায় ত্রিভুবন!
মৃন্ময়ী তুমি কৃপা কর সবে এই বলি সারাক্ষণ।
অশুভ থেকে শুভর দিকে আঁধার থেকে আলোতে...
মৃত্যুর থেকে অমৃতের পথে নিয়ে চলো মাগো তব জয় রথে-

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

মহালয়া সম্পকে জানতে পারলাম। পিতৃ দরপ
শেষ করে দেবী পক্ষ শুরু হয়। বৌদি মা দূর্গা প্রণামি করে চমৎকার একটি কবিতা লিখেছেন। আপনার কবিতা টি পড়ে অনেক ভালো লাগল। ধন্যবাদ বৌদি।

বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র উনার নামটা শুনেছি। উনার কন্ঠে মহালয়া শোনার মজাই নাকী অন‍্যরকম। মহালয়া সম্পর্কে এতটা জানা ছিল না। অনেক তথবহুল একটা পোস্ট ছিল। এবং কবিতা টা চমৎকার লিখেছেন বৌদি। অনেক সুন্দর হয়েছে।।

প্রথমেই শুভ মহালয়ার শুভেচ্ছা। মহালয়া শব্দের অর্থ আমার জানা ছিল না শুধু মুখে মুখে শুনেছিলাম। আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম। মহালয়া কেন বলা হয় তাও জানতে পারলাম। ধন্যবাদ দিদি।

প্রথমেই মহালয়ার শুভেচ্ছা জানাই। মহালয়া সম্পর্কে সুন্দর কিছু তথ্য দিলেন মহালয়া সম্পর্কে এত কিছু জানা ছিল না। যাইহোক কবিতাটা কিন্তু আমার খুবই ভালো লেগেছে। সুন্দরভাবে মিলিয়ে কবিতাটি লিখেছেন ভালো লাগলো।

শুভ মহালয়া সম্পর্কে অল্পকিছু ধারনা ছিল বৌদি। আজ আমার মাধ্যমে এর ব্যাপকতা জানলাম। শুভ মহালয়া উপলক্ষে আপনার স্বরচিত কবিতাটি ও অসাধারণ হয়েছে বৌদি।শুভ মহালয়া উপলক্ষে এত সুন্দর ও অর্থবহ কবিতা লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আমার অন্তরের অন্তস্তল থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ বৌদি।

এইতো আর মাত্র কয়েকটা এর পরেই আসবে মা।মহালয়া নিয়ে কখুনো এতো কিছু জানি নায় অনেক কিছু পেলাম জানতে অপেক্ষা আর মাত্র কয়েকটা দিনের।